Sachin Tendulkar: ‘ওডিআই ক্রিকেট একঘেয়ে লাগছে’ , সচিন দিলেন নতুন ফর্ম্যাটের প্রস্তাব
ODI: একদিনের ক্রিকেটের ফর্ম্যাটে বদল আনার দাবি তুললেন সচিন। একইসঙ্গে মাস্টার ব্লাস্টার নতুন ফর্ম্যাট আনার কথাও জানিয়েছেন।
নয়াদিল্লি: দেশের মাটিতে একদিকে চলছে ভারত-অস্ট্রেলিয়া (India vs Australia) ওডিআই (ODI) সিরিজ। অন্যদিকে কিংবদন্তি সচিন তেন্ডুলকর (Sachin Tendulkar) ওডিআই ফর্ম্যাটের ভবিষ্যৎ নিয়ে বড় মন্তব্য করেছেন। দিন কয়েক আগেই ওডিআই ক্রিকেটের ফর্ম্যাটে বদল আনা নিয়ে মুখ খুলেছিলেন ভারতের প্রাক্তন তারকা ক্রিকেটার রবি শাস্ত্রী। এ বার শাস্ত্রীর সুরেই সচিনও একদিনের ক্রিকেটের ফর্ম্যাটে বদল আনার দাবি তুললেন। একইসঙ্গে মাস্টার ব্লাস্টার নতুন ফর্ম্যাট আনার কথাও জানিয়েছেন। সম্প্রতি এক সংবাদ ওয়েবসাইটের অনুষ্ঠানে সাক্ষাৎকারে তিনি ওডিআই ক্রিকেটের একঘেয়ে হয়ে যাওয়ার কথা বলেছেন। আর কী কী বলেছেন সচিন? বিস্তারিত জেনে নিন TV9Bangla-র এই প্রতিবেদনে।
টি-২০ ক্রিকেট নিয়ে বরাবরই হইচই হয়ে এসেছে। টি-২০-র পাশাপাশি চলছে টি-১০-ও। এর মাঝে ওডিআই ক্রিকেট দিন দিন আগ্রহ হারিয়ে ফেলছে। দর্শকদের কাছে অনেক সময় ওডিআই ক্রিকেট একঘেয়ে হয়ে উঠছে। এমনটাই মনে করছেন সচিন তেন্ডুলকর। তিনি বলেন, “নিঃসন্দে এই ফর্ম্যাট একঘেয়ে হয়ে গিয়েছে। এই ফর্ম্যাটে দু’টি ইনিংসে দু’টি নতুন বল দিয়ে দুই প্রান্ত থেকে খেলা হচ্ছে। যার ফলে রিভার্স সুইংয়ের ব্যাপারটাও থাকছে না। কারণ একটা ম্যাচে যদি ৪০ ওভারও হয়। তা হলে একটি বলকে ২০ ওভারের বেশি ব্যবহার করা যাচ্ছে না। ৩০ ওভারের মাথায় বল রিভার্স করা শুরু করে। দু’টো নতুন বল থাকায় তাই সেই ব্যাপারটাই এখন আর থাকছে না।”
মাস্টার ব্লাস্টার আরও বলেন, “এখন ম্যাচটা কোনদিকে গড়াবে তা যেন খুব প্রত্যাশিত হয়ে যাচ্ছে। ১৫ থেকে ৪০ ওভারের মধ্যেও দারুণ কিছু ঘটছে না। ফলে ধীরে ধীরে এটা বিরক্তিকর হয়ে উঠছে।” ওডিআই ফর্ম্যাট বিরক্তিকর হয়ে ওঠার ফলে, সচিন নতুন ফর্ম্যাটের প্রস্তাব দিয়েছেন। তাঁর মতে, ২৫ ওভারের ইনিংস চালু করা দরকার। তিনি বলেন, “তা হলে দুই দলই প্রথম ও দ্বিতীয়ার্ধে বোলিং করবে। বাণিজ্যিকভাবে এটি আরও কার্যকর হবে, কারণ দু’টির পরিবর্তে তিনটি ইনিংস বিরতিও থাকবে।”
ওডিআই ক্রিকেটে ফিল্ডিংয়ের সীমাবদ্ধতা বোলারদের কাছে কঠিন পরীক্ষা হয়ে উঠছে। একথা উল্লেখ করে সচিন আরও বলেন, “আমি কয়েকজন স্পিনারদের সঙ্গেও আলোচনা করেছি। সার্কেলের মধ্যে পাঁচজন ফিল্ডার থাকলে কীভাবে ওরা বোলিং করে আমি আসলে সেটা বোঝার চেষ্টা করতাম। ওরা সকলেই বলের লাইন ও লেন্থ বদলাতে ভয় পায়। কারণ এতে ব্যাটাররা তাদের ওপর চাপ বাড়াতে পারে। সার্কেলের মধ্যে মাত্র পাঁচ জন ফিল্ডার রেখে দুই প্রান্ত থেকে দু’টো নতুন বল দিয়ে ব্যাটারের মোকাবিলা করা খুবই কঠিন হয়ে যায়।”