Sachin Tendulkar: দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে হিরো কাপ জয়ের স্মৃতিচারণায় সচিন তেন্ডুলকর

১৯৯৩ সালের হিরো কাপের (1993 Hero Cup) সেমিফাইনাল ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার (South Africa) বিরুদ্ধে বল হাতে তুলে নিয়ে ভারতকে (India) জিতিয়েছিলেন মাস্টার ব্লাস্টার।

Sachin Tendulkar: দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে হিরো কাপ জয়ের স্মৃতিচারণায় সচিন তেন্ডুলকর
Sachin Tendulkar: দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে হিরো কাপ জয়ের স্মৃতিচারণায় সচিন তেন্ডুলকর (ছবি-টুইটার)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 26, 2021 | 7:00 PM

নয়াদিল্লি: মাস্টার ব্লাস্টার সচিন তেন্ডুলকারের (Sachin Tendulkar) ব্যাটিং কীর্তি সম্পর্কে সকলেই জানেন। তা ছাড়া বল হাতেও তাঁর অনেক গল্প বিখ্যাত। ১৯৯৩ সালের হিরো কাপের (1993 Hero Cup) সেমিফাইনাল ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার (South Africa) বিরুদ্ধে বল হাতে তুলে নিয়ে ভারতকে (India) জিতিয়েছিলেন মাস্টার ব্লাস্টার। ওই ম্যাচে সচিন শেষ ওভারে বল করেছিলেন। ম্যাচ জিততে দঃ আফ্রিকার প্রয়োজন ছিল ৬ রান। কিন্তু মাত্র তিন রান দিয়েছিলেন লিটল মাস্টার। যার ফলে প্রোটিয়াদের হারিয়ে ভারত জিতে যায় দুই রানে। এই ম্যাচের অভিজ্ঞতা সম্পর্কে একটি ভিডিও নিজের ইউটিউব চ্যানেলে শেয়ার করেছেন সচিন। এই ম্যাচে তিনি মাত্র একটি ওভারই বল করেছিলেন, তবে এই ওভারটিই ছিল ম্যাচের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ওভার।

নিজের ইউটিউব চ্যানেলে পোস্ট করা ভিডিওতে সচিনকে বলতে শোনা যায়, “আমার মনে আছে আমি ৫০ ওভার পর্যন্ত একবারও একটা বলও করিনি। কারণ ওই সময় বেশ ঠাণ্ডা ছিল। আমার শরীর সেই সময় শক্ত হয়ে গিয়েছিল। আমার আঙুলগুলোও শক্ত হয়ে গিয়েছিল। এমনকি সেই সময় আমি ওয়ার্ম আপ করার জন্যও অনেক বেশি সময় নিয়েছিলাম।”

তবে তা সত্ত্বেও তখনকার ভারত অধিনায়ক মহম্মদ আজহারউদ্দিনকে সচিন জানান তিনি শেষ ওভারে বল করার জন্য আত্মবিশ্বাসী। এ ব্যাপারে সচিন বলেন, “ম্যাচের মাঝে আমরা এ ব্যাপারে কথা বলেছিলাম। আজহারকে আমি বলেছিলাম আমি বল করতে পারলে খুশি হব এবং আমি শেষ ওভারে বল করার জন্য আত্মবিশ্বাসী এবং তার পর ঠিক করা হয়েছিল শেষ ওভারে আমিই বল করব। তবে আমি শুধুমাত্র ওকে পরামর্শ দিয়েছিলাম যে, আমি শেষ ওভারে বল করতে আত্মবিশ্বাসী। ও চাইলে আমি বল করতে রাজি।”

তিনি আরও বলেন, “শেষ ওভারের প্রতিটা বলের গুরুত্ব রয়েছে। প্রতিটা রানেরও গুরুত্ব রয়েছে। আমি সেই ভাবেই ওয়ার্ম আপ করেছিলাম। সেই সময় দর্শকদের উপস্থিতি, তাদের চিৎকারটা অসাধারণ ছিল। প্রতিটা ডট বল দারুণ সাড়া ফেলছিল দর্শকদের মধ্যে। এবং ওটা দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেটারদের ওপর চাপ সৃষ্টি করছিল। আর তার পরই সেই জয়ের মুহূর্ত।”

আরও পড়ুন: India vs New Zealand: অভিষেক টেস্টে সেঞ্চুরির স্বপ্নে রাতভর ঘুমোননি শ্রেয়স