IND vs ENG T20 WC: ঋষভ-কার্তিকের ধোঁয়াশা রেখেই দিলেন রোহিত, চোট নিয়ে কী বললেন?
Rohit Sharma : ওকে ম্যাচের সুযোগ দিতে চেয়েছিলাম, বিকল্পও খোলা রাখছিলাম। হঠাৎ ওকে সেমিফাইনালে নামিয়ে নেওয়া বা ফাইনালে নামিয়ে দেওয়া ঠিক হত না। কোন টিমের বিরুদ্ধে খেলব সেটাও তো ক্লিয়ার ছিল না। একজন বাঁ হাতি দরকার। তবে সেমিফাইনালেও ওই খেলবে, সেটাও নিশ্চিত নয়।
কলকাতা : টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ (T20 World Cup 2022) চ্যাম্পিয়ন হতে আরও দুটে ধাপ পেরোতে হবে ভারতীয় (Team India) দলকে। প্রথম ধাপ আগামিকাল। প্রতিপক্ষ ইংল্যান্ড (England)। সেমিফাইনালের আগে অনুশীলনে অধিনায়ক রোহিত শর্মার চোট কিছুটা আতঙ্ক বাড়িয়েছিল। পুনরায় তিনি নেটে ফেরায় স্বস্তিও ছিল। কিছুক্ষণ আগে সাংবাদিক সম্মেলনে নিজের চোট নিয়ে আপডেটও দিলেন রোহিত। সেমিফাইনালে ঋষভ পন্থ নাকি দীনেশ কার্তিক, সেই প্রশ্নেরও জবাব দিলেন ভারত অধিনায়ক। আইসিসি-র ভার্চুয়াল সাংবাদিক সম্মেলনে ছিলেন TV9Bangla-র প্রতিনিধিও। রোহিত সাংবাদিক সম্মেলনে যা বললেন, সবটাই তুলে ধরা হল।
টুর্নামেন্টে ভারতের পারফরম্য়ান্স এবং পরবর্তী লক্ষ্য: দারুণ সুযোগ আমাদের কাছে। এখনও অনেক কিছু বাকি। ভালো ক্রিকেট খেলতে হবে। নিজেদের পরিকল্পনা ধরে রাখতে হবে। ভুললে চলবে না, ব্যাট-বলের লড়াই, এতদিন যা বিশ্বাস ছিল, সেটা ধরে রাখতে হবে।
নকআউটে বেশ রোহিত সহ বেশ কয়েকজনের রেকর্ড ভাল নয়: নকআউট ম্যাচ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এখানে একটাই সুযোগ। সকলের জন্যই। তবে একটা নক আউট ম্যাচ দিয়ে কারও যোগ্যতা নির্ধারণ হয় না। গুরুত্বটা বুঝি। সারা বছর যে পরিশ্রম করি, সেটার জন্যও গর্বিত হওয়ার রয়েছে। এই ফর্ম্যাটে অনেক কিছুই হতে পারে। দুটো বড় দল ছিটকে গেছে, সেটাও আমরা দেখেছি। এটা টুর্নামেন্টের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ধাপ। একটা পার্ট পেরিয়ে এসেছি। আরও দুটো ধাপ বাকি। নকআউট গুরুত্বপূর্ণ, বছরের পর বছর যে পারফরম্যান্স, পরিশ্রম করে এসেছে প্লেয়াররা, সেটাও ভুললেও চলবে না। নকআউটে একটা খারাপ পারফরম্যান্স কখনও কারও মাপকাঠি হতে পারে না।
