কলকাতা লিগ বনাম ডুরান্ড ইস্যুতে আইএফএ-র পাশেই ক্লাবজোট
ডুরান্ড বনাম কলকাতা লিগ ইস্যুতে আইএফএর পাশেই রয়েছে ময়দানের ক্লাবগুলো। সিএফএলে অংশ নেওয়া সমস্ত ক্লাবই জানায়, যে কোনও টুর্নামেন্টকেই বাংলায় স্বাগত।
কলকাতা: ১৭ আগস্ট থেকে শুরু কলকাতা ফুটবল লিগ (Calcutta Football League)। প্রিমিয়ার ডিভিশন এ-তে অংশ নেওয়া সমস্ত ক্লাবের কর্তাদের সঙ্গে বৃহস্পতিবার বৈঠকে বসে আইএফএ (IFA)। উল্লেখযোগ্য, এ দিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন এসসি ইস্টবেঙ্গলের সিইও শিবাজী সমাদ্দার। কলকাতা লিগ খেলার ব্যাপারে ইচ্ছে প্রকাশ করলেও চূড়ান্ত কোনও সিদ্ধান্ত জানাননি। তার একটাই কারণ। চুক্তি জট ইস্যু। মূল চুক্তিপত্রে ক্লাব সই না করলে, বিনিয়োগ করবে না বিনিয়োগকারী সংস্থা। সেই সিদ্ধান্তে এখনও অনড় ইনভেস্টর। তাই অভ্যন্তরীণ সমস্যা না মিটলে কলকাতা লিগ খেলার সিদ্ধান্তও জানাতে পারছে না লগ্নিকারী সংস্থা।
বিশেষ কারণের জন্য এ দিনের বৈঠকে থাকতে পারেনি এটিকে মোহনবাগানের কোনও প্রতিনিধি। আইএফএ-কে চিঠি দিয়ে সেই কথা জানিয়েও দেয়। প্রথমে ঠিক হয়, ১৮ আগস্ট কলকাতা লিগ শুরু হবে। তবে এ দিনের বৈঠকে তা একদিন এগিয়ে নিয়ে আসা হয়েছে। ১ আগস্ট কলকাতা লিগের ড্রয়ের পর সূচি প্রকাশ হবে। থাকছে না অবনমন।
ডুরান্ড বনাম কলকাতা লিগ ইস্যুতে আইএফএর পাশেই রয়েছে ময়দানের ক্লাবগুলো। সিএফএলে অংশ নেওয়া সমস্ত ক্লাবই জানায়, যে কোনও টুর্নামেন্টকেই বাংলায় স্বাগত। তবে তার জন্য কলকাতা লিগকে বলিদান দেওয়া সম্ভব নয়। সেই জন্য একজোট হয়ে লড়াই করতেও প্রস্তুত। সেপ্টেম্বরের শুরুতেই ডুরান্ডের আসর বসবে বাংলায়। কলকাতার তিন প্রধানের কাছে ডুরান্ডে খেলার আমন্ত্রণও রয়েছে। তবে এই ইস্যুতে ক্লাবগুলিকে পাশেই পেয়েছে আইএফএ। আইএফএর তরফ থেকে জানানো হয়, ‘আমরা কোনও টুর্নামেন্টেরই বিরুদ্ধে নই। তবে সিএফএল আর ডুরান্ডে অংশ নেওয়া দলের খেলা যাতে একই দিনে না পড়ে সেটা অবশ্যই দেখতে হবে। ডুরান্ড কমিটির সঙ্গে আমরা আলোচনাতেও বসব।’ আইএফএ-র চিন্তায় তিন প্রধানের ঘেরা মাঠও। কারণ তিন প্রধানের মাঠই সেনার অধীনে। ডুরান্ড চললে কলকাতা লিগে মাঠ পেতে অসুবিধে হতে পারে আইএফএ-র।
এ দিকে সিনেমা হলে ৫০ শতাংশ দর্শক প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হলেও, মাঠে দর্শক প্রবেশ নিয়ে সরকারের তরফ থেকে এখনও কোনও নির্দেশিকা দেওয়া হয়নি। তাই এখনও পর্যন্ত দর্শকশূন্যই হচ্ছে এ বারের কলকাতা লিগ।
আরও পড়ুন: ইস্টবেঙ্গল ধরেই কলকাতা লিগের গ্রুপ বিন্যাস আইএফএ-র