T20 World Cup 2021: কোচ শাস্ত্রীর বাবল-দর্শনে সায় পাক অধিনায়কেরও
করোনাকালীন পরিস্থিতির জন্য খেলার পৃথিবীতে আলাদা দুনিয়া তৈরি হয়েছে। যার নাম বায়ো বাবল। দীর্ঘদিন এর মধ্যে থাকতে থাকতে ক্রিকেটারের মনের উপর চাপ পড়ে। আর সেটা প্রভাব ফেলে খেলায়।
দুবাই: ভারতীয় টিমের বাবল-ক্লান্তি নিয়ে ইতিমধ্যেই বিতর্ক তৈরি হয়ে গিয়েছে। তার মধ্যেই আবার ভারতের বিদায়ী কোচ রবি শাস্ত্রী (Ravi Shastri) নামিবিয়া ম্যাচের পর নিজের শেষ সাংবাদিক সম্মেলনে বলেছেন, বাবল-জীবন ক্রিকেটারদের কাছে খুবই যন্ত্রণাদায়ক। বিরক্তিকরও। শাস্ত্রীর এই দর্শনকে সমর্থন করছেন পাকিস্তানের ক্যাপ্টেন বাবর আজম (Babar Azam)।
এই বিশ্বকাপে (T20 World Cup) পাকিস্তান (Pakistan) দুরন্ত ক্রিকেট খেলছে। একটাও ম্য়াচ না হেরে তারা শেষ চারে পা রেখেছে। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে সেমিফাইনালে নামার আগে পাক অধিনায়ক বলে দিচ্ছেন, ‘পেশাদার ক্রিকেটে সব সময় উত্থান-পতন থাকে। হ্যাঁ এটা ঠিক যে, বায়ো বাবলে দীর্ঘদিন থাকলে বিরক্তি তৈরি হয়। অস্বস্তির শিকার হয় ক্রিকেটাররা। আমরা যাতে এই সমস্যায় না পড়ি, তার জন্য এক হয়ে থাকার চেষ্টা করি। একে অপরকে সাহায্য করি।’
করোনাকালীন পরিস্থিতির জন্য খেলার পৃথিবীতে আলাদা দুনিয়া তৈরি হয়েছে। যার নাম বায়ো বাবল। দীর্ঘদিন এর মধ্যে থাকতে থাকতে ক্রিকেটারের মনের উপর চাপ পড়ে। আর সেটা প্রভাব ফেলে খেলায়। বাবরের কথায়, ‘যদি কেউ দীর্ঘদিন বায়ো বাবলে থাকে, নেতিবাচক মনোভাব আসতে বাধ্য। আর তা একবার শুরু হয়ে গেলে কিন্তু পারফরম্যান্সে প্রভাব ফেলবেই।’
কী ভাবে পাকিস্তান টিম এই পরিস্থিতিতেও সেরাটা দিতে পারছে? বাবর বলেছেন, ‘টিমের সিনিয়ররা এ ক্ষেত্রে চমৎকার ভূমিকা নিয়েছে। যাতে দলের পরিবেশটা অত্যন্ত ভালো থাকে। প্রত্যেকে যাতে উৎসাহ দিতে পারে অন্যদের। আর সেই কারণেই আমরা সেরাটা দিতে পারছি। আমরা প্রতিটা ম্যাচে সেরা দিচ্ছি। এটা একটা অভ্যেসে বদলে ফেলার চেষ্টা করেছি। যে কোনও ম্যাচেই যাতে মাঠে নামলে একশো শতাংশ দিতে পারি। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট কিন্তু সব সময় এই একশো শতাংশ দাবি রাখে।’
গ্রুপ লিগে ভারত ও নিউজিল্যান্ডকে পর পর দুটো ম্যাচে হারিয়ে চমকে দিয়েছিল পাকিস্তান। বহু দিন পর কোনও বড় টুর্নামেন্টে পাক টিম এ ভাবে মেলে ধরেছে নিজেদের। যা নিয়ে বাবরের ব্যাখ্যা, ‘সবাই যে যার মতো দায়িত্ব নিচ্ছে। প্রত্যেকে জানে, তাকে কী করতে হবে। সেমিফাইনালেও আমরা ইতিবাচক মানসিকতা নিয়ে মাঠে নামব। তবে এটাও ভুললে চলবে না, একটা টিমের সাফল্য নির্ভর করে ওই দিন টিমের এগারো জন কী ভাবে নিজেদের তুলে ধরতে পারছে।’