India vs Sri Lanka: শ্রীলঙ্কায় জয়ের হ্যাটট্রিকে নজর হরমনপ্রীতদের
শেহবাগ হতে চেয়েছিলেন, এখন খেলার ধরণে বদল আনছেন। এতদিন যেটা দেখা যেত, টি ২০ হোক বা ওডিআই, নেমেই ব্য়াটে ঝড় তুলতেন শেফালি। কখনও রান আসত, কখনও আবার দ্রুতই আউট হয়ে ফিরতেন।
ক্যান্ডি: মিতালি রাজ পরবর্তী যুগের সূচনা হয়েছে শ্রীলঙ্কায় সিরিজ জয় দিয়ে। টি ২০’র পর ওডিআই সিরিজেও জিতেছে ভারতীয় মহিলা দল। আজ তৃতীয় ওডিআই। টি ২০ সিরিজের মতো ২-১ নয়, ৩-০’ই পাখির চোখ ভারচীয় মহিলা দলের। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ওডিআইতে শেষ পাঁচ সাক্ষাতে ভারত জিতেছে চারটি। সিরিজ শুরুর আগে অধিনায়ক হরমনপ্রীত কৌর (Harmanpreet Kaur) বলেছিলেন, বেশ কিছু বিষয়ে উন্নতি করতে চান তাঁরা। বিশেষত, ওডিআই ক্রিকেটে নিয়মিত ৩০০ বা এর বেশি রান করার অভ্যাস করতে হবে। প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কা টসে জিতে ব্যাটিং নেওয়ায় সেটা সম্ভব হয়নি। দ্বিতীয় ওয়ান ডে-তে টস জিতেছিলেন হরমনপ্রীত। সুযোগ ছিল প্রথমে ব্যাটিং নিয়ে নিজেদের পরীক্ষা করার। হরমনপ্রীত ফিল্ডিং নেন। শুরুতে ভারতের পেস দাপটের ধাক্কায় মাত্র ১৭২ রানের লক্ষ্য দেয় শ্রীলঙ্কা। ৩৮ ওভারে ম্যাচ জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন দুই ওপেনার স্মৃতি মান্ধানা (Smriti Mandhana) এবং শেফালি বর্মা (Shafali Verma)। ফলে ‘৩০০’র পরিকল্পনা পরীক্ষা করা যায়নি। তৃতীয় ওডিআই-তে টস জিতলে হরমনপ্রীত কোন সিদ্ধান্ত নেন সেটাই দেখার।
শেহবাগ হতে চেয়েছিলেন, এখন খেলার ধরণে বদল আনছেন। এতদিন যেটা দেখা যেত, টি ২০ হোক বা ওডিআই, নেমেই ব্য়াটে ঝড় তুলতেন শেফালি। কখনও রান আসত, কখনও আবার দ্রুতই আউট হয়ে ফিরতেন। দ্বিতীয় ওডিআইতে কেরিয়ার সেরা অপরাজিত ৭১ রানের ইনিংস খেলেন শেফালি। ওপেনিংয়ে স্মৃতি মান্ধানার সঙ্গে ১৭৪ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়েন। ১০ উইকেটের রেকর্ড জয় ভারতের। শেফালি এবং স্মৃতি ওডিআই-তে ১৪ ম্য়াচে ওপেন করেছেন। দেরীতে হলেও বোধোদয় হয়েছে শেফালির। তৃতীয় ওডিআইয়ের আগে বলছেন, ‘আমার মনে হয় একদিনের ম্য়াচে সিঙ্গল নেওয়ার দিকে মনযোগ দিতে হবে। সেটাই চেষ্টা করছি।’ শ্রীলঙ্কায় তিন ম্য়াচের ওডিআই সিরিজে ভারতীয় মহিলা দল এগিয়ে ২-০। সিরিজ জয় নিশ্চিতের পর এবার ক্লিন সুইপে নজর। টি ২০-তে প্রথম দুটি ম্য়াচ জিতলেও শেষ ম্যাচে হারে ভারত। ওডিআই-তে যাতে সেটা না হয় সেদিকেই নজর। ভারতীয় দলের বিধ্বংসী ওপেনার আরও বলছেন, ‘নিজের ম্য়াচের কিছু ভিডিও দেখেছি। মনে হয়েছে, আমার আরও বেশি স্ট্রাইক রোটেট করা প্রয়োজন। সেটাই চেষ্টা করেছি। এই সফরে টি ২০ সিরিজে ভাল বলে সিঙ্গল নিয়েছি। বড় ইনিংস খেলার চেষ্টা করছি।’
শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে দ্বিতীয় ওডিআই-তে ৭১ বল খেলেছেন শেফালি। বাউন্ডারি মাত্র ৪টি। ছয় মেরেছেন একটি। ৭১-র মধ্যে ৩৭ টি ডেলিভারিতে খুচরো রান নিয়েছেন। বলের নিরিখে ৫০ শতাংশের কিছুটা বেশি। এ বছর নিউজিল্য়ান্ড এবং দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ৫১ এবং ৫৩ রানের ইনিংস খেলেছিলেন শেফালি। সিঙ্গলস নেওয়ার পার্সেন্টেজ মাত্র ২৯.৮ এবং ১৫.২১। এতদিন মূলত বাউন্ডারিতেই জোর দিতেন। ভারতীয় ক্রিকেটের মঞ্চে আসার পর থেকেই বিধ্বংসী ইনিংসের জন্য পরিচিত শেফালি। ক্রমশ নিজের খেলার ধরণে কিছুটা বদল করে বড় ইনিংসে নজর দিচ্ছেন। এই পরিবর্তনের জন্য বিগ ব্যাশে খেলার অভিজ্ঞতাকেও কৃতিত্ব দিচ্ছেন শেফালি। বিগ ব্যাশে সিডনি সিক্সার্সের হয়ে ওপেনিংয়ে সাফল্য পাননি। এরপর তাঁকে মিডল অর্ডারে খেলানো হয়। এলিস পেরি, অ্যালিসা হিলি, অ্যাশলে গার্ডনার, নিকোল বোল্টনদের সঙ্গে ড্রেসিংরুম শেয়ার করে অনেক কিছুই শিখেছেন। শেফালি বলছেন, ‘মেয়েদের বিগ ব্যাশে মিডল অর্ডারে ব্য়াট করে অনেক কিছু শেখার সুযোগ পেয়েছি। সেখানেই শিখেছি, সিঙ্গল-ডাবল নিয়ে, পরের দিকে বাউন্ডারি মারা যায়।’