ATK Mohun Bagan: দেশের অন্যতম সেরা মিডফিল্ডার আশিক কুরুনিয়ানকে সই করিয়ে চমক সবুজ-মেরুনের

ভারতীয় টিমের হয়ে প্রায় পাঁচ বছর খেলছেন। টিমের অন্যতম স্তম্ভ বলা যেতে পারে তাঁকে। সেই আশিককে সই করিয়ে যে সবুজ-মেরুনের গভীরতা অনেকখানি বাড়ল, তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই।

ATK Mohun Bagan: দেশের অন্যতম সেরা মিডফিল্ডার আশিক কুরুনিয়ানকে সই করিয়ে চমক সবুজ-মেরুনের
দেশের অন্যতম সেরা মিডফিল্ডার আশিক কুরুনিয়ানকে সই করিয়ে চমক সবুজ-মেরুনেরImage Credit source: Twitter
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 20, 2022 | 3:12 PM

কলকাতা: জল্পনা ছিলই। তাই সত্যি হল। দেশের অন্যতম সেরা উইঙ্গার আশিক কুরুনিয়ানকে (Ashique Kuruniyan) সই করিয়ে নিল এটিকে মোহনবাগান (ATK Mohun Bagan)। সোমবারই সবুজ-মেরুনের চুক্তিপত্রে সই করে দেন তিনি। বেঙ্গালুরু এফসির ফুটবলারকে পাঁচ বছরের জন্য সই করাল বাগান। স্পেনের নামী ক্লাব ভিয়ারিয়ালের যুব টিমে খেলেছেন আশিক। ভারতীয় টিমের হয়ে প্রায় পাঁচ বছর খেলছেন। টিমের অন্যতম স্তম্ভ বলা যেতে পারে তাঁকে। সেই আশিককে সই করিয়ে যে সবুজ-মেরুনের গভীরতা অনেকখানি বাড়ল, তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। আশিকের সঙ্গেই ৫ বছরের জন্য সই করানো হল আশিস রাইকেও। রাইটব্যাক আশিস হায়দরাবাদ এফসির হয়ে গত কয়েক মরসুমই চমৎকার পারফর্ম করছেন। এটিকে মোহনবাগানের কোচ হুয়ান ফেরান্দো যে আগামী বছরের জন্য ঘর গোছানোর কাজটা বেশ ভালো ভাবেই শুরু করে দিয়েছেন।

লেফট উইং এবং লেফটব্যাক, দুটো জায়গাতেই খেলতে অভ্যস্ত আশিক। ভারতীয় টিমেরও অন্য়তম সেরা অস্ত্র। এএফসি এশিয়ান কাপের যোগ্যতা পর্বের তিনটে ম্য়াচই খেলেছেন তিনি। তাঁর পাস থেকে গোলও হয়েছে। ক্যাপ্টেন সুনীল ছেত্রীর সঙ্গে তাঁর তালমেল চোখে পড়ার মতো ছিল। বিএফসি ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে থেকেই তাঁকে প্রস্তাব দিয়েছিল মোহনবাগান। ২৫ বছরের মালাপ্পুরামের নিজেও মোহনবাগানের মতো নামী ক্লাবে খেলার জন্য মুখিয়ে ছিলেন। ৫ বছরের চুক্তি তাই প্রমাণ করে। ক্লাবের চুক্তিপত্রে সই করার পর ঘুরে দেখেছেন শতাব্দী প্রাচীন ক্লাবের আধুনিক পরিকাঠামো।

সই করার পর আশিক বলেছেন, ‘ইউরোপের ক্লাবের যুব টিমে খেলার অভিজ্ঞতা আছে আমার। কলকাতায় এসে মোহনবাগান টিমের পরিকাঠামো ঘুরে দেখেছি। যে কোনও ফুটবলারের স্বপ্ন থাকে কলকাতায় খেলার। সে দিক থেকে দেখলে তো এটিকে মোহনবাগান দেশের অন্যতম সেরা ক্লাব। সেই ফেরান্দোর মতো সফল কোচকে পাশে পাব। দেশের হয়ে যুবভারতীতে এশিয়ান কাপের ম্যাচ খেলার সময় এখানকার ফুটবলপ্রেমী মানুষদের আবেগ দেখেছি। স্টেডিয়ামে জাতীয় পতাকার সঙ্গে সবুজ-মেরুন পতাকাও দেখেছিলাম। আমার একটাই লক্ষ্য, অগণিত মোহনবাগান সমর্থকদের তৃপ্তি দেওয়া। সবুজ-মেরুন জার্সি পরে মাঠে নামার জন্য মুখিয়ে আছি।’

আশিকের মতো ২৩ বছরের সিকিমের ফুটবলার আশিসেরও কলকাতায় খেলার স্বপ্ন ছিল। দেশের হয়ে যুব টিমে খেললেও সিনিয়র টিমে খেলার সুযোগ এখনও পাননি। তবে এশিয়ান কাপের যোগ্যতা পর্বের ম্যাচ দেখেছেন গ্যালারিতে বসে। আশিস বলেছেন, ‘আমার অনেক দিনের স্বপ্ন ছিল কলকাতায় খেলার। প্রস্তাব পাওয়ার পর আর অন্য কিছু ভাবিনি। সঙ্গে সঙ্গে রাজি হয়ে গিয়েছিলাম। সবুজ-মেরুন জার্সির একটা বিরাট ঐতিহ্য আছে। সেই জার্সি পরে খেলব, ভাবলেই রোমাঞ্চ বোধ করছি। কোচ ফেরান্দোর আগ্রাসী ফুটবল আমার ভীষণ পছন্দের। ফেরান্দোর কোচিংয়ে দেশের সেরা ক্লাবের জন্য মানসিক প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করে দিয়েছি। কয়েক দিন আগেই যুবভারতীতে ভারতের খেলার দেখার সময় বুঝতে পেরেছিলাম, কেন কলকাতাকে ফুটবলের শহর বলে। ক্লাবকে চ্যাম্পিয়ন করাটাই লক্ষ্য।’