Kolkata Derby: দর্শক ভর্তি স্টেডিয়ামে ডার্বি, সতীর্থদের বড় ভরসা প্রীতমের অভিজ্ঞতা

'মাঠে নামার আগে কারও অ্যাডভান্টেজও থাকে না। নিজেদের দক্ষতা অনুযায়ী খেলতে পারলে, মরসুমের প্রথম ডার্বি আমরাই জিতব এ বিষয়ে কোনও সংশয় নেই।'

Kolkata Derby: দর্শক ভর্তি স্টেডিয়ামে ডার্বি, সতীর্থদের বড় ভরসা প্রীতমের অভিজ্ঞতা
Image Credit source: TWITTER
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 27, 2022 | 8:44 PM

কলকাতা : তিন বছর পর কলকাতায় ফের বড় ম্যাচ (Emami East Bengal vs ATK Mohunbagan)। আবারও পরিচিত সেই ছবি। গ্যালারি ভর্তি দর্শক। গত পাঁচটি ডার্বিই জিতেছে এটিকে মোহনবাগান। এর মধ্যে শেষ চারটি ডার্বি হয়েছে গোয়ায়। আইএসএলে জৈব-সুরক্ষা বলয়ে ম্যাচ। দর্শকহীন গ্যালারি। অনেক ফুটবলারের কাছে হয়তো সেটা স্বস্তির। যারা ডার্বির মর্ম বোঝেন, তাদের কাছে একেবারেই নয়। এটিকে মোহনবাগানের অন্যতম অধিনায়ক প্রীতম কোটালই যেমন। ডার্বি খেলার অনেক অভিজ্ঞতা তাঁর। দর্শকশূন্য গ্যালারিতেই শুধু নয়, দর্শকভর্তি মাঠেও খেলেছেন। বর্তমান এটিকে মোহনবাগান স্কোয়াডের কাছে প্রীতমের অভিজ্ঞতা বড় সম্পদ। ডার্বির আবহ, চাপ এবং জয়ের আনন্দ। সবটাই সতীর্থদের বোঝাচ্ছেন প্রীতম কোটাল (Pritam Kotal)।

কলকাতায় বড় ম্যাচ প্রসঙ্গে প্রীতম কোটাল বলছেন, ‘বাংলার যে কোনও ফুটবলারের কাছেই ডার্বি একটা আবেগ। সবুজ মেরুন জার্সিতে অনেক ডার্বি খেলেছি। সদস্য, সমর্থকদের কাছে এই ম্যাচের গুরুত্ব কতটা, খুব ভালোভাবেই জানি। এই ম্যাচ জেতা আমাদের কাছে চ্যালেঞ্জ। মেরিনার্সরা যাতে ম্যাচ শেষে আনন্দ করতে করতে বাড়ি ফিরতে পারেন, সেটা মাথায় রাখতে হবে। আমাদের বেশিরভাগ ফুটবলারেরই ডার্বি খেলার এবং জেতার অভিজ্ঞতা রয়েছে। তবে সেটা ফাঁকা মাঠে। এ বার দর্শকভর্তি যুবভারতীতে খেলতে হবে। সমর্থকরা দ্বাদশ ব্যক্তি। ওদের উল্লাস, উন্মাদনায় যাতে কেউ চাপে পড়ে না যায়, সেটাই সকলকে বোঝাতে হচ্ছে।’

এবারের ডুরান্ড কাপ অভিযানের শুরু সুখকর হয়নি এটিকে মোহনবাগানের। প্রথম ম্যাচে হার। গত ম্যাচে ড্র। নিজেদের ভুলেই এমনটা হয়েছে। মেনে নিচ্ছেন এটিকে মোহনবাগানের দুই ফুটবলার প্রীতম কোটাল এবং জনি কাউকো। প্রীতম বলছেন, ‘শেষ দুটি ম্যাচে আমাদের ভুলের জন্যই পয়েন্ট নষ্ট হয়েছে। সমর্থক, সদস্যদের মতো আমরাও সেটা নিয়ে চিন্তিত। ড্রেসিংরুমে এটা নিয়ে আলোচনাও হয়েছে। সকলকে বলেছি, আগের ম্যাচে কী হয়েছে সেটা ভুলে যেতে। ডার্বি জিতলে সব আপশোস চলে যাবে। নিজেদের একশো শতাংশ উজাড় করে দেওয়ার কথা বলেছি। ডার্বির কোনও ভবিষ্যতবাণী হয় না। মাঠে নামার আগে কারও অ্যাডভান্টেজও থাকে না। নিজেদের দক্ষতা অনুযায়ী খেলতে পারলে, মরসুমের প্রথম ডার্বি আমরাই জিতব এ বিষয়ে কোনও সংশয় নেই।’ প্রীতমের সতীর্থ জনি কাউকো বলছেন, ‘ডার্বির গুরুত্ব আমি জানি। আগের ডার্বি গোয়ায় খেলেছি। গ্যালারি ফাঁকা থাকলেও সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচুর সাড়া পেয়েছি। এই ম্য়াচ কতটা গুরুত্বপূর্ণ তার আভাস সেখানেই পাওয়া গিয়েছে। এবার মাঠে প্রচুর সমর্থক থাকবে। আমাদের প্রেরণা জোগাবে। গত দু’ম্যাচে সুযোগগুলো কাজে লাগাতে পারিনি। ডার্বি সবসময়ই গুরুত্বপূর্ণ। সেটা ফিনল্যান্ড হোক কিংবা কলকাতা।’

সমর্থক উপস্থিতি তাতাবে নাকি বাড়তি চাপে ফেলবে! রবিবাসরীয় যুবভারতীতে তারই পরীক্ষা।