Kuldeep Yadav: যন্ত্রণার ইডেনেই প্রত্যাবর্তনের নতুন গল্প কুলদীপের
IND vs SL: শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে দ্বিতীয় ওডিআই ম্যাচে ইডেন গার্ডেন্সে মোট ৩টি উইকেট নিয়েছেন ভারতের তারকা বোলার কুলদীপ যাদব।
কলকাতা: যন্ত্রণার ইডেনে (Eden Gardens) প্রত্যাবর্তন ভারতের (India) চায়নাম্যান বোলার কুলদীপ যাদবের (Kuldeep Yadav)। তিলোত্তমায় কুলদীপের অনেক সুখের স্মৃতি রয়েছে। পাশাপাশি রয়েছে দুঃখ-যন্ত্রণার স্মৃতিও। এ বার কুলদীপের স্মৃতির পাতায় জুড়ল এক সুখের মুহূর্ত। ক্রিকেটের নন্দনকাননে শ্রীলঙ্কার (Sri Lanka) বিরুদ্ধে তেইশের শুরুতে জাতীয় দলের জার্সি চাপিয়ে খেলার সুযোগ পেয়েছেন কুলদীপ। যে সুযোগের সদ্ব্যবহার করেছেন তিনি। যদিও ভারতের তারকা স্পিনার যুজবেন্দ্র চাহাল কাঁধে যন্ত্রণা অনুভব না করলে, হয়তো শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে চলতি ওডিআই সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে কুলদীপের নামাই হত না। ইডেন কুল-চা জুটির দাপট দেখল না ঠিকই। কিন্তু কুলদীপ কামালের সাক্ষী রইল। দাসুন শানাকাদের বিরুদ্ধে ১০ ওভার বল করে ৫১ রান দিয়ে ৩টি উইকেট নিয়েছেন কেকেআরের প্রাক্তন তারকা কুলদীপ। বিস্তারিত TV9Bangla-র এই প্রতিবেদনে।
মিঠে শীতে তিলোত্তমায় টসে জিতে ব্যাটিং বেছে নেন শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক দাসুন শানাকা। ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মা এক বার কুলদীপ যাদবকে তো এক বার উমরান মালিককে আক্রমণে নিয়ে আসেন। হিটম্যান সফলও হন পরিকল্পনায়। ১৭ তম ওভারে কুলদীপকে আক্রমণে আনেন রোহিত। সফল হন ভারতের চায়নাম্যান বোলার। কুশল মেন্ডিসকে লেগ বিফোর করেন। ১৭তম ওভারের শেষ বলে প্রথম উইকেট পান কুলদীপ।
এরপর ২৩তম ওভারে কুলদীপের শিকার হন প্রথম ওডিআই ম্যাচে সেঞ্চুরি করা লঙ্কান অধিনায়ক দাসুন শানাকা। শাফল করে অফস্টাম্পে গিয়েছিলেন শানাকা। সুইপ খেলার চেষ্টা করেছিলেন। কুলদীপের ডেলিভারি শানাকার লেগ স্টাম্প ছিটকে দেয়। এর ঠিক ২ ওভার পরেই তৃতীয় উইকেট প্রাপ্তি কুলদীপের। এ বার চরিথ আসালঙ্কাকে কট অ্যান্ড বোল্ড করেন কুলদীপ।
ইডেন এক সময় কুলদীপের জন্য পয়া ছিল। ২০১৭ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ইডেনেই হ্যাটট্রিক নিয়েছিলেন কুলদীপ। কিংবদন্তি কপিল দেব, হরভজন সিংয়ের পর তৃতীয় ভারতীয় বোলার হিসেবে ইডেন গার্ডেন্সে হ্যাটট্রিক করেন কুলদীপ। এ ছাড়াও ইডেনের সঙ্গে কুলদীপের একটা আলাদা অধ্যায় রয়েছে। আইপিএলে কেকেআরের হয়ে তিনি খেলেছে আট বছর। ইডেন তাঁকে অনেক কিছু দিয়েছে। কেকেআরে শুরুর কয়েক বছর নিয়মিত সুযোগ পেতেন কুলদীপ। পরবর্তীতে তিনি, দলে থাকলেও একাদশে জায়গা পেতেন না। ধীরে ধীরে কুলদীপকে ব্রাত্যের খাতায় ফেলে দিয়েছিল নাইটরা। একাধিক ম্যাচে বেঞ্চে বসে কাটাতে হয়েছিল কুলদীপকে। সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়াতে বেশ কষ্ট করতে হয়েছিল তাঁকে। এ বার সেই যন্ত্রণার ইডেন থেকেই হাসিমুখে মাঠ ছাড়লেন কুলদীপ। একটা প্রশ্ন তাও রয়ে গেল। ভালো পারফর্ম করেও কুলদীপকে কেন নিয়মিত খেলানো হচ্ছে না? এটা ভুললে চলবে না, যে চাহাল না চোট পেলে, আজ কুলদীপের এমন একটা ইনিংস দেখা যেত না।