Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Antony Santos: ড্রাগ ডিলারদের মাঝে ছেলেবেলা কেটেছে রোনাল্ডোর এই সতীর্থর

একটা সময় সিআর সেভেনের এই সতীর্থর ঘুমোনোর জন্য বিছানা ছিল না, ফুটবল খেলার জন্য ভালো জুতো ছিল না। শৈশব কেটেছিল ড্রাগ ডিলারদের মধ্যে।

Antony Santos: ড্রাগ ডিলারদের মাঝে ছেলেবেলা কেটেছে রোনাল্ডোর এই সতীর্থর
ড্রাগ ডিলারদের মাঝে ছেলেবেলা কেটেছে রোনাল্ডোর এই সতীর্থরImage Credit source: Antony Santos Twitter
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 15, 2022 | 8:00 AM

লন্ডন: জীবনে কতটা পরিশ্রম করলে সাফল্য আসে? তার কী কোনও নির্দিষ্ট পরিমাণ হয়? অনেকে ভালো ভাগ্য নিয়েই জন্মায়। আবার কেউ কেউ নিজের ভাগ্য নিজে গড়ে নেন। একটা সময় ঘুমোনোর জন্য বিছানা ছিল না, ফুটবল খেলার জন্য ভালো জুতো ছিল না। শৈশব কেটেছিল ড্রাগ ডিলারদের মধ্যে। কথা হচ্ছে ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডের (Manchester United) জার্সিতে অভিষেক হওয়া ব্রাজিলিয়ান তারকা অ্যান্টনি স্যান্টোসকে (Antony Santos) নিয়ে। ট্রান্সফারের শেষ দিনে রেকর্ড অর্থে (৮৫.৫ মিলিয়ন ইউরো) রেড ডেভিলসে যোগ দিয়েছেন অ্যান্টনি। এ বার রোনাল্ডোর দল ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডে নতুন সফর শুরু করেছেন আয়াক্সের প্রাক্তন প্লেয়ার। ব্রাজিলের সাও পাওলোর ফাভেলাতে বেড়ে ওঠা অ্যান্টনির। ছেলেবেলায় বাস্তব জীবনের নানা দিক দেখে ফেলেছিলেন অ্যান্টনি।

মনের জোর রেখেছিলেন, একদিন সাফল্য পাবেন। আজ তা পেয়েছেন অ্যান্টনি। ২২ বছরের অ্যান্টনি যেভাবে এখন জীবনযাপন করেন, এক কালে তা পাওয়ার স্বপ্নও দেখেননি তিনি। সম্প্রতি স্কাই স্পোর্টসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে অ্যান্টনি নিজের ছেলেবেলার কথা তুলে ধরেন।

অ্যান্টনি যেখানে বেড়ে উঠেছেন, সেই ফাভেলা ‘লিটল হেল’ নামে পরিচিত। তিনি বলেন, “ফাভেলার একটা নম্র ছেলে আমি। আমার ফুটবল খেলার জন্য ভালো বুট ছিল না। শুধু তাই নয়। আমার বেডরুমও ছিল না। আমি সোফাতে ঘুমোতাম।”

অ্যান্টনির বাড়ির সামনেই ড্রাগ ডিলারদের ব্যবসা চলত। তিনি এ ব্যপারে বলেন, “ফাভেলার মাঝখানে আমরা যেখানে থাকতাম, সেখানে আমাদের বাড়ির ২০ গজ দূরেই থাকত ড্রাগ ডিলাররা। রবিবার কখনও কখনও আমরা গাঁজার গন্ধ পেতাম। ছেলেবেলায় আমরা ভাই-বোনেরা মিলে একে অপরকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতাম।”

ছেলেবেলায় অ্যান্টনি এমন দিন কাটিয়েছেন, যখন রাতের বেলায় তাঁদের বাড়িতে বৃষ্টির জল ঢুকে যেত। এবং তিনি ও তাঁর পরিবারের সকলে মিলে সেই জল বের করতেন। সবটাই তাঁরা একসঙ্গে করেছেন হাসিমুখে। পুরনো দিনের কথা বলতে গিয়ে অ্যান্টনি জানান, এমন অনেক দিন গিয়েছে যখন সকাল ৯টায় স্কুলের জন্য বেরিয়ে গিয়ে রাত ন’টায় বাড়ি ফিরে কিছু খাওয়ার থাকত না। কোনওদিন আধপেটা তো, কোনওদিন অভুক্ত অবস্থায় ঘুমোতে হত অ্যান্টনি ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের। দেখতে দেখতে সব বদলে গিয়েছে। উল্লেখ্য, ২০১০ সালে সাও পাওলোর যুব দলে যোগ দিয়েছিলেন। ২০২০ সালে আয়াক্সে সই করার আগে অবধি তিনি সাও পাওলো দলেই ছিলেন। এ বার তিনি খেলছেন রেড ডেভিলসে।