Arjun Tendulkar: রঞ্জি আবির্ভাবেই সেঞ্চুরি, কী বললেন সচিনপুত্র?

১৯৮৮ সালে রঞ্জি ট্রফির খেলতে নেমে সেঞ্চুরি করেছিলেন বাবা। ৩৪ বছর পর ছেলেও খেললেন তাঁর কেরিয়ারের প্রথম রঞ্জি ট্রফি ম্যাচ। আর সেই ম্যাচেই করে ফেললেন অনবদ্য সেঞ্চুরি।

Arjun Tendulkar: রঞ্জি আবির্ভাবেই সেঞ্চুরি, কী বললেন সচিনপুত্র?
Image Credit source: Twitter
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 15, 2022 | 2:24 PM

পানাজি: বাপ কা বেটা, সিপাহি কা ঘোড়া…! বহু চর্চায় ক্লিশে হয়ে যাওয়া সেই প্রবাদই যেন ফিরে আসছে। বাবা প্রতিভা ছেলের ধমনীতেও থাকবে খানিকটা, এই প্রতিষ্ঠিত সত্য যেন আরও একবার প্রমাণ করে দিলেন ২৩ বছরের বাঁ হাতি অলরাউন্ডার। ১৯৮৮ সালে রঞ্জি ট্রফির (Ranji Trophy) প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমে সেঞ্চুরি করেছিলেন বাবা। ৩৪ বছর পর ছেলেও খেললেন তাঁর কেরিয়ারের প্রথম রঞ্জি ট্রফি ম্যাচ। আর সেই ম্যাচেই করে ফেললেন অনবদ্য সেঞ্চুরি (Century)। সাত নম্বরে নেমে ১২০ রানের ইনিংসটা রীতিমতো ট্রেন্ডিংয়ে ঢুকে পড়ছে। এতেই শেষ নয়, বাবা চেনা পরিচিত সরণিতে বেয়ে তিনি হাঁটবেন, এমন প্রত্যাশাও শুরু হয়ে গেল। বাবার নাম কী? সচিন তেন্ডুলকর। আর ছেলে, অর্জুন তেন্ডুলকর (Arjun Tendulkar)। বেশি সুযোগ পাওয়ার জন্য মুম্বই থেকে গোয়ায় চলে এসেছেন তিনি। সুযোগ যে কাজেও লাগাতে শুরু করেছেন, রাজস্থানের বিরুদ্ধে প্রথম ইনিংসেই প্রমাণিত হয়ে গিয়েছে। সচিন হতে পারবেন কিনা, সময় বলবে। তবে অর্জুনও যে তাঁর লক্ষ্যভেদ করার জন্য তৈরি, তা নিয়ে সন্দেহ নেই। সেঞ্চুরির পর কী বললেন অর্জুন, তুলে ধরল TV9 Bangla

বুধবার যখন ব্যাট করতে নেমেছিলেন, তখন খানিকটা হলেও চাপে ছিল গোয়া। পর পর দুটো উইকেট তুলে বিপক্ষের বোলাররা নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নিয়েছেন ম্যাচ। এমন পরিস্থিতিতে ব্যাট করতে নেমে ১২ রান করে ক্রিজে থেকে গিয়েছিলেন। বৃহস্পতিবার করলেন ঝকঝকে সেঞ্চুরি। ৩১০ মিনিট ক্রিজে থেকে ১৬টা চার ও ২টো ছয় দিয়ে সাজিয়েছেন ইনিংস। দ্বিতীয় দিনের শেষ অর্জুন বলেছেন, ‘বরাবর আমার নিজের উপর আস্থা ছিল। আমি জানতাম, যদি সেট হয়ে যাই, ঠিক বড় রান করব। সেই কারণে প্রথম ঘণ্টাটা ক্রিজে কাটাতে চেয়েছিলাম। যাতে পিচ ও পরিবেশকে কাজে লাগাতে পারি।’

সেও ছিল এক ডিসেম্বর। ১৯৮৮ সালের ১১ ডিসেম্বর মুম্বইয়ের হয়ে গুজরাতের বিরুদ্ধে ১০০ নট আউট করেছিলেন সচিন। বাবার মতো ব্যাটসম্যান নন। অর্জুন আসলে বাঁ হাতি পেস বোলার। কিন্তু ব্যাট হাতে তিনি যে দারুণ পারফর্ম করতে পারেন, তাও দেখিয়ে দিলেন প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে পা রেখেই। অর্জুন বলছেন, ‘আমি যখন ব্যাট করতে যাই, তখন খুব ভালো করে জানতাম, বেশির ভাগ বল আমাকে খেলতে হবে। সেই সঙ্গে উল্টো দিকে থাকা সুয়েশের উপর থেকে চাপ কমাতে হবে। সুয়েশ তখন ৮০ রানে ব্যাট করছে। দিনের শুরুতে নতুন বলে খানিকটা সুবিধা পাচ্ছিল পেস বোলাররা। শুরুর সময়টা পার করে দেওয়ার পর কিন্তু আমরা রান করতে পেরেছি।’

এর আগে মুম্বইয়ের হয়ে অনূর্ধ্ব ১৪ ক্রিকেট খেলার সময় সেঞ্চুরি করেছেন। অনূর্ধ্ব ১৬তেও পেয়েছেন সেঞ্চুরি। অনূর্ধ্ব ১৯ ক্রিকেটেও উত্তরপ্রদেশের বিরুদ্ধে ৯১ রানের ইনিংস খেলেছিলেন অর্জুন। তবে বিসিসিআইয়ের কোনও ম্যাচে এই প্রথম সেঞ্চুরি করলেন। গোয়ার হয়ে রঞ্জি খেলতে নেমেই করা এই সেঞ্চুরি যে তাঁর আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দেবে, তাতে আর আশ্চর্য কী!