IND vs PAK: এশিয়া কাপের ইতিহাসে এমনটা কখনও হয়নি, পাক বোলিংয়ের গর্বের রেকর্ড
IND vs PAK, RECORD: মাঝের ওভারে স্পিনারদের দিয়ে বোলিং করান পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজম। স্পিন সামলাতে কোনও সমস্যাই হয়নি ভারতীয় ব্যাটারদের। পাকিস্তান ইনিংস যদি খেলা হত, সেখানে বুমরা-সিরাজরাও এমন কীর্তি গড়তে পারতেন কিনা, নজর থাকত।
পাল্লেকেলে: ওয়ান ডে ফরম্যাটে বিশ্বের এক নম্বর দল পাকিস্তান। আইসিসি ওডিআই ব্যাটারদের তালিকায় শীর্ষস্থানে তাদের অধিনায়ক বাবর আজম। সবচেয়ে বেশি সমীহ জাগানোর বিষয়, তাদের বোলিং। বিশেষ করে বলতে হয় পেস-ত্রয়ীর কথা। শাহিন আফ্রিদি-নাসিম শাহ এবং হ্যারিস রউফ। পাকিস্তান ক্রিকেটে বরাবরই বিশ্বের সেরা পেসাররা উঠে এসেছেন। ওয়াকার ইউনিস, ওয়াসিম আক্রম, শোয়েব আখতার তাঁদের মধ্য অন্যতম। পাকিস্তানের বর্তমান বোলিং লাইন আপও ভয়ঙ্কর। এশিয়া কাপের ইতিহাসে অনন্য নজিরও গড়ল শাহিন-নাসিম-হ্যারিস ত্রয়ী। বিস্তারিত জেনে নিন TV9 Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।
এশিয়া কাপে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ ঘিরে বরাবরের মতোই উন্মাদনা ছিল আকাশছোঁয়া। তাতে অস্বস্তি তৈরি করল বৃষ্টি। পূর্বাভাস ছিলই। ম্যাচের ফলই হবে না, এই প্রত্যাশা ছিল না। ভারত-পাক ম্যাচ ঘিরে নানা দ্বৈরথে নজর ছিল। বিরাট কোহলি বনাম পাক পেসত্রয়ী, রোহিত বনাম শাহিন আফ্রিদি। তেমনই নজর ছিল বিশ্বের এক নম্বর ওডিআই ব্যাটার বাবর আজম কী ভাবে জসপ্রীত বুমরাকে সামলান। অনেক দ্বৈরথ দেখা গেল না স্রেফ বৃষ্টির কারণে। রোহিত-শাহিন দ্বৈরথে অবশ্য জিতলেন পাকিস্তানের বাঁ হাতি পেসার।
টস জিতে ব্যাটিং নিয়েছিলেন ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মা। ভালো শুরু দিতে পারেননি। বৃষ্টির কারণে কিছুক্ষণের মধ্যেই খেলা থামাতে হয়। মনসংযোগেও ব্যাঘাত ঘটে। রোহিতেকে ফেরান শাহিন। বিরাট কোহলিরও উইকেট নেন শাহিন আফ্রিদিই। পাকিস্তানের এই বাঁ হাতি পেসারের শিকার সব মিলিয়ে ৪ উইকেট। ১০ ওভারে ২টি মেডেন। দিয়েছেন মাত্র ৩৫ রান। নাসিম শাহ ওভার প্রতি ৪-এর সামান্য বেশি রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়েছেন। বাকি তিন উইকেট হ্যারিস রউফের দখলে। ৪৮.৫ ওভারে ভারত অলআউট ২৬৬ রানে। ভারতীয় শিবিরের ১০টি উইকেটই পেসারদের দখলে। প্রতিপক্ষের সব উইকেটই পেসাররাই নিয়েছেন, এশিয়া কাপের ইতিহাসে আগে কখনও হয়নি।
মাঝের ওভারে স্পিনারদের দিয়ে বোলিং করান পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজম। স্পিন সামলাতে কোনও সমস্যাই হয়নি ভারতীয় ব্যাটারদের। পাকিস্তান ইনিংস যদি খেলা হত, সেখানে বুমরা-সিরাজরাও এমন কীর্তি গড়তে পারতেন কিনা, নজর থাকত। পেস বোলিংয়ের আদর্শ পরিবেশই ছিল।