ডার্বিতে ব্রাইটই ‘এক্স’ ফ্যাক্টর
শুক্রবার আইএসএলের ফিরতি ডার্বি। ফতোরদায় রয় কৃষ্ণা বনাম ব্রাইট এনোবাখারের লড়াই
বছরের শুরু থেকেই এই ম্যাচটার জন্য অপেক্ষা করে আছি। অনেকেই বলছে, পয়েন্টের মতোই শুক্রবারে ডার্বিতে এগিয়ে থেকে শুরু করবে মোহনবাগান। কিন্তু আমি মনে প্রাণে বিশ্বাস করি, কিছুই অসম্ভব নয়। পিলকিংটনরা যদি ১০০ শতাংশ দিয়ে দল হিসাবে খেলতে পারে তা হলে অবশ্যই জিততে পারে।
আমি মনে করি, বড় ম্যাচে লাল-হলুদের এক্স ফ্যাক্টর হল ব্রাইট। ব্রাইট আসায় ব্রাইটনেস বেড়েছে লাল-হলুদের। গোল করতে পারে আর গোলের সুযোগও তৈরি করতে পারে। তবে মনে রাখতে হবে, একজনকে দিয়ে বড় ম্যাচ জেতা যায় না। বাকিদেরও ব্রাইটকে যোগ্য সঙ্গত করতে হবে। মোহনবাগানও নিশ্চয়ই ব্রাইটকে আটকানোর পরিকল্পনা করবে। তাই ফাউলারকেও প্ল্যান বি তৈরি রাখতে হবে। ও যদি আটকে যায় তা হলে ফাউলারের গেমচেঞ্জার কে হবে, সেটাই দেখার।
ফাউলারের না থাকাটা খুব একটা ফ্যাক্টর হবে বলে আমি মনে করি না। কেননা, মাঠে খেলবে তো ফুটবলাররাই। পিলকিংটন, মাগোমাদেরই মাঠে লড়াই করে ম্যাচটা বের করতে হবে।
আরও পড়ুন:অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের সেমিফাইনালে উঠে ইতিহাস কারাতসেভের
বড় ম্যাচ এলেই আমাদের মনে ভিড় করে অনেক স্মৃতি। এখনও আমার মনে আছে, প্রথম বড় ম্যাচের আগের ঘটনা। আমি তখন কালিন্দির একটা মেসে থাকি। ম্যাচের আগের দিন সন্ধেয় মেসে এলেন তখনকার ফুটবল সচিব বাবু ভট্টাচার্য। বাবুদা সটান জিজ্ঞাসা করলেন, তোমরা কেন এখানে খেলতে এসেছ? আমরা বললাম, ট্রফি জিততে, লিগ জিততে। সবাইকে অবাক করে দিয়ে উনি বললেন, ট্রফির থেকেও কালকের ম্যাচটা জেতা বেশি জরুরি। আমরা মনে মনে ভাবলাম, বাবুদা কিরকম লোক রে বাবা! পরের দিন মাঠে দিয়ে ভুল ভাঙল। সেই ম্যাচের আগে আমি কখনও ডার্বি দেখিনি। টানেল থেকে উঠে গ্যালারির দিকে তাকাতেই চমকে গেলাম। ভরা গ্যালারিতে দুই দলের প্রায় পঞ্চাশ-ষাট হাজার করে দর্শক। মনে মনে বলেছিলাম নিজেকে, সমর্থকদের জন্যই বড় ম্যাচটা জিততে হবে।
(অনুলিখন ভিত্তিক সাক্ষাৎকার)