Kylian Mbappe: ‘শিগগিরি দেখা হবে’ সেমিফাইনালের আগে এমবাপেকে হুঁশিয়ারি!
FIFA World Cup Semifinal: দু'জনেই খেলেন পিএসজিতে। ক্লাবের বন্ধুত্ব যে দেশের হয়ে খেলার সময় থাকবে না, সন্দেহ নেই। সেমিফাইনাল ম্যাচে একে অপরকে ছাপিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করবেন দুই বন্ধুই। তবে তা যে বন্ধুত্বে প্রভাব ফেলবে না, তা বলে দিচ্ছেন অনেকেই।
দোহা : ঐতিহাসিক বিশ্বকাপে ইতিহাসে নাম লিখিয়ে ফেলেছে মরক্কো। প্রথম আফ্রিকান দেশ হিসেবে শেষ চারে পৌঁছেছে তারা। একের পর এক প্রতিপক্ষকে হেলায় হারিয়ে কাতার বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে পৌঁছনো যে কঠিন ছিল, তা মানছেন বিশেষজ্ঞরা। তার থেকেও বড় কথা হল, কেউই মরক্কান ফুটবলারদের সেমিফাইনালের হিসেবে রাখেনি। ফুটবল বিপ্লব ঘটিয়ে সারা বিশ্বকে চমকে দিয়েছেন আশরফ হাকিমিরা। যে মরক্কোকে নিয়ে ফুটবল জনতার মধ্যে তেমন আগ্রহ ছিল না, সেই তাঁরাই এখন বলতে শুরু করেছেন, এই টিমটা আরও অঘটন ঘটাতে পারে। পর্তুগালকে বিশ্বকাপ থেকে ছুটি করে দিয়েছেন হাকিমিরা। আরও ভালো করে বললে, ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর কেরিয়ারের শেষ বিশ্বকাপ যাত্রা কোয়ার্টার ফাইনালেই শেষ করে দিয়েছে মরক্কো। আর তারপরই কার্যত হুঙ্কার দিলেন হাকিমি। কী বললেন তিনি, তুলে ধরল TV9 Bangla।
মরক্কান টিমকে ফুটবল বিশ্বে বলা হয় অ্যাটলাস লায়ন্স। পর্তুগালের বিরুদ্ধে কার্যত সিংহের মতোই মাঠে নেমেছিলেন তাঁরা। ফার্নান্দো স্যান্টোসের টিমের বিরুদ্ধে বিরতির ঠিক আগে, ৪২ মিনিটে টিমকে এগিয়ে দিয়েছিলেন ইউসেফ এম-নাসিরি। বিরতির পর সমতা ফেরানোর প্রবল চেষ্টা করেছিল পর্তুগাল। সিআর সেভেনকে নামিয়ে দিয়েছিলেন দ্রুত। তাতেও মরক্কোর ডিফেন্স ভাঙা সম্ভব হয়নি। শেষ দিকে ১০জন হয়ে যায় মরক্কো। তাতেও গোল তুলতে পারেনি পর্তুগাল। মরক্কোর ডিফেন্স মনে করিয়ে দিচ্ছে ইতালিকে।
মরক্কোর স্বপ্ন অবশ্য এখনও পূরণ হয়নি। তারা ফাইনালে ওঠার জন্য মরিয়া। আর তা করতে হলে ফ্রান্সের মতো টিমকে হারাতে হবে। দিদিয়ের দেশঁর ফরাসি টিমও দুরন্ত ছন্দে রয়েছে। কাতার বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডকে ধরা হচ্ছিল বিশ্বকাপ জেতার অন্য়তম দাবিদার হিসেবে। গ্যারেথ সাউথগেটের টিমের গভীরতা, তারুণ্য, ছন্দ সবই ছিল। তাতেও তারা ফ্রান্সকে হারাতে পারেনি। কিলিয়ান এমবাপের এই ফরাসি টিমকেই এ বার হাকিমিদের সামলাতে হবে। তার আগে হাকিমি টুইটারে এমবাপের উদ্দেশে লিখলেন, ‘তোমার সঙ্গে খুব শিগগিরি দেখা হবে।’
হাকিমি আর এমবাপে খুব ঘনিষ্ঠ বন্ধু। দু’জনেই খেলেন পিএসজিতে। ক্লাবের বন্ধুত্ব যে দেশের হয়ে খেলার সময় থাকবে না, সন্দেহ নেই। সেমিফাইনাল ম্যাচে একে অপরকে ছাপিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করবেন দুই বন্ধুই। তবে তা যে বন্ধুত্বে প্রভাব ফেলবে না, তা বলে দিচ্ছেন অনেকেই।