প্রতি মাঠে আলাদা বাউন্ডারি সাইজ: এ বারের প্রতিযোগিতায় এটা সত্যিই চ্যালেঞ্জ। গত বিশ্বকাপে এই চ্যালেঞ্জ ছিল না। এখানে কোথাও সোজা বাউন্ডারি বড়, কোথাও স্কোয়ার বাউন্ডারি। যারা এখানে খেলেনি তাদের কাছে একটু চাপ ছিল। আমরা দ্রুত মানিয়ে নিয়েছি। গত ম্যাচ মেলবোর্নে খেলেছি। এখানে আবার নতুন করে মানিয়ে নিতে হবে। এখানে স্ট্রেট বাউন্ডারি বড়। সেই অনুযায়ী বোলিং করতে হবে। শুধু মাঠে নেমে ব্যাট চালালেই হবে না। আগে মানিয়ে নিতে হবে। হয়তো সে কারণেই পাওয়ার প্লে-তে একটু সময় লাগছে বুঝে নিতে।
অক্ষর প্যাটেলের পারফরম্যান্স: একেবারেই চিন্তিত নই। ও তো ঠিকঠাক বোলিংয়েরই সুযোগ পায়নি। পরিস্থিতিও ওর পক্ষে ছিল না। অক্ষরকে ব্যবহারের সুযোগই পাইনি। সিমাররাই ফুল কোটার বোলিং করেছে। কারও একটা খারাপ প্রতিযোগিতা যাওয়া মানেই ও অফ ফর্মে রয়েছে তা নয়। এই ম্যাচে হয়তো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে।
সূর্যর ব্যাটিং: ও এমন একজন, যে কোনও চাপ নিয়ে নামে না। ওর কাছে প্রচুর সুটকেস থাকে, শপিং পছন্দ করে (সাংবাদিক সম্মেলনে হাসির রোল)। কিন্তু ও এভাবেই খেলতে পছন্দ করে। দলের স্কোর যাই থাক, অর্থাৎ ১০-২ হোক বা ১০০-২, ও নিজের মতোই খেলতে ভালোবাসে। ও এখানে পরিণত ক্রিকেটও খেলছে। নিজের খেলার ধরন সম্পর্কে পরিষ্কার। বাকি ব্যাটারদের চাপ কমিয়ে দেয়। ও ছোট বাউন্ডারি পছন্দ করে না। বড় মাঠে, গ্যাপ বের করতে ওর কাছে সুবিধা হয়।
নিজের চোট প্রসঙ্গে এবং ঋষভকে একটা ম্যাচেই সুযোগ নাকি বাকি দুটি ম্যাচে ঋষভই খেলছে: গত কাল প্র্যাক্টিসে আমার চোট লেগেছিল। তবে আমি এখন ঠিক আছি। আর প্রশ্নের দ্বিতীয় পার্ট নিয়ে বলি, ঋষভ খেলার সুযোগই পায়নি। তাই ওকে ম্যাচের সুযোগ দিতে চেয়েছিলাম, বিকল্পও খোলা রাখছিলাম। হঠাৎ ওকে সেমিফাইনালে নামিয়ে নেওয়া বা ফাইনালে নামিয়ে দেওয়া ঠিক হত না। কোন টিমের বিরুদ্ধে খেলব সেটাও তো ক্লিয়ার ছিল না। একজন বাঁ হাতি দরকার। তবে সেমিফাইনালেও ওই খেলবে, সেটাও নিশ্চিত নয়।
ইংল্যান্ডের মাটিতে সিরিজ জয়, বিশ্বকাপে বাড়তি আত্মবিশ্বাস: ইংল্যান্ডের মাঠে ওদের হারানো সহজ ছিল না। তবে ভাল লেগেছিল। এই ম্যাচে কিছুটা আত্মবিশ্বাস থাকবে। তবে ভুললে চলবে না, এই দলের অনেকেই ওই সিরিজে ছিল না, তেমনই, যারা ছিল তাদের অনেকেই এখানে নেই। আমাদের নতুন একটা ম্যাচ, ফ্রেশ মাইন্ডে খেলতে হবে। বারবার একই ফল হবে না। ইংল্যান্ড বিপজ্জনক দল। আমাদের সেরাটা দিতে হবে।