বাগানকে থামাতে রয়-রোখো ছক ওড়িশার

আইএসএলে জয়ের হ্যাটট্রিকের লক্ষ্যে নামছে হাবাসের দল। ২ ম্যাচে ৬ পয়েন্ট এটিকে মোহনবাগানের।

বাগানকে থামাতে রয়-রোখো ছক ওড়িশার
প্রস্তুতিতে এটিকে মোহনবাগানের গোলমেশিন রয় কৃষ্ণা। ছবি-টুইটার
Follow Us:
| Updated on: Dec 03, 2020 | 10:00 AM

TV9 বাংলা ডিজিটাল: বড় ম্যাচে জয়ী টিম পরের ম্যাচে পয়েন্ট নষ্ট করে। আত্মতুষ্টির কবলে পড়ে। প্রচীন ময়দানি প্রবাদের কথা কি শুনেছেন আন্তোনিও হাবাস? পর পর দুটো ম্যাচ জিতে আইএসএলে শুরু থেকেই রীতিমতো ছন্দে এটিকে-মোহনবাগান(ATK MOHUN BAGAN)। ডার্বির পরও রয় কৃষ্ণা-মনবীর সিংয়ের মধ্যে যে আত্মতুষ্টি ঢোকেনি, জোর গলায় বলছেন হাবাস। স্প্যানিশ কোচের সাফ কথা, ‘দুটো ম্যাচ জেতার পর তিন নম্বরটাও যাতে জিততে পারি, সে দিকেই নজর রেখেছি। এটুকু বলতে পারি, আমার টিমে কোনও রকম আত্মতুষ্টি নেই। ফুটবলার-রা পেশাদার‍। ওরা জানে, প্রতিটা ম্যাচ জিততে গেলে কী করতে হয়। ওদের পারফরম্যান্সে আমি সন্তুষ্ট।’

আজ ওড়িশা এফসির (ODISHA FC)  বিরুদ্ধে তৃতীয় ম্যাচ খেলতে নামছে হাবাসের টিম। আগের দুটো ম্যাচের পর আগ্রাসী ফুটবলই লক্ষ্য তাঁর। তিনটে পয়েন্ট তুলে আনার জন্য বিপক্ষের সমস্ত দুর্বলতা খুঁজে বের করার চেষ্টা করছেন তিনি। হায়দরাবাদ এফসির বিরুদ্ধে প্রথমার্ধে ০-২ পিছিয়ে পড়েও ওড়িশার দিয়েগো মৌরিসিও জোড়া গোল করে এক পয়েন্ট এনে দিয়েছেন টিমকে। তাঁর সঙ্গে ভাবনায় রাখতে হবে ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড মার্সেলিনহোকেও।

হাবাস কোনও ভনিতা ছাড়াই বলছেন, ‘মার্সেলিনহো আইএসএলের অন্যতম সেরা ফুটবলার‍। ও হয়তো গত বছর সে ভাবে পারফর্ম করতে পারেনি। কিন্তু এ বার ও সেরাটা দেওয়ার জন্য মুখিয়ে আছে। সেটপিসে যেমন দুরন্ত, খেলাটাও তৈরি করতে পারে। ওর দিকে নজর রাখতে হবে।’

ওড়িশার কোচ স্টুয়ার্ট ব্যাক্সটারকে অবশ্য ভালোই চেনেন হাবাস। দক্ষিণ আফ্রিকায় কোচিং করানোর সময় স্টুয়ার্টের বিরুদ্ধে বেশ কিছু ম্যাচ খেলেছেন সবুজ-মেরুন কোচ। সেই অভিজ্ঞতা থেকেই হাবাস বলছেন, ‘স্টুয়ার্টকে আমি খুব ভালো করেই চিনি। অভিজ্ঞ কোচ। ওর কোচিংয়ে ওডিশা যে ভালো কিছু করার চেষ্টা করবে, এ নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। সেই কারণে সতর্ক থাকতে হবে আমাদের‍।’

হাবাস যখন বিপক্ষ টিমের খুঁটিনাটি জেনে রেখেছেন, স্টুয়ার্টও তেমনই। গোলের ছন্দে থাকা রয় কৃষ্ণা, সুপারসাব মনবীর সিং, মাঝমাঠের গভীরতা, ডিফেন্সের ভারসাম্য— সবই তাঁর জানা। ডার্বি ম্যাচ খুঁটিয়ে দেখেছেন। ইস্টবেঙ্গলকে যে বিরতির পর আর খেলা ধরতেই দেয়নি হাবাসের টিম, তাও খুব ভালো করেই জানেন।

আরও পড়ুন:সুইচ হিট ব্যান করার দাবি তুললেন ইয়ান চ্যাপেল

স্টুয়ার্ট বলওছেন, ‘ওদের টিমটা খুব ব্যালান্সড। দীর্ঘদিন একসঙ্গে খেলছে বলে একে অপরকে খুব ভালো করে চেনেও। বিশেষ করে ওদের ফরোয়ার্ডরা দারুণ ফর্মে আছে। যদি ওরা সামান্য জায়গাও পায়, তা হলে বিপক্ষকে চাপে ফেলে দেবে।’