Bengal vs Haryana: ঘরের মাঠে লজ্জা, রঞ্জি নকআউটের সম্ভাবনা ক্ষীণ বাংলার
Ranji Trophy 2024-25 Report: সৌরাষ্ট্র শেষ মুহূর্তে বাজিমাত করেছিল। টেস্ট স্কোয়াডে থাকা জয়দেব উনাদকাট রঞ্জি ফাইনাল খেলতে এসেছিলেন ইডেনে। বাংলার থেকে ট্রফি নিয়েও চলে যান। আর এ বার লিগ পর্বের ম্যাচে হরিয়ানার জন্য গ্রিন টপের ফাঁদ।
আশঙ্কাই সত্যি হল। প্রথম ইনিংসের ব্যাটিং ব্যর্থতাই কাল হল। ঘরের মাঠে হরিয়ানার কাছে হার। নিজেদের তৈরি ফাঁদে নিজেরাই। ঠিক যেন ২০২২-২৩ রঞ্জি ফাইনালের মতো পরিস্থিতি। সে বার ইডেনে ফাইনাল খেলেছিল বাংলা। প্রতিপক্ষ সৌরাষ্ট্র। গ্রিনটপ বানিয়েছিল বাংলা। বোলিং লাইন আপের উপর ছিল। তবে সৌরাষ্ট্র শেষ মুহূর্তে বাজিমাত করেছিল। টেস্ট স্কোয়াডে থাকা জয়দেব উনাদকাট রঞ্জি ফাইনাল খেলতে এসেছিলেন ইডেনে। বাংলার থেকে ট্রফি নিয়েও চলে যান। আর এ বার লিগ পর্বের ম্যাচে হরিয়ানার জন্য গ্রিন টপের ফাঁদ।
টস জিতে ফিল্ডিং নিয়েছিল বাংলা। ম্যাচের প্রথম দিন রাশ পুরোপুরি বাংলার হাতেই। সূরজ সিন্ধু জয়সওয়ালের বিধ্বংসী বোলিং। একাই নিয়েছিলেন ৬ উইকেট। দুটি করে উইকেট মুকেশ কুমার ও মহম্মদ কাইফের। ১৫৭ রানেই হরিয়ানাকে গুটিয়ে দিয়েছিল বাংলা। ব্যাটাররা ভালো পারফর্ম করে প্রথম ইনিংসে অন্তত ২৫০ রান করলেও ম্যাচে থাকা যেত। কিন্তু ব্যাটিং বিপর্যয়ই দেখা যায়। ১২৫ রানেই অলআউট বাংলা। হরিয়ানা টিমে অংশুল কম্পোজের মতো পেসার রয়েছেন। যদিও সিলেবাসের বাইরের প্রশ্ন হয়ে দাঁড়ান তরুণ পেসার অনুজ ঠাকরাল। তিনিও আধডজন উইকেট নিয়েছিলেন।
হরিয়ানা দ্বিতীয় ইনিংসে শুরু থেকেই একের পর এক জুটি গড়তে থাকে। আর তার সঙ্গে বাংলার হাত থেকেও ম্যাচ বেরিয়ে যাচ্ছিল। শেষ অবধি ৩৩৬ রানে অলআউট হরিয়ানা। লিড ততক্ষণে ধরাছোঁয়ার বাইরে। দ্বিতীয় ইনিংসেও বাংলার সেরা বোলার সূরজই। পাঁচ উইকেট তাঁর ঝুলিতে। মহম্মদ কাইফ তিন এবং বাকি দুটি উইকেট নেন মুকেশ কুমার। বাংলার টার্গেট দাঁড়ায় ৩৬৯ রান।
এই খবরটিও পড়ুন
কল্যাণীর পিচে হার বাঁচানো সম্ভব ছিল না বাংলার জন্য। তবে ব্যবধান কমিয়ে নেট রান রেটে আরও একটু ভালো জায়গায় থাকার সুযোগ হত। দ্বিতীয় ইনিংসে হরিয়ানার তরুণ পেসার অনুজ ঠাকরালের সঙ্গে অংশুল কম্বোজের দাপট। দু-জনই চারটি করে উইকেট নেন। বাংলার সর্বাধিক স্কোরার অভিজ্ঞ ঋদ্ধিমান সাহা। ২৫ রানে অপরাজিত ঋদ্ধিমান। বাংলা মাত্র ৮৫ রানেই অলআউট। হরিয়ানার হয়ে অভিষেক ম্যাচ খেলতে নামা অনুজ ঠাকরাল ম্যাচের সেরা।
বাংলার গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচ ৩০ জানুয়ারি থেকে। ঘরের মাঠে পঞ্জাবের বিরুদ্ধে খেলবে বাংলা। সেই ম্যাচেও শুভমন গিল খেলতে পারেন। পঞ্জাবের বিরুদ্ধে ইনিংসে জিতলেও নকআউটে যাওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ।