Virat-Sourav Watch Video : পুরনো তিক্ততার জের! হাত মেলালেন না সৌরভ-বিরাট…রইল ভিডিয়ো

Virat Kohli-Sourav Ganguly : আরসিবির তারকা তথা দেশের প্রাক্তন অধিনায়ক বিরাট কোহলি ও দিল্লি ক্য়াপিটালসের ক্রিকেট ডিরেক্টর সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের মধ্যে করমর্দন হল না।

Virat-Sourav Watch Video : পুরনো তিক্ততার জের! হাত মেলালেন না সৌরভ-বিরাট...রইল ভিডিয়ো
Image Credit source: twitter
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Apr 15, 2023 | 10:08 PM

বেঙ্গালুরু : পুরনো তিক্ততার জের! এমনটাই মনে হতে পারে। বেঙ্গালুরুর চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হয়েছিল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর ও দিল্লি ক্যাপিটালস। এ বারের আইপিএলে টানা পঞ্চম ম্যাচে হার দিল্লি ক্য়াপিটালসের। ম্যাচ শেষে সৌজন্যমূলক ভাবে হাত মেলায় দু-দলই। প্লেয়ার-সাপোর্ট স্টাফ সকলেই। কিন্তু চিন্নাস্বামীর মাঠে দেখা গেল অন্য় দৃশ্য। প্লেয়াররা সকলেই প্রতিপক্ষ প্লেয়ার এবং সাপোর্ট স্টাফদের সঙ্গে হাত মেলালেন। কিন্তু আরসিবির তারকা তথা দেশের প্রাক্তন অধিনায়ক বিরাট কোহলি ও দিল্লি ক্যাপিটালসের ক্রিকেট ডিরেক্টর সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের মধ্যে করমর্দন হল না। সোশ্য়াল মিডিয়ায় রীতিমতো ট্রেন্ডিং সেই ভিডিয়ো। শুধুই কি ভুল বোঝাবুঝি কিংবা ব্যস্ততা! নাকি পুরনো তিক্ততা? ভিডিয়ো সহ বিস্তারিত রইল TV9Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।

অনিল কুম্বলে কোচ থাকাকালীনই সৌরভ গঙ্গোপাধ্য়ায়ের সঙ্গে তৎকালীন অধিনায়ক বিরাট কোহলির মতবিরোধের শুরু। অনিল কুম্বলেকে কোচ হিসেবে পছন্দ ছিল না বিরাটের। যদিও কোচ হিসেবে জাতীয় দলকে সাফল্য় দিয়েছেন অনিল কুম্বলে। বিরাটের পছন্দ না হওয়ায় তাঁকে বাধ্য হয়েই সরে দাঁড়াতে হয়। ২০১৭ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির পরই কুম্বলের চুক্তি শেষ হওয়ার ছিল। বোর্ডের কর্তারা তাঁকে পুনরায় আবেদন করতে বলেন। বিরাট কোহলিকে বোঝানোর দায়িত্ব পড়ে বোর্ডের পরামর্শদাতা কমিটির সদস্য সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের। যদিও সৌরভের কথাতেও মত বদলাননি বিরাট কোহলি। এরপর সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের প্রেসিডেন্ট হন। ২০২০ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগেই বিরাট কোহলি ঘোষণা করেন, বিশ্বকাপের পরই এই ফরম্য়াটে নেতৃত্ব ছাড়বেন। তবে ওডিআই এবং টেস্টে নেতৃত্ব চালিয়ে যেতে চান।

সে বারের বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্বেই ছিটকে যায় ভারত। এরপর নতুন বছরে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের আগে ওডিআই নেতৃত্ব কেড়ে নেওয়া হয় বিরাট কোহলির। সে সময়ই নানা মতবিরোধ দেখা দেয়। বোর্ড সভাপতি একটি সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, বিরাটকে নেতৃত্ব ছাড়তে মানা করেছিলেন। যদিও বিরাট পাল্টা দাবি করেছিলেন, তাঁকে কেউ মানা করেনি নেতৃত্ব ছাড়তে। এমনকি ওডিআই নেতৃত্ব থেকে সরানোর মাত্র দেড় ঘণ্টা আগে তাঁকে জানানো হয়েছিল। সেই থেকেই বিরাট-সৌরভের তিক্ততা বাড়তে থাকে। এ দিন ম্য়াচ শেষে হাত না মেলানো যেন তারই জের।