CWG 2022-Cricket: জেমিমার জোড়া জুটি, ঠাকুরের চারে একশো রানের জয়, সেমিফাইনালে ভারত

Commonwealth Games 2022: ম্যাচ জিততে সবার আগে প্রয়োজন ছিল বার্বাডোজের ভয়ঙ্কর ওপেনিং জুটিকে ফেরানো। দায়িত্ব নিলেন রেনুকা সিং ঠাকুর। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে টানা চার ওভারের স্পেলে ৪ উইকেট নিয়েছিলেন। এদিনও তারই পুনরাবৃত্তি।

CWG 2022-Cricket: জেমিমার জোড়া জুটি, ঠাকুরের চারে একশো রানের জয়, সেমিফাইনালে ভারত
উইকেটের উচ্ছ্বাসে রেনুকা-দীপ্তি, অর্ধশতরানের পথে জেমিমা।Image Credit source: TWITTER
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 04, 2022 | 2:17 AM

বার্মিংহ্যাম : ঢোল, তেরঙা নিয়ে প্রস্তুত ছিলেন ভারতীয় সমর্থকরা। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে অনবদ্য জয়ের পর অনেক বেশি আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠেছিল তারাও। এজবাস্টন স্টেডিয়ামের বাইরে ম্যাচের আগে যেমন উৎসব চলল, ম্যাচের পরেও। কমনওয়েলথ গেমসে (Commonwealth Games 2022) প্রথম বার যোগ হয়েছে মেয়েদের ক্রিকেট। বার্বাডোজকে ১০০ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়ে শেষ চারে জায়গা করে নিল ভারত (Team India)। ব্যাটিংয়ে দুটি জুটি ভারতকে ১৬২-র বড় স্কোর গড়তে সাহায্য করে। জেমিমা রডরিগজ- শেফালি ভার্মা এবং জেমিমা রডরিগজ-দীপ্তি শর্মা। জেমিমার অর্ধশতরান। বল হাতে টানা চার ওভারের স্পেলে ৪ উইকেট নিয়ে ভারতের জয়ের রাস্তা মসৃণ করলেন রেনুকা সিং ঠাকুর (Renuka Singh Thakur)।

ভার্চুয়াল কোয়ার্টার ফাইনাল। টসে হারেন ভারত অধিনায়ক হরমনপ্রীত। ব্যাটিং করতে হবে। ঠিক যেন অস্ট্রেলিয়া ম্যাচের আতঙ্ক। ম্যাচের শেষ দিকে গ্রেস হ্যারিস-অ্যাশলে গার্ডনার মুখের গ্রাস কেড়ে নিয়েছিলেন। এদিন তাই আরও বেশি রান প্রয়োজন ছিল বোর্ডে। যাতে প্রথম ম্যাচের পুনরাবৃত্তি না হয়। হলও না। ভারতীয় একাদশে জোড়া পরিবর্তন। যস্তিকা ভাটিয়ার বদলে তানিয়া ভাটিয়া এবং সাব্বিনেনি মেঘনার পরিবর্তে একাদশে পেস বোলিং অলরাউন্ডার পূজা বস্ত্রকার। দ্বিতীয় জনের অন্তর্ভূক্তি ভারতীয় দলের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। তবে ব্যাটিংয়ে শুরুটা ভালো হল না। প্রথম ওভারেই ফিরলেন পাকিস্তান ম্যাচে ব্যাট হাতে জয়ের নায়ক স্মৃতি মান্ধানা। তিনে নামানো হয় জেমিমাকে। প্রাথমিক ধাক্কা সামলে এই জুটি মজবুত ভিত গড়ে। দ্বিতীয় উইকেটে ৭১ রান যোগ করে তারা। ২ রান নিতে গিয়ে ভুল বোঝাবুঝিতে আউট শেফালি ভার্মা। ৪৩ রান করেন তিনি। প্রথম বলেই আউট অধিনায়ক হরমনপ্রীত কৌর। তানিয়া ভাটিয়া ফিরলেন ১৩ বলে ৬ রান করে। ভারতীয় ইনিংস মন্থর হয়ে পড়ে। একটা পার্টনারশিপ প্রয়োজন ছিল। সেটাই করে দেখালেন জেমিমা রডরিগজ এবং দীপ্তি শর্মা। পঞ্চম উইকেটে মাত্র ৪৩ বলে ৭০ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি। জেমিমা ৪৬ বলে ৫৬ রানে অপরাজিত, এবং দীপ্তি ২৮ বলে ৩৪ রানে। ২০ ওভারে ৪ উইকেটে ১৬২ রানে বড় স্কোর গড়ল ভারত।

ম্যাচ জিততে সবার আগে প্রয়োজন ছিল বার্বাডোজের ভয়ঙ্কর ওপেনিং জুটিকে ফেরানো। দায়িত্ব নিলেন রেনুকা সিং ঠাকুর। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে টানা চার ওভারের স্পেলে ৪ উইকেট নিয়েছিলেন। এদিনও তারই পুনরাবৃত্তি। ইনিংসের তৃতীয় বলেই ভয়ঙ্কর দিয়েন্দ্র ডটিনকে ফেরালেন রেনুকা। প্রথম ওভারে মাত্র ১ রান দিয়ে ডটিনের উইকেট। স্পেলের প্রথম ও দ্বিতীয় ওভারে ১ টি করে উইকেট, তৃতীয় ওভারে জোড়া উইকেট। চতুর্থ ওভারে উইকেট না পেলেও অনবদ্য বোলিং। ৪ ওভারে মাত্র ১০ রান দিয়ে ৪ উইকেট রেনুকার। বার্বাডোজ সেখানেই ম্যাচ থেকে ছিটকে যায়। কাইসোনা নাইট এবং ত্রিশান হোল্ডার জুটি গড়ার চেষ্টা করেন। আক্রমণে এসেই নাইটকে বোল্ড করেন স্নেহ রানা। বার্বাডোজের পাঁচ উইকেট পড়তেই টি ২০ তে কার্যত টেস্টের মতো ফিল্ডিং সাজায় ভারত। শেষ অবধি ২০ ওভার ব্যাট করলেও বার্বাডোজ ৮ উইকেটে ৬২ রান করে।