Ballon D’Or: মেসি না রোনাল্ডো, ভোট দিয়েছিলেন কাকে? ব্যালন ডি’অর ভোট বদল, ব্যাপক বিতর্ক!
Ballon D'Or: এ এক আশ্চর্য অভিযোগ। ভোট দিয়েছিলেন কাকে? আর ভোট পেলেন কে? এই দুইয়ের মাঝে পড়ে অস্বস্তিতে খোদ জাতীয় দলের নেতাই। যখন সত্যিটা জানতে পারলেন...

প্যারিস: প্রতি বছরই ব্যালন ডি ‘ অর (Ballon D’Or) পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ফ্রান্স ফুটবল নামক ফ্রেঞ্চ সংবাদ পত্রিকা। দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী লিওনেল মেসি (Lionel Messi) এবং ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো (Cristiano Ronaldo) বরাবরই সম্ভাব্য জয়ীদের তালিকার শীর্ষে থাকেন। সেই পুরস্কার নিয়েই কিনা তুলকালাম। এমন পরিস্থিতি যে হতে পারে, কেউই ভাবেননি। ভোট দিয়েছিলেন এক ফুটবলারকে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে জানলেন, যাঁকে ভোট দিয়েছিলেন, তিনি সেই ভোট পাননি। পেয়েছেন অন্য একজন! এমনও যে হতে পারে, বিশ্বাসই করতে পারছেন না ওই ফুটবলার। আর তাই তিনি যে দাবি করেছেন, তা জেনে রীতিমতো অবাক হয়ে ফুটবল বিশ্ব। বিস্তারিত জেনে নিন TV9Bangla–র এই প্রতিবেদনে।
ব্যালন ডি’অরের অনুষ্ঠানের ভোটদান পর্ব নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন প্রাক্তন ফুটবলার জুভেনাল এডজোগো। গিনির জাতীয় দলের এই প্রাক্তন অধিনায়ক আলাভেস এবং লেভন্তের মতো ক্লাবেও খেলেছেন। ব্যালন ডি’অর পুরস্কারের ক্ষেত্রে যদি এমন ভোট বদল হয়, তা হলে এর কোনও যৌক্তিকতাই নেই বলে মনে করছেন তিনি। কী তাঁর অভিযোগ ?
গিনি জাতীয় দলের প্রাক্তন অধিনায়ক এডজোগোর অভিযোগ, ২০১৩ সালের ব্যালন ডি অরের ভোটদান পর্বে তিনি আন্দ্রে ইনিয়েস্তা ও দিদিয়ের দ্রোগবাকে ভোট দিয়েছিলেন। কিন্তু সেই ভোটিং সামনে আসার পর দেখা যায় তাঁর ভোট বদলে গিয়েছে। ইনিয়েস্তা, দ্রোগবার বদলে সেই ভোট পেয়েছেন মেসি ও রোনাল্ডো। জুভেনাল প্রায় ১০ বছর পর মুখে খুলেছেন সেই বিতর্ক নিয়ে। বলেছেন, “আমার পছন্দের তিনজন ফুটবলারকে আমি ভোট দিয়েছিলাম। কিন্তু পরে জানতে পারলাম, আমার দেওয়া ভোটগুলি বদলে গিয়েছে। তার বদলে দেখা যাচ্ছে যে, আমি ভোট দিয়েছি মেসি ও রোনাল্ডোকে। যেটা একেবারেই ঠিক নয়। এইজন্যেই আমি এই ধরনের পুরস্কারকে একেবারেই মান্যতা দিই না।”
সম্প্রতি ফিফার বর্ষসেরা ফুটবলার হিসেবে বিবেচিত হয়েছেন বিশ্বকাপজয়ী আর্জেন্টাইন তারকা লিওলেন মেসি। কিলিয়ান এমবাপে, করিম বেনজেমাদের হারিয়ে এই খেতাব জেতেন ৩৫ বছরের এই ফরোয়ার্ড। বিশ্বকাপ জয়ের পর এ বছরের ব্যালন ডি’অর খেতাব জয়েরও খুব কাছাকাছি চলে এসেছেন তিনি। কিন্তু ভোট বদলে যাওয়ার এই অভিযোগের পর এই পুরস্কারের কতটা মর্যাদা থাকবে, সেটা নিয়ে চিন্তিত বিশেষজ্ঞদের একাংশ। প্রশ্ন যে অনেকে তুলতে শুরু করেছেন, তা নিয়েও কোনও দ্বিমত নেই।





