Syed Mushtaq Ali Trophy: ওডিশার বিরুদ্ধে বিশাল জয় বাংলার, ত্রিপুরার হয়ে অর্ধশতরান ঋদ্ধির

Bengal: ম্যাচ শেষে বাংলার কোচ লক্ষ্মীরতন শুক্লা বলেন, 'প্রতিটা জয়ই স্পেশাল। তবে আত্মতুষ্ট হওয়ার জায়গা নেই আমাদের। প্লেয়ারদের বলেছিলাম দাপুটে ক্রিকেট খেলতে এবং নিজেদের সেরাটা দিতে।

Syed Mushtaq Ali Trophy: ওডিশার বিরুদ্ধে বিশাল জয় বাংলার, ত্রিপুরার হয়ে অর্ধশতরান ঋদ্ধির
Image Credit source: twitter
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 14, 2022 | 9:03 PM

লখনউ : সৈয়দ মুস্তাক আলি টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে (Syed Mushtaq Ali Trophy) বাংলার প্রথম ম্যাচটি বৃষ্টিতে ভেস্তে গিয়েছিল। দ্বিতীয় ম্যাচে ওডিশার বিরুদ্ধে নেমেছিল বাংলা (Bengal)। ওডিশাকে ৮ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে হারাল বাংলা। কোচ হিসেবে অভিষেক হল প্রাক্তন অলরাউন্ডার লক্ষ্মীরতন শুক্লার। বড় জয়েই অভিষেক। বাংলার জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিলেন পেসার মুকেশ কুমার (Mukesh Kumar)। ধারাবাহিক পারফরম্যান্সের জেতে সদ্য দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে জাতীয় দলে জায়গা পেয়েছিলেন মুকেশ। অভিষেক না হলেও জাতীয় দলের পরিকল্পনায় ভালোভাবেই রয়েছেন মুকেশ। সৈয়দ মুস্তাক আলিতে ধারাবাহিকতা দেখাতে পারলে একদিকে যেমন বাংলা ক্রিকেটের জন্য সুখবর, তেমনই আন্তর্জাতিক অভিষেকও সময়ের অপেক্ষা মুকেশের।

ওডিশার বিরুদ্ধে টসে জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় বাংলা। পেস জুটি মুকেশ কুমার-আকাশ দীপের সামনে অসহায় দেখায় প্রতিপক্ষ টপ অর্ডারকে। প্রথম ওভারেই ধাক্কা মুকেশের। রানের চাপ বাড়তে থাকায় অফস্পিনার ঋত্বিক চট্টোপাধ্যায়ের বোলিংয়ে বড় শট খেলার চেষ্টায় উইকেটও হারায়। ওডিশার প্রথম পাঁচ ব্যাটসম্যান এক অঙ্কের রানে ফেরেন। সর্বাধিক ২৪ রান অধিনায়ক অভিষেক রাউতের। মুকেশ কুমার এবং ঋত্বিক ৩টি করে উইকেট নেন। বাঁ হাতি স্পিনার রনজ্যোৎ খাইরা ১ ওভারে ৪ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন। ওডিশা ১৮.১ ওভারে ৮৬ রানেই অলআউট। রান তাড়ায় প্রথম বলেই ধাক্কা বাংলার। রনজ্যোৎ খাইরা ফেরেন প্রথম বলে। অধিনায়ক অভিমন্যু ঈশ্বরণ একদিক আগলে রাখেন। সুদীপ ঘরামি ২৯ রান করেন। অভিমন্যু অপরাজিত ৩৭ এবং অভিষেক পোড়েল অপরাজিত ২০ রান। ১৪.৩ ওভারে মাত্র ২ উইকেট হারিয়েই জয় বাংলার।

ম্যাচ শেষে বাংলার কোচ লক্ষ্মীরতন শুক্লা বলেন, ‘প্রতিটা জয়ই স্পেশাল। তবে আত্মতুষ্ট হওয়ার জায়গা নেই আমাদের। প্লেয়ারদের বলেছিলাম দাপুটে ক্রিকেট খেলতে এবং নিজেদের সেরাটা দিতে। খেলোয়াড় জীবনেও প্রতিপক্ষকে নিয়ে খুব বেশি ভাবিনি। এখনও আলাদা কিছু নয়। নিজের দলকে নিয়েই ভেবেছি, প্লেয়ারদের টিম গেমের কথা বলেছি। বাকিটা দেখা যাক।’

এ বারই বাংলা ছেড়ে ত্রিপুরা পাড়ি দিয়েছেন উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্য়ান ঋদ্ধিমান সাহা। রয়েছেন বাংলার আরেক ব্যাটসম্যান সুদীপ চট্টোপাধ্যায়ও। দ্বিতীয়জন রান পেলেন না। অনবদ্য অর্ধশতরানের ইনিংস খেলেন ঋদ্ধিমান সাহা। দলের ভরাডুবিতে ৫৫ বলে ৬২ রান করেন ঋদ্ধি। ৬টি বাউন্ডারি এবং ১টি ওভার বাউন্ডারি মারেন তিনি। পঞ্জাবের কাছে ৯ উইকেটে হারল তারা।