KL Rahul: ৬ মাস পর মাঠে ফিরে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে দুরন্ত সেঞ্চুরি রাহুলের!
Asia Cup 2023: ধীরে ধীরে নিজের ইনিংস সাজিয়েছেন রাহুল। হাফসেঞ্চুরি পর্যন্ত এক ছন্দে। পঞ্চাশ করার পর আর এক রূপ দেখিয়েছেন। প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামের বাইশ গজে বল থমকে আসে, আউট ফিল্ড স্লো। বৃষ্টিতে আরও মুশকিল বেড়েছিল। কিন্তু রাহুলকে থামানো যায়নি। গৌতম গম্ভীরের মতো প্রাক্তন বলছিলেন, 'রাহুলের এই ফর্ম ভারতীয় টিমকে নিশ্চিন্ত করবে। মিডল অর্ডার যদি রান করতে শুরু করে, তা হলে টিমের চাপ কমে যায়।'
মিড উইকেটের উপর দিয়ে মারা বিশাল ছয়টা দুটো প্রশ্নের উত্তর দিল। এক, চার কিংবা পাঁচ নম্বর— মিডল অর্ডার সামলানোর লোক পেয়ে গেল ভারতীয় টিম। দুই, ছ’মাস ক্রিকেটের ধারেকাছে ছিলেন না। ঘরের মাঠে বিশ্বকাপের আর এক মাসও বাকি নেই। এশিয়া কাপের ২-৩টে ম্যাচ পর্যাপ্ত কারও ফর্ম খুঁজে পাওয়ার জন্য? ছ’মাস পর ভারতীয় টিমে ফিরেই সুপারহিট লোকেশ রাহুল (KL Rahul)। সেই কারণেই হয়তো স্বস্তির সেলিব্রেশন দেখা গেল রোহিত শর্মা ও বিরাট কোহলির। ফিটনেস নিয়ে বরাবর চর্চার থেকেছেন। চোটের কারণে বহুবার ছিটকে গিয়েছেন টিম থেকে। এশিয়া কাপের ঠিক আগে সেই চোটই ছিল খবরের শিরোনামে, টিম ম্যানেজমেন্টের চিন্তাতেও। কিপিং হয়তো করবেন না। কিন্তু পাকিস্তানের বিরুদ্ধে (IND vs PAK) বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে সাবলীল, আগ্রাসী এবং দায়িত্বশীল ইনিংস খেললেন রাহুল। TV9Bangla Sports এ বিস্তারিত।
২০১১ সালে ঘরের মাঠে মহেন্দ্র সিং ধোনির টিমের বিশ্বকাপ জেতার রহস্য কী ছিল? টপ অর্ডারের পাশাপাশি মিডল অর্ডার ব্যাটারদের দুরন্ত ফর্ম। যুবরাজ সিং, ধোনির মতো ব্যাটাররা টিমকে টেনে নিয়ে গিয়েছেন। এক যুগ পর আবার ঘরের মাঠে বিশ্বকাপ। এ বারও মিডল অর্ডার নিয়ে কথা উঠছিল। যুবরাজের মতো কাউকে খুঁজছেন ক্রিকেট ভক্তরা। যিনি দায়িত্ব নেবেন, টিমকে টানবেন, পাল্টা আক্রমণ করবেন। রাহুলের উপর ভরসা রাখতে চেয়েছিল টিম ম্যানেজমেন্ট। রাহুলও নিরাশ করলেন না।
কলম্বোয় বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে সেঞ্চুরি ঝকঝকে করলেন রাহুল। রবিবার ম্যাচের প্রথমার্ধে যখন ক্রিজে এসেছিলেন, সামান্য নড়বড় দেখাচ্ছিল। ছ’মাস ক্রিকেটের বাইরে থাকার জন্যই। শুরুতে তাই ঝুঁকি নেননি। বিপক্ষের বোলারদের পড়ার চেষ্টা করেছেন। যে অঙ্কের যে নিয়ম, সেই মতোই কষেছেন। নাসিম শাহকে সিঙ্গলসে খেলেছেন, লেগস্পিনার শাদাব খানকে আক্রমণ করেছেন, শাহিনকে খেলেছেন বল অনুযায়ী। এটাই দেখতে চেয়েছিল টিম ম্যানেজমেন্ট। যে বড় ম্যাচ বড় প্লেয়ারকে হারানো ফর্ম ফিরিয়ে দেয়। বাবর আজমদের থেকে ভালো প্র্যাক্টিস আর কোথায় পেতেন রাহুল। বলা ভালো, ফিটনেস টেস্ট দিতে নেমেছিলেন রাহুল। থাই মাসলে সার্জারি করে ফিরেছেন টিমে। দৌড়তে সমস্যা হয় কিনা, দেখার ছিল। বড় ম্যাচের চাপ সামলাতে পারেন কিনা, তা দেখে নেওয়া দরকার। রাহুল একশোয় ১০০ পেলেন। ১০০ বলে ১০০ করার পথে মেরেছেন ১০চার ও ২টো বিশাল ছয়।
ধীরে ধীরে নিজের ইনিংস সাজিয়েছেন রাহুল। হাফসেঞ্চুরি পর্যন্ত এক ছন্দে। পঞ্চাশ করার পর আর এক রূপ দেখিয়েছেন। প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামের বাইশ গজে বল থমকে আসে, আউট ফিল্ড স্লো। বৃষ্টিতে আরও মুশকিল বেড়েছিল। কিন্তু রাহুলকে থামানো যায়নি। গৌতম গম্ভীরের মতো প্রাক্তন বলছিলেন, ‘রাহুলের এই ফর্ম ভারতীয় টিমকে নিশ্চিন্ত করবে। মিডল অর্ডার যদি রান করতে শুরু করে, তা হলে টিমের চাপ কমে যায়। রাহুল নিজেও চোট সারিয়ে অনেক দিন পর মাঠে এল। চমৎকার সেঞ্চুরি করে বুঝিয়ে গেল, ও তৈরি।’