East Bengal: ‘মরার ঘায়ে ইঞ্জেকশন দিতে হবে’, পার্থসারথি সেনগুপ্ত

যে চুক্তিপত্র নিয়ে এত বিতর্ক, সেই চুক্তিপত্র কি দেখেছেন পার্থ বাবু? তাঁর উত্তর, 'না চুক্তিপত্র দেখিনি। তবে আমি টার্মশিট দেখেছি।'

East Bengal: 'মরার ঘায়ে ইঞ্জেকশন দিতে হবে', পার্থসারথি সেনগুপ্ত
বাঁ দিকে পার্থসারথি সেনগুপ্ত, ডান দিকে ক্লাবকর্তারা
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 29, 2021 | 10:47 PM

কৌস্তভ গঙ্গোপাধ্যায়

ক্লাব-ইনভেস্টর চুক্তি জট ইস্যুতে নয়া মোড়। চু্ক্তি জট সমাধানে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে বিরোধী শিবিরের দ্বারস্থ লাল-হলুদ কর্তারা। ইস্টবেঙ্গল (East Bengal) ক্লাবের প্রাক্তন সচিব তথা বিশিষ্ট আইনজীবী (Advocate) পার্থসারথি সেনগুপ্তকে (Partha Sarathi Sengupta) চুক্তি জট সমাধানের দায়িত্ব দিলেন কর্তারা। বৃহস্পতিবার রাতেই প্রাক্তন সচিবের কাছে চিঠি পাঠান বর্তমান ক্লাব সচিব কল্যাণ মজুমদার।

টিভি নাইন বাংলার পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হয় পার্থসারথি সেনগুপ্তের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘এখনও পর্যন্ত ক্লাবের সঙ্গে এ ব্যাপারে আমার কোনও কথাবার্তা হয়নি। তবে ক্লাব সচিবের চিঠি পেয়েছি। প্রাক্তন ফুটবল সচিব প্রদীপ সেনগুপ্তের সঙ্গে যোগাযোগ করেন ক্লাব কর্তারা। তার মারফত আমার সঙ্গে এ ব্যাপারে কথা হয়। আমি একজন আদ্যন্ত ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের সমর্থক। ক্লাবের ভালোর জন্য, সদস্য-সমর্থকদের ভালোর জন্য আমাকে যখন দায়িত্ব দিয়েছে, আমি তৈরি। কারণ তাদের উপর আমার একটা দায়বদ্ধতা আছে। তবে ক্লাব যে সময় এই দায়িত্ব দিল, তা মরার ঘায়ে ইঞ্জেকশন দেওয়ার মতো।’

যে চুক্তিপত্র নিয়ে এত বিতর্ক, সেই চুক্তিপত্র কি দেখেছেন পার্থ বাবু? তাঁর উত্তর, ‘না চুক্তিপত্র দেখিনি। তবে আমি টার্মশিট দেখেছি। তবে কর্তারা যে দাবি করছেন, চুক্তিপত্রে সই করলে ক্লাবের স্থাবর-অস্থাবর হস্তান্তরিত হয়ে যাবে সে বিষয়ে একটা কথা বলতে পারি। কি যাবে না যাবে তা পরের বিষয়। কিন্তু আমি যদি কারও সঙ্গে চুক্তি করে থাকি, তাহলে যা যাওয়ার তা যাবেই। মূল চুক্তিপত্র পড়ার পরই এ বিষয়ে কথা বলতে পারব। আর আমি কথা বললেই যে শ্রী সিমেন্টের কর্তারা উত্তর দেবেন তা-ও নিশ্চিত নই। যেহেতু ক্লাব থেকে আমাকে অনুরোধ করা হয়েছে, ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের ভবিষ্যতের কথা ভেবে আমি নিশ্চয়ই চেষ্টা করব মীমাংসা করার।’

ক্লাব কর্তাদের পক্ষ থেকে বারবার বলা হয়েছে, চুক্তিপত্রে সই করলে সদস্য-সমর্থকদের প্রবেশের ক্ষেত্রে একটা বাধা তৈরি হতে পারে। সে বিষয়ে পার্থ বাবু বলেন, ‘যদি সেখানে নিষেধাজ্ঞা জারি করার কথা বলে তা আমি মানতে পারব না। তবে যে কোনও ক্লাবেই প্রবেশাধিকারে নির্দিষ্ট সময়সীমা থাকে।’

বর্তমান শাসক গোষ্ঠীর কর্তাদের বিরুদ্ধে ক্লাবের নির্বাচনে লড়েছেন। চুক্তি জট সমাধানে বর্তমান কর্তারাই আজ বিরোধী গোষ্ঠীর দ্বারস্থ। এ প্রসঙ্গে পার্থসারথি সেনগুপ্তের প্রতিক্রিয়া, ‘ইস্টবেঙ্গল ক্লাব আমার ভালোবাসা। আমি কখনও গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব করিনি, করবও না। নির্বাচনে বিরোধিতা করেছি। আমি যখন সচিব ছিলাম, তখন আমিও বিরোধী শিবিরের কর্তাদের আহ্বান করেছিলাম। বলেছিলাম, আসুন সবাই একসঙ্গে ক্লাব করি।’ তবে এরই সঙ্গে চুক্তি জট সমাধানেও ইতিবাচক ভূমিকা নেওয়ার ব্যাপারেও আশাবাদী পার্থসারথি সেনগুপ্ত।

আরও পড়ুন: East Bengal: ক্লাব লাইসেন্সিংয়ের কাগজ জমা দিল এসসি ইস্টবেঙ্গল