Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

East Bengal vs Punjab FC: সিভেরিওর গোলে ডুরান্ডের কোয়ার্টার ফাইনালে ইস্টবেঙ্গল

East Bengal vs Punjab FC Match report: ক্লেটন নামতে বেশ কিছু সুযোগ তৈরি হয়। যদিও এত সুযোগ তৈরি করে স্কোর লাইনে বদল না হওয়ায় কিছুটা অস্বস্তি লাল-হলুদ শিবিরে। ইস্টবেঙ্গল কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাত এই ম্যাচের আগেও বলেছেন, উন্নতির কথা। ফিনিশিংয়ের ক্ষেত্রে ইস্টবেঙ্গলকে যে অনেক অনেক উন্নতি করতে হবে, নিঃসন্দেহে বলা যায়।

East Bengal vs Punjab FC: সিভেরিওর গোলে ডুরান্ডের কোয়ার্টার ফাইনালে ইস্টবেঙ্গল
Image Credit source: twitter
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 16, 2023 | 7:56 PM

ডুরান্ড কাপের গ্রুপ এ-তে সহজ হিসেব ছিল আজ। জিতলেই নকআউটে জায়গা করে নিত ইস্টবেঙ্গল। পঞ্জাব এফসির বিরুদ্ধে ম্যাচের ২২ মিনিটে সিভেরিওর গোলে এগিয়ে যায় ইস্টবেঙ্গল। প্রতিটি দলের কাছেই একটা পজিটিভ দিক, গোলের সুযোগ তৈরি করা। ইস্টবেঙ্গল সেটা করতে পারল। কিন্তু স্কোরলাইন বদল হল না। শেষ অবধি পঞ্জাব এফসির বিরুদ্ধে ১-০ ব্যবধানে জিতে এই গ্রুপের সেরা দল হিসেবে ডুরান্ড কাপের কোয়ার্টার ফাইনালে জায়গা করে নিল ইস্টবেঙ্গল। বিস্তারিত জেনে নিন TV9Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।

গত শনিবার বড় ম্যাচের দিনই পৌঁছেছিলেন ইস্টবেঙ্গলের গত মরসুমের নায়ক ক্লেটন সিলভা। ডার্বিতে তাঁকে পাওয়া যায়নি। পঞ্জাব ম্যাচের আগে নতুন যোগ দেওয়া পারদো এবং ক্লেটন দু–জনেই প্রস্তুতি সারেন। ক্লেটনকে অবশ্য শুরু থেকে খেলাননি কার্লেস কুয়াদ্রাত। বোরহা, সিভেরিওদের নিয়েই কম্বিনেশন সাজান। প্রথম ম্যাচে রেড কার্ড দেখায় ডার্বিতে পাওয়া যায়নি নিশু কুমারকে। পঞ্জাবের বিরুদ্ধে ফেরেন নিশু। ডার্বি জয়ের আত্মবিশ্বাস নিয়ে কিশোর ভারতী ক্রীড়াঙ্গনে পঞ্জাব এফসির বিরুদ্ধে নেমেছিল ইস্টবেঙ্গল। শুরু থেকেই দাপুটে ফুটবল খেলার চেষ্টা।

ম্যাচের ২০ মিনিটে ফ্রি-কিক পায় ইস্টবেঙ্গল। প্রতিপক্ষ বক্সের বাঁ দিকের কোনা থেকে বোরহার শট লক্ষ্যেই ছিল। কোনওরকমে তা আটকান পঞ্জাব এফসি গোলরক্ষক কিরণ কুমার লিম্বু। পরের মিনিটেই এগিয়ে যায় ইস্টবেঙ্গল। কর্নার থেকে হেডে গোল করেন হাভিয়ের সিভেরিও। শর্ট কর্নার নেয় ইস্টবেঙ্গল। নাওরেম মহেশের ছোট্ট পাস, সেখান থেকে বোরহার মাপা ক্রস। পাওয়ারফুল হেডারে ইস্টবেঙ্গলকে এগিয়ে দেন সিভেরিও।

ম্যাচের ৩৯ মিনিটে নাওরেম মহেশের অনবদ্য সেন্টার। ফ্লাইং হেডে আরও একটা গোলের সুযোগ ইস্টবেঙ্গলের। কিন্তু পোস্টে লেগে বেরিয়ে যায় বল। অল্পের জন্য ইস্টবেঙ্গলের স্কোরলাইন ২-০ হয়নি। প্রথমার্ধে তিন মিনিট অ্যাডেড টাইম দেওয়া হয়। সে সময়ই হুয়ান মেরার কর্নার। নাওরেম মহেশের ফাউলে ফ্রি-কিক পায় পঞ্জাব এফসি। হুয়ান মেরা ফ্রি-কিক নেন। ডিরেক্ট ফ্রি-কিক, তবে ক্রসবারের ওপর দিয়ে। ১-০ এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় ইস্টবেঙ্গল।

দ্বিতীয়ার্ধে ম্যাচে ফেরার মরিয়া চেষ্টা পঞ্জাব এফসির। বল পজেশনেও তারা এগিয়ে ছিল। তবে সুযোগ তৈরি হচ্ছিল না। ইস্টবেঙ্গলের জন্য গ্যালারিতে প্রচুর সমর্থন। যা আরও আত্মবিশ্বাসী করে তোলে লাল-হলুদ জার্সি ফুটবলারদের। ৬৬ মিনিটে বোরহা হেরেরার পরিবর্তে নামানো হয় সদ্য যোগ দেওয়া হোসে পারদোকে। লাল-হলুদ জার্সিতে অভিষেক হল তাঁর। ৭২ মিনিটে ক্লেটন সিলভাকে নামাতেই বাড়তি উন্মাদনা গ্যালারিতে। ৭২ মিনিটে প্রতিপক্ষর হ্যান্ডবল। বক্সের কোনায় ফ্রি-কিক পায় ইস্টবেঙ্গল। পরিবর্ত হিসেবে নেমেই অনবদ্য ফ্রি-কিক, অল্পের জন্য ক্রসবারের ওপর দিয়ে। দুর্দান্ত একটা ফ্রি-কিক ছিল।

ক্লেটন নামতে বেশ কিছু সুযোগ তৈরি হয়। যদিও এত সুযোগ তৈরি করে স্কোর লাইনে বদল না হওয়ায় কিছুটা অস্বস্তি লাল-হলুদ শিবিরে। ইস্টবেঙ্গল কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাত এই ম্যাচের আগেও বলেছেন, উন্নতির কথা। ফিনিশিংয়ের ক্ষেত্রে ইস্টবেঙ্গলকে যে অনেক অনেক উন্নতি করতে হবে, নিঃসন্দেহে বলা যায়।