Super Cup: সুপার কাপ ডার্বিতে ‘মস্তানি’ করবে ইস্টবেঙ্গল! মোহনবাগান কী বলল?
East Bengal vs Mohun Bagan: মরসুমের শুরু থেকে টেকনিক্যাল ডিরেক্টরের দায়িত্ব সামলানো আন্তোনিও লোপেজ হাবাসকে কোচ করা হয়েছে। সুপার কাপে প্রথম দু-ম্যাচে বেঞ্চে না থাকলেও ডার্বিতে থাকছেন। মঙ্গলবারই টিমের সঙ্গে যোগ দিচ্ছেন হাবাস। গত দু-ম্যাচে বেঞ্চে না থাকলেও সহকারী কোচ ক্লিফোর্ড মিরান্ডার সঙ্গে নিয়মিত ফোনে যোগাযোগ ছিল, এমনটাই জানিয়েছেন হাবাস। তিনি দলের সঙ্গে যোগ দেওয়ার আগেই ইস্টবেঙ্গল শিবিরের থেকে হুঁশিয়ারি পেয়ে গিয়েছেন।
কলকাতা ডার্বি হবে ভুবনেশ্বরে। তার আঁচ পাওয়া যাচ্ছে কলকাতায়ও। দুই ক্লাবের বাগযুদ্ধে ইতিমধ্যেই জমজমাট পরিস্থিতি। দুই ক্লাবের কর্তার সুর অন্যরকম। শুক্রবার মরসুমের তৃতীয় বড় ম্যাচ। এর আগে ডুরান্ড কাপে মুখোমুখি হয়েছে ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগান। গ্রুপ পর্বের ডার্বি জিতেছিল ইস্টবেঙ্গল। টানা আটটি ডার্বি হারের পর একটি জয়ে উৎসবের মেজাজ ছিল লাল-হলুদে। যদিও ডুরান্ড ফাইনালে ডার্বি জিতে চ্যাম্পিয়ন হয় মোহনবাগান। সুপার কাপে গ্রুপ পর্বের ডার্বির গুরুত্ব কোনও অংশে কম নয়। গ্রুপ থেকে একটিই দল সেমিফাইনালে যাবে। ডার্বিতে যে দল জিতবে সেই সেমিফাইনালে। ড্র হলে ইস্টবেঙ্গল। মোহনবাগানের কাছে জয় ছাড়া বিকল্প নেই। কী বলছে দুই শিবির? বিস্তারিত জেনে নিন TV9Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।
মোহনবাগানের মতো ইস্টবেঙ্গলও গ্রুপের দু-ম্যাচ জিতেছে। পার্থক্য একটাই, ইস্টবেঙ্গল প্রথম ম্যাচে ৩-২ ব্যবধানে জিতেছিল। দ্বিতীয় ম্যাচে ২-১। মোহনবাগান দু-ম্যাচেই ২-১ ব্যবধানে জিতেছে। ফলে ডার্বি ড্র হলে বেশি গোল করার সুবাদে সেমিফাইনালে যাবে ইস্টবেঙ্গল। ধারাবাহিকতায়ও বেশ কিছুটা এগিয়ে লাল-হলুদ শিবির। আইএসএল এবং সুপার কাপ মিলিয়ে টানা অপরাজিত তারা।
মোহনবাগান বছর শেষ করেছিল আইএসএলে হারের হ্যাটট্রিক দিয়ে। বছরের শুরুতেই কোচ হুয়ান ফেরান্দোকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। মরসুমের শুরু থেকে টেকনিক্যাল ডিরেক্টরের দায়িত্ব সামলানো আন্তোনিও লোপেজ হাবাসকে কোচ করা হয়েছে। সুপার কাপে প্রথম দু-ম্যাচে বেঞ্চে না থাকলেও ডার্বিতে থাকছেন। মঙ্গলবারই টিমের সঙ্গে যোগ দিচ্ছেন হাবাস। গত দু-ম্যাচে বেঞ্চে না থাকলেও সহকারী কোচ ক্লিফোর্ড মিরান্ডার সঙ্গে নিয়মিত ফোনে যোগাযোগ ছিল, এমনটাই জানিয়েছেন হাবাস। তিনি দলের সঙ্গে যোগ দেওয়ার আগেই ইস্টবেঙ্গল শিবিরের থেকে হুঁশিয়ারি পেয়ে গিয়েছেন।
সুপার কাপে প্রথম দু-ম্যাচে তুলনামূলক ভালো খেলেছে ইস্টবেঙ্গল। ডার্বিতেও বিধ্বংসী পারফরম্যান্সের জন্য মুখিয়ে। শুক্রবারের ডার্বি প্রসঙ্গে ইস্টবেঙ্গলের শীর্ষকর্তা দেবব্রত সরকার বলছেন, ‘ডার্বিতে যে মস্তান সে জিতবে। আমার ছেলেরা যদি মনে করে ডার্বিতে মস্তানি করব, তাহলে জিতব।’ ইস্টবেঙ্গল কর্তা আত্মবিশ্বাসী হলেও মোহনবাগান শিবির যেন কিছুটা শান্ত! এ কি ঝড়ের আগের শান্তির পরিবেশ?
মোহনবাগান সচিব দেবাশিস দত্ত দলের চিত্রটা তুলে ধরে কিছুটা যেন বিদ্রুপের সুরেই জবাব দিলেন! বলেন, ‘আমার ৮জন ফুটবলার নেই। ৭জন জাতীয় দলে। আর আশিকের চোট। আরও তিন ফুটবলার চোটের কবলে। মোট ১১ জন ফুটবলার বাইরে। এটা প্রথম একাদশের চেহারা। তাতে যদি মস্তানি করতে না পারে, কবে করবে? এখন টিমটা নেই বলেই মস্তানি করার স্বপ্ন দেখছে। সেখানে ওদের ফুল টিম। আর এই টিম নিয়ে যদি মস্তানি করার সুযোগ না হত, তাহলে ওদের টিম না করলেই ভালো হত। এতগুলো প্লেয়ার নেই। আমরা নিশ্চয়ই এখন হ্যান্ডিক্যাপ।’