Euro 2020: ইউরোর জার্মানি-ফ্রান্স ম্যাচে প্যারাসুটে ‘গ্রিনপিস’ আন্দোলনকারী

ঘটনাটি মোটেও ভালো চোখে দেখছে না উয়েফা। এক বিবৃতিতে তারা জানিয়েছে, আপাতত আহতদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আইন মেনেই আন্দোলনকারীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Euro 2020: ইউরোর জার্মানি-ফ্রান্স ম্যাচে প্যারাসুটে 'গ্রিনপিস' আন্দোলনকারী
সৌজন্যে-টুইটার
Follow Us:
| Updated on: Jun 16, 2021 | 4:03 PM

ইউরোর (Euro 2020) এক স্পনসরের বিরুদ্ধে অভিনব কায়দায় প্রতিবাদ জানাল ‘গ্রিনপিস’ নামক এক সংস্থা। এক গাড়ি প্রস্তুতকারক সংস্থার বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে প্রতিবাদ করে আসছে ‘গ্রিনপিস’ নামক সংস্থাটি। মিউনিখের অ্যালিয়াঞ্জ এরিনায় মঙ্গলবার, জার্মানি (Germany) বনাম ফ্রান্স (France) ম্যাচে ঘটে গেল এক অদ্ভুত ঘটনা। ম্যাচ শুরু হওয়ার বাঁশি বাজার ঠিক কিছুক্ষণ আগে, হঠাৎ মাঠের মধ্যে হুড়মুড়িয়ে পড়ল এক প্যারাসুট। সেই প্যারাসুটে ছিলেন গ্রিনপিসের এক আন্দোলনকারী। প্যারাসুটে লেখা ছিল “কিক আউট অয়েল।” এই প্রতিবাদ অভিনব কায়দায় হলেও, তার ফলে আহত হলেন জার্মানি বনাম ফ্রান্স ম্যাচ দেখতে আসা কয়েকজন দর্শক।

আহত দর্শকদের সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। আন্দোলনকারীকেও গ্রেফতারও করা হয়। মিউনিখ পুলিশের এক মুখপাত্র বলেন, “দু’জনের মাথায় আঘাত লেগেছে। তাদের সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তবে তাদের চোট কতটা গুরুতর তা এথনও জানা যায়নি।” ঘটনাটি মোটেও ভালো চোখে দেখছে না উয়েফা। এক বিবৃতিতে তারা জানিয়েছে, “এটা একটা অনভিপ্রেত ঘটনা। যে সকল দর্শক গ্যালারিতে উপস্থিত ছিল, সকলের জীবনের ঝুঁকি ছিল। এর ফলে প্রচুর দর্শক আহত হতে পারত। আপাতত আহতদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আইন মেনেই আন্দোলনকারীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

এ বারের ইউরোতে ওই গাড়ি প্রস্তুতকারক সংস্থা মূল স্পনসর। যার ফলে প্রতিবাদ জোরাল করার জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে গ্রিনপিস। আর তাই প্রতিবাদের এই পন্থ বেছে নেয় তারা। গ্রিনপিস টুইটারে লেখে, “এই আন্দোলনের দ্বারা আমরা খেলা বানচাল করা কিংবা কোনও দর্শককে আহত করতে চাইনি। আশা করি সবাই ভালো আছেন এবং কেউ মারাত্মক আহত হননি।” পাশাপাশি গ্রিনপিসের তরফে জানানো হয়েছে, আমরা বরাবর শান্তিপূর্নভাবে ও অহিংস আন্দোলনের পথে হাঁটতে চেয়েছি। তবে দুর্ভাগ্য সবসময় সব কিছু পরিকল্পনামাফিক হয় না।

আরও পড়ুন: Euro 2020: রোনাল্ডোর ফিটনেস কিকে শেয়ার বাজারে সুইং