IND vs AUS: টেস্টে ‘কেত’ দেখানোর জায়গা নেই, অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে সাবধানী ঈশান

Shubman Gill-Ishan Kishan: ভারতের টেস্ট দলে প্রথমবার ডাক পাওয়ার পর, বন্ধু-সতীর্থ শুভমন গিলের সঙ্গে খোশমেজাজে আড্ডায় ঈশান কিষাণ।

IND vs AUS: টেস্টে 'কেত' দেখানোর জায়গা নেই, অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে সাবধানী ঈশান
শুভমন গিল ও ঈশান কিষাণImage Credit source: BCCI Twitter
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 17, 2023 | 1:37 PM

হায়দরাবাদ: আর মাস খানেক পর প্যাট কামিন্সের অস্ট্রেলিয়া আসছে ভারত সফরে। এ বারের মতো শেষ বার বর্ডার-গাভাসকর ট্রফি হতে চলেছে চার ম্যাচের টেস্ট সিরিজের। ৯ ফেব্রুয়ারি থেকে রয়েছে ভারত-অস্ট্রেলিয়া প্রথম টেস্ট ম্যাচ। কিছুদিন আগেই শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে সীমিত ওভারের সিরিজ চলাকালীন, বিসিসিআইয়ের পক্ষ থেকে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে প্রথম দুই টেস্ট ম্যাচের জন্য ভারতীয় দল ঘোষণা করা হয়েছে। এই প্রথম বার লাল বলের ক্রিকেটে জাতীয় দলে ডাক পেয়েছেন ভারতের তারকা উইকেটকিপার-ব্যাটার ঈশান কিষাণ (Ishan Kishan)। বর্তমানে ঈশান রয়েছেন হায়দরাবাদে। আগামী কাল থেকে, (১৮ জানুয়ারি) নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ওডিআই সিরিজ শুরু হবে ভারতের। তার ফাঁকে বন্ধু-সতীর্থ শুভমন গিলের (Shubman Gill) সঙ্গে খোশমেজাজে আড্ডায় দেখা গিয়েছে ঈশান কিষাণকে। বিসিসিআইয়ের পক্ষ থেকে তাঁদের সাক্ষাৎকারের ভিডিয়ো তুলে ধরা হয়েছে। বিস্তারিত TV9Bangla-র এই প্রতিবেদনে।

শুভমন: সাদা বলের ক্রিকেটে ভালো পারফর্ম করার পর লাল বলের ক্রিকেটে, ভারতের টেস্ট দলে প্রথম বার ডাক পেয়ে কেমন লাগছে?

ঈশান: খুব ভালো লাগছে। আমি যখন সাদা বলের ক্রিকেটে খেলতাম, তখন আমাকে বাবা বলত, টেস্ট ক্রিকেট এমন, যেখানে অনেক বেশি চ্যালেঞ্জ রয়েছে। ব্যাটসম্যানদের স্কিলের পরীক্ষা সেখানে হয়। তাই একটা আলাদা পর্যায়ে গিয়ে খেলতে হয়। যখন আমি জানতে পারি, টেস্ট দলে সুযোগ পেয়েছি, ভীষণ খুশি হয়েছিলাম। এখানে এত ভালো ভালো ক্রিকেটার রয়েছে। আমার মনে হয়, আসল খেলা টেস্ট ক্রিকেটকেই ধরা হয়। আমি যদি টেস্টে খেলার সুযোগ পাই চেষ্টা করব, দলকে জেতানোর।

শুভমন: টেস্ট টিমে ডাক পাওয়ার পর, বাড়ি থেকে প্রথম কার ফোন এসেছিল? কী কথা হয়েছিল?

ঈশান: বাড়ি থেকে ফোন আসেনি। আমি নিজেই বাড়িতে কল করে জানিয়েছিলাম যে আমি টেস্ট দলে ডাক পেয়েছি। বাবা তখন আমাকে বলেছিল, এভাবেই পরিশ্রম করে যাও।

শুভমন: তুমি রঞ্জি ট্রফিতেও খেলেছ, কেমন এক্সপিরিয়েন্স?

ঈশান: লাল বলে ক্রিকেট খেলতে আমি ভীষণ ভালোবাসি। ওখানে বল সুইং হয়। একটু স্লেজিং হয়। সময় থাকে হাতে। রান করার চাপ থাকে না। পরিস্থিতি কখনও সহজ তো কখনও কঠিন হয়। ওই পরিস্থিতিতে রঞ্জি ট্রফি খেলতে ভালোবাসি আমি।

শুভমন: ওডিআই ও টি২০ ক্রিকেটে অভিষেক ম্যাচে প্রথম বলে চার বা ছয় মেরেছিলে, টেস্ট ক্রিকেটেও তেমনই কোনও ভাবনা কী রয়েছে?

ঈশান: আমি যেখানে ব্যাটিং করি, ছয় নম্বরে, সেখানে টেস্ট ক্রিকেটে পরিস্থিতি দেখে খেলতে হবে। যদি দেখি দলের অবস্থা ভালো নয়, সেখানে আমি প্যাশন দেখাতে গিয়ে কোনও ভুল শট খেলে ফেলি। সেটা দলের জন্য খুব খারাপ হবে। এখন খেলতে খেলতে একটা অভিজ্ঞতা হয়েছে, যে টেস্টে চার-ছয় বেশি মারার থেকে গুরুত্বপূর্ণ, কীভাবে দলকে ভালো জায়গায় পৌঁছে দিতে পারি। তবে হ্যাঁ, তেমন বল পেলে, ফিল্ডারদের তেমন জায়গায় দেখলে তখন সেই মতো শট খেলার চেষ্টা করব।

শুভমন: তা হলে তুমি বলছো পরিস্থিতি দেখে খেলো, চার-ছয়ের কথা ভাবো না?

ঈশান: না আসলে তেমনটা নয়, এই নিয়ে ভাবি ঠিকই। সাদা বলের ক্রিকেটে আর লাল বলের ক্রিকেটে অনেক পার্থক্য আছে। সাদা বলে ছয় নম্বরে নামলেও এতটা সুইং হয় না। লাল বলে বোলার কিন্তু সেটা মাঝে মধ্যেই করে। তরুণদের মতো হুটহাট শট না খেলে, তাই অনেক সময় মাথা খাটিয়ে শট খেলার প্রয়োজন হয়ে পড়ে।