Manisha Kalyan: ব্রাজিলের কাছে হার থেকে অনেক কিছু শিখব: মণীষা কল্যাণ

ব্রাজিলের বিরুদ্ধে গোল করা প্রথম ভারতীয় ফুটবলারও হলেন মণীষা কল্যাণ। এই ম্যাচে বড় ব্যবধানে হারলেও ভেঙে পড়ছেন না তিনি। বরং চাইছেন এই ম্যাচ থেকে শিক্ষা নিয়ে পরের ম্যাচে আরও ভালো পারফর্ম করতে।

Manisha Kalyan: ব্রাজিলের কাছে হার থেকে অনেক কিছু শিখব: মণীষা কল্যাণ
Manisha Kalyan: ব্রাজিলের কাছে হার থেকে অনেক কিছু শিখব: মণীষা কল্যাণ (ছবি-টুইটার)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 27, 2021 | 4:22 PM

মানাউস: যে ম্যাচের দিকে সারা বিশ্বের চোখ ছিল সেই ম্যাচে ব্রাজিলের (Brazil) বিরুদ্ধে ১-৬ গোলে ভারতীয় মহিলা ফুটবল দল (India Women’s Football Team) হেরেছে। কিন্তু সেই ম্যাচে ভারতের হয়ে একমাত্র গোল করে সকলের নজর কেড়েছিলেন ১৯ বছরের মণীষা কল্যাণ (Manisha Kalyan)। আজ ভারতীয় উইঙ্গারের জন্মদিন। ২০-তে পা দিলেন পঞ্জাব তনয়া মণীষা। একে ব্রাজিলে বিরুদ্ধে খেলা… তারপর সেই ম্যাচে গোল, স্বপ্নপূরণ হয়েছে মণীষার। এমনকি ব্রাজিলের বিরুদ্ধে গোল করা প্রথম ভারতীয় ফুটবলারও হলেন তিনি। এই ম্যাচে বড় ব্যবধানে হারলেও ভেঙে পড়ছেন না তিনি। বরং চাইছেন এই ম্যাচ থেকে শিক্ষা নিয়ে পরের ম্যাচে আরও ভালো পারফর্ম করতে।

ম্যাচের শেষে সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনকে (AIFF) মণীষা বলেন, “ব্রাজিলের বিরুদ্ধে খেলতে পেরে আমার স্বপ্নপূরণ হয়েছে, এবং ওদের বিরুদ্ধে গোল আমার খুশিতে আলাদা মাত্র যোগ করেছে। ফরমিগার সঙ্গে একই মাঠে থাকাটা বড় ব্যাপার। আমি আশা করি আমরা এই অভিজ্ঞতা থেকে শিখতে পারব এবং পরবর্তী ম্যাচে আরও ভালো পারফর্ম করতে পারব।”

তিনি যোগ করেন, “আমরা সব সময়ই জানি ব্রাজিলের মতো মানসম্পন্ন দলের বিরুদ্ধে খেলাটা কঠিন। কিন্তু যখন আমরা মাঠে প্রবেশ করেছিলাম সেই চাপটা ছেড়ে ফেলেছিলাম। এটাই আগামী ম্যাচগুলোতে আমাদের করতে হবে এবং খোলা মনে খেলতে হবে।”

পঞ্জাবের একটা ছোট্ট গ্রাম মুগগোয়াল থেকে মণীষার উঠে আসা। নানা সংগ্রাম পেরিয়ে আন্তর্জাতিক মঞ্চে প্রবেশ। সে সব কথা মনে করে মণীশা বলেন, “আমি ১৩ বছর বয়স থেকে খেলছি। যখন আমার কোচ ব্রাহ্মিজি স্যার আমাকে খেলা পরিবর্তন করতে বলেছিলেন, তখন আমি অ্যাথলেটিক্স থেকে ফুটবলে এসেছিলাম। ফুটবলের টিমগেমটা আমাকে টানত। এই খেলাটার প্রতি খুব তাড়াতাড়ি আমি প্রেমে পড়ে গিয়েছিলাম।”

খেলাধূলার জগতে ছোট গ্রাম থেকে উঠে আসতে গেলে একরাশ বাধা-বিপত্তি পেরোতে হয় অনেক ক্রীড়াবিদদের। মণীষার ফুটবল খেলাটাও এতটা সহজ ছিল না। তবে এই কঠিন লড়াইয়ে পরিবারকে তিনি পাশে পেয়েছিলেন। তাঁর কথায়, “আমার গ্রামের অনেকেই চাইত না আমি খেলি। বিশেষ করে একটা মেয়ে ফুটবল খেলবে সেটা ওরা যেন মেনে নিতেই পারত না। কিন্তু আমার পরিবারকে আমি সব সময় আমার পাশে পেয়েছি। ওরা আমাকে প্রতি মুহূর্তে সমর্থন করেছে।”