AB de Villiers Retires: ‘আগুন নিভে আসছে’, তাই ক্রিকেটকে বিদায় জানালেন এবিডি

AB de Villiers RCB: আরসিবির (RCB) হয়ে, বিরাট কোহলির সঙ্গী হিসেবে দশটা বছর খেলেছেন যিনি, সেই এবি ডে ভিলিয়ার্স (AB de Villiers) অবসর নিলেন ক্রিকেট থেকে। 'মি. থ্রি সিক্সটি ডিগ্রি' আর আইপিএলে (IPL) খেলবেন না!

AB de Villiers Retires: 'আগুন নিভে আসছে', তাই ক্রিকেটকে বিদায় জানালেন এবিডি
AB de Villiers Retires: 'আগুন নিভে আসছে', তাই ক্রিকেটকে বিদায় জানালেন এবিডি (ছবি-টুইটার)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 19, 2021 | 4:29 PM

জোহানেসবার্গ: আগুন নিভে আসছে। যতটুকু আছে, তাও আর তেমন গনগনে নয়! এই ক’টা শব্দ কানে বাজছে ক্রিকেট (Cricket) দুনিয়ার। যিনি এ ভাবে ব্যাখ্যা করলেন নিজেকে, নিজের বয়সকে, তিনি যে সরে যেতে পারেন, ক’দিন আগেও আমিরশাহি আইপিএলের সময় আন্দাজই করা যায়নি। আরসিবির (RCB) হয়ে, বিরাট কোহলির সঙ্গী হিসেবে দশটা বছর খেলেছেন যিনি, সেই এবি ডে ভিলিয়ার্স (AB de Villiers) অবসর নিলেন ক্রিকেট থেকে। ‘মি. থ্রি সিক্সটি ডিগ্রি’ আর আইপিএলে (IPL) খেলবেন না!

ক্রিকেটে সচিন তেন্ডুলকরের ১০ নম্বর কিংবা মহেন্দ্র সিং ধোনির ৭ নম্বর জার্সি সারা বিশ্বে বন্দিত। ঠিক তেমনই ১৭ নম্বর জার্সির মাহাত্ম। দেশের হয়ে হোক আর ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট— বাইশ গজে ওটাই ছিল এবিডির পরিচয়। ১৭ নম্বর জার্সি পরেই ক্রিকেট শাসন করেছেন। ক্রিকেটে কিংবদন্তি হয়ে উঠেছেন।

দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছিলেন ২০১৮ সালের মে মাসে। তারপর থেকে বারবার বলা হয়েছে, প্রোটিয়া ক্রিকেটে জৌলুস ফেরাতে এবিডিকেই দরকার। অনেক অনুরোধ, উপরোধ সত্ত্বেও অবসর ভেঙে দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেটে ফেরেননি। গত তিন বছর শুধুই ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ খেলেছেন। সারা বিশ্ব জুড়ে এবি-ক্যারিশমা তাতে যেন আরও বেড়েছিল। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে যেখানেই খেলেছেন, পারফর্ম করেছেন।

আইপিএল শুরু করেছিলেন দিল্লির হয়ে। ২০১১ সালে আরসিবিতে পা দেন। এই ক’বছরে ১৫৬টা ম্যাচ খেলেছেন ব্যাঙ্গালোরের হয়ে। ৪৪৯১ রান করেছেন। মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে ১৩৩ নট আউট ইনিংসটা চিরকাল মনে থাকবে আরসিবি ভক্তদের। গুজরাট লায়ন্সের বিরুদ্ধে নট আউট ১২৯ রানের ইনিংসটাও থাকলে আলোচনায়।

১৭ বছরের ক্রিকেট কেরিয়ার শেষ করে টুইটারে এক বিবৃতিতে এবি লিখেছেন, ‘দারুণ একটা যাত্রা শেষ করলাম। এ বার সব ধরনের ক্রিকেট থেকে অবসর নিলাম। দাদাদের সঙ্গে বাড়ির বাগানে যবে থেকে খেলতে শুরু করেছি, তখন থেকে প্রতিটা ম্যাচ উপভোগ করার চেষ্টা করেছি। কিন্তু ৩৭ বছরে এসে মনে হচ্ছে, আগুন নিভে আসছে। যতটুকু আছে, তাও আর তেমন গনগনে নয়।’

ক্রিকেট খেলার জন্য় বরাবর পরিবারকে পাশে পেয়েছেন এবিডি। যা নিয়ে তিনি বলেওছেন, ‘পরিবার পাশে না থাকলে আমার পক্ষে এতটা এগনো সম্ভব ছিল না। আমার অভিভাবকরা, আমার দাদারা, আমার স্ত্রী ড্যানিয়েলা আর আমার সন্তানরা সব সময় পাশে থেকেছে। জীবনের পরের পর্বে আমি ওদেরকেই সবচেয়ে বেশি অগ্রাধিকার দেব।’

১৭ বছরের কেরিয়ারে যাঁদের সঙ্গে খেলেছেন, তাঁদের প্রত্যেককে ধন্যবাদ জানিয়েছেন এবিডি। ‘টিমমেট, প্রতিপক্ষ, আমার কোচেরা, ফিজিও, সাপোর্ট স্টাফ— সবাইকে ধন্যবাদ। দক্ষিণ আফ্রিকা, ভারতে প্রচুর ভালোবাসা পেয়েছি। ক্রিকেট আমার কাছে বরাবর ব্যতিক্রমী কিছু। যে টিমের হয়েই খেলি না কেন, অকল্পনীয় সুযোগের পাশাপাশি অনন্য অভিজ্ঞতা অর্জন করেছি।’

ক্রিকেট কখনও থেমে থাকে না। জীবনের মতোই গতিশীল। শুধু ক্রিকেট নদীতে থেকে যায় এক-একটা দ্বীপ। সেই দ্বীপের নাম ডব্লিউজি গ্রেস, ডন ব্র্যাডম্যান কিংবা সচিন তেন্ডুলকর। এ বার থেকে তেমনই এক ছোট্ট দ্বীপের নাম হবে এবি ডে ভিলিয়ার্স!