সৌরভ-রাহুলের টনটন-ঝড় ভোলেননি বাটলার

স্মৃতিরোমন্থন করতে গিয়ে বাটলার জানিয়েছেন, ১৯৯৯ সালের বিশ্বকাপে টনটনে (Taunton) শ্রীলঙ্কার (Sri Lanka) বিরুদ্ধে সৌরভ-রাহুলের এক দুর্ধর্ষ ইনিংসের কথা। সেই ইনিংস তাঁর জীবনে বড় প্রভাব ফেলেছিল বলে জানিয়েছেন ইংলিশ ক্রিকেটার।

সৌরভ-রাহুলের টনটন-ঝড় ভোলেননি বাটলার
সৌরভ-রাহুলের টনটন-ঝড় ভোলেননি বাটলার
Follow Us:
| Updated on: May 19, 2021 | 7:54 PM

লন্ডন: সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়-রাহুল দ্রাবিড় জুটিকে দেখে অনেক ক্রিকেটারই বড় হয়েছেন। শুধু তাই নয়, এই দুই কিংবদন্তি অনেক ক্রিকেটারেরই অনুপ্রেরণা। একসময় ভারতীয় ক্রিকেটকে জনপ্রিয়তার শিখরে নিয়ে গিয়েছিলেন সৌরভ-রাহুলরা। তাঁদের ক্রিকেট কেরিয়ারে রয়েছে অসাধারণ সব ইনিংস। শুধু দেশের ক্রিকেটাররা নয়, বিদেশের ক্রিকেটাররাও তাঁদের আদর্শ মেনে চলেন। ইংল্যান্ডের তারকা উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান জস বাটলারও (Jos Buttler) রয়েছেন সেই দলে। নিজের অনুপ্রেরণা হিসেবে ভারতের দুই কিংবদন্তি ক্রিকেটারের নাম তুলে ধরেছেন বাটলার। এক, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় (Sourav Ganguly)। দুই, রাহুল দ্রাবিড় (Rahul Dravid)। স্মৃতিরোমন্থন করতে গিয়ে বাটলার জানিয়েছেন, ১৯৯৯ সালের বিশ্বকাপে টনটনে (Taunton) শ্রীলঙ্কার (Sri Lanka) বিরুদ্ধে সৌরভ-রাহুলের এক দুর্ধর্ষ ইনিংসের কথা। সেই ইনিংস তাঁর জীবনে বড় প্রভাব ফেলেছিল বলে জানিয়েছেন ইংলিশ ক্রিকেটার।

সালটা ১৯৯৯। চলছিল ভারত বনাম শ্রীলঙ্কা ম্যাচ। টনটনে সেদিন শুধু চার-ছয়ের বৃষ্টি দেখেছিলেন। এমনটাই বলছেন জস বাটলার। তার কথায়, “সেই সময় আমার জীবনের গুরুত্বপূর্ণ সময়। গাঙ্গুলি ও দ্রাবিড়কে সেইসময় বড় শতরান করতে দেখে আমার জীবনেও বড় প্রভাব পড়েছিল। ১৯৯৯ সাল, ভারত বনাম শ্রীলঙ্কার বিশ্বকাপের সেই ম্যাচে ভারতীয় দর্শকদের দেখার প্রথম অভিজ্ঞতা হয়েছিল আমার। দেখেছিলাম, ওই দেশের মানুষ ক্রিকেটের প্রতি কতটা আবেগপ্রবণ এবং বিশ্বকাপে খেলা কতটা সৌভাগ্যের।” ক্রিকেটের প্রতি তার পর থেকে আরও বেশি উৎসাহিত হয়েছিলেন বাটলার।

টনটনে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে সৌরভ-রাহুলের ব্যাটে ভর করে ৩৭৩ রান তোলে ভারত। ৩১৮ রানের অবিশ্বাস্য পার্টনারশিপ গড়েছিলেন দু’জন মিলে। ভারতীয় ক্রিকেটে এই পার্টনারশিপের রেকর্ড এখনও জ্বলজ্বল করছে। সেই ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে ১৫৭ হারিয়েছিল ভারত। সৌরভ ১৮৩ রানের ইনিংস খেলেছিলেন। দ্রাবিড়ের ব্যাট থেকে এসেছিল ১৪৫ রান।

আরও পড়ুন: ভারতীয় টিমে ফিরলেন সুনীল, ২৮ জন নিয়ে দোহা গেলেন স্টিমাচ