Emiliano Martinez: ক্যান্সার আক্রান্ত শিশুদের পাশে এমি, নিলামে বিশ্বকাপ ফাইনালের গ্লাভস
গত বছরের বিশ্বকাপের ফাইনাল ম্যাচে আর্জেন্টিনার গোলকিপার এমিলিয়ানো মার্তিনেজের (Emiliano Martinez) হাতে যে গ্লাভস জোড়া ছিল, তা এ বার নিলামে বিক্রি হয়েছে। এক মহৎ কাজে সেই নিলামের বিক্রি হওয়া গ্লাভসের টাকা দিয়েছেন ডিবু।

রোজারিও: ফ্রান্সকে হারিয়ে ২০২৩ সালের বিশ্বকাপ ট্রফি দেশে নিয়ে গিয়েছিল লিওনেল মেসির আর্জেন্টিনা। কাতার বিশ্বকাপের (Qatar World Cup 2022) ফাইনালে হুগো লরিসের ফ্রান্সকে টাইব্রেকারে হারান মেসি-ডি’মারিয়ারা। গত বছরের বিশ্বকাপের ফাইনাল ম্যাচে আর্জেন্টিনার গোলকিপার এমিলিয়ানো মার্তিনেজের (Emiliano Martinez) হাতে যে গ্লাভস জোড়া ছিল, তা এ বার নিলামে বিক্রি হয়েছে। এক মহৎ কাজে সেই নিলামের বিক্রি হওয়া গ্লাভসের টাকা দিয়েছেন ডিবু। আসলে ক্যান্সার আক্রান্ত শিশুদের হাসপাতালের (Cancer Hospital) জন্য ‘গোল্ডেন গ্লাভস’ জয়ী মার্তিনেজ তাঁর স্মৃতিজড়িত গ্লাভস জোড়া নিলামে তুলেছিলেন। কত টাকায় বিক্রি হয়েছে এমিলিয়ানো মার্তিনেজের বিশ্বকাপ ফাইনালের গ্লাভস? বিস্তারিত জেনে নিন TV9Bangla-র এই প্রতিবেদনে।
সংবাদ সংস্থা এএফপির রিপোর্ট অনুযায়ী, শুক্রবার মার্তিনেজের কাতার বিশ্বকাপ ফাইনালের গ্লাভসের নিলামে উঠেছিল। ৪৫ হাজার ডলারে তা বিক্রি হয়েছে। ভারতীয় মুদ্রায় যা প্রায় ৩৭ লক্ষ টাকা। ডিবুর গ্লাভসের জন্য নিলাম থেকে পাওয়া অর্থ পাবে আর্জেন্টিনার গারাহান হাসপাতালে।
নিলামের সময় ভিডিয়ো কল মারফত ইংল্যান্ড থেকে যোগ দিয়েছিলেন আর্জেন্টিনার হয়ে বিশ্বকাপ জেতা গোলকিপার এমি মার্তিনেজ। তিনি বলেন, “বিশ্বকাপের গ্লাভস নিলামে বিক্রি করে সাহায্যের সুযোগ পাওয়ায় আমি আর দ্বিধাবোধ করিনি। কারণ এর থেকে পাওয়া অর্থ দিয়ে বাচ্চাদের উপকার হবে।”
Emiliano Martínez will auction his World Cup final gloves to raise money for cancer patients ?❤️ pic.twitter.com/5EbHjghVHz
— Barça Worldwide (@BarcaWorldwide) February 18, 2023
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে নিজের বিশ্বকাপ ফাইনালের গ্লাভস জোড়া নিলামে তোলার খবর ঘোষণা করেছিলেন আর্জেন্টিনার গোলকিপার এমিলিয়ানো। তখন ওই গ্লাভস জোড়াতে অটোগ্রাফও দিয়েছিলেন তিনি। বিশ্বকাপ ফাইনালে যে গ্লাভস পরে দলকে জিতিয়েছিলেন, তা স্বাভাবিকভাবেই ডিবুর কাছে বিশেষ। সে কথা তিনি স্বীকার করেন। তবে তা যদি ক্যান্সার আক্রান্ত বাচ্চাদের সাহায্যে লাগে তাতে তিনি আরও বেশি খুশি হতেন। তাই তিনি বলেন, “বিশ্বকাপ ফাইনাল তো আর প্রতিদিন হয় না, যার ফলে ওই গ্লাভস জোড়া বিশেষ। কিন্তু আমার ঘরে এটা ঝুলে থাকার চেয়ে শিশুদের সাহায্যে লাগবে সেটাই বেশি ভালো।”





