ট্রান্সফার ব্যান তুলে কত দ্রুত টিম বানাতে পারবে ইস্টবেঙ্গল?
SC East Bengal: টিম বানানোর থেকেও বড় সমস্যার মুখে ইস্টবেঙ্গল। ফিফার ট্রান্সফার ব্যান এখনও বহাল রয়েছে ক্লাবের উপর। আগামী মরসুমের টিম বানানোর আগে সেই নির্বাসন তুলতে হবে। তবেই খেলতে পারবে লাল-হলুদ।
কৌস্তভ গঙ্গোপাধ্যায়
চুক্তি জট না কাটলেও শ্রী সিমেন্টের (Shree Cement) হাত ধরেই এ বছর আইএসএল (ISL) খেলবে ইস্টবেঙ্গল (East Bengal)। নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) ঘোষণার পরই ক্লাব জুড়ে উল্লাস। কর্মকর্তাদের ঘিরে জয়ধ্বনি। নৈতিক জয়ের স্লোগান সর্বত্র। সবই তো হল, কিন্তু ভবিষ্যৎ কী হবে? এই আনন্দ সাময়িক না চিরস্থায়ী?
৩১ আগস্ট ফিফার ট্রান্সফার উইন্ডো শেষ। এই ৬ দিনের মধ্যে ইস্টবেঙ্গল কি আইএসএল খেলার মতো টিম করতে পারবে? এটাই এখন সবচেয়ে বড় প্রশ্ন। বিকাশ জাইরু আর মহম্মদ রফিক ক্লাবের সঙ্গেই চুক্তি রয়েছে। কিন্তু চুক্তি জটে ক্লাবের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত বুঝতে পেরে বাকি ফুটবলাররা ভিড়ে গিয়েছেন অন্য দলে। রানা ঘরামি, রাজু গায়কোয়াড়রা এখনও কোথাও সই করেননি।
টিম বানানোর থেকেও বড় সমস্যার মুখে ইস্টবেঙ্গল। ফিফার ট্রান্সফার ব্যান এখনও বহাল রয়েছে ক্লাবের উপর। আগামী মরসুমের টিম বানানোর আগে সেই নির্বাসন তুলতে হবে। তবেই খেলতে পারবে লাল-হলুদ। প্রাথমিক কাজ হিসেবে বৃহস্পতিবারই বকেয়া টাকা মিটিয়ে ট্রান্সফার ব্যান তোলাই প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে নিচ্ছে ইনভেস্টররা। সব মিলিয়ে বকেয়া প্রায় সাড়ে ৯ লক্ষ টাকা।
প্রশ্ন হল, এই ৬ দিনে কি টিম বানানো যায়? ইনভেস্টরের তরফে এক কর্তা বললেন, ‘যে ভাবে সম্ভব, যাদের নিয়ে সম্ভব একটা টিম খাড়া করতেই হবে। চেষ্টা করব আমরা, যাতে একটা সেরা টিমই করা যায়।’ ইস্টবেঙ্গলের শীর্ষকর্তা দেবব্রত সরকার জানিয়েছেন, ইনভেস্টরের দলগঠনে ফুটবলার সাপ্লাইয়ে তাঁরা সাহায্য করতে তৈরি। পরিস্থিতি যা, তাতে এসসি ইস্টবেঙ্গলের কলকাতা লিগ খেলার সম্ভাবনা ক্ষীণ। এতদিন অভ্যন্তরীণ সমস্যার কথা আইএফএ-কে জানিয়েছিল বিনিয়োগকারী সংস্থা। এ বার কী হবে? এসসি ইস্টবেঙ্গলের সিইও শিবাজী সমাদ্দার বলেন, ‘আমরা এর মধ্যে বৈঠকে বসেই সেই সিদ্ধান্ত আইএফএ-কে জানিয়ে দেব।’
কোচ রবি ফাওলারের সঙ্গে ইতিমধ্যে একদফা কথা বলে নিয়েছেন ইনভেস্টররা। তিনি বিদেশি ফুটবলার নির্বাচনের কাজটা করছেন। টিম ছ’দিনে তৈরি হয়ে গেলেও কোনও ভাবেই কলকাতা লিগ খেলা সম্ভব নয় ক্লাবের পক্ষে। যুক্তি হিসেবে তুলে ধরা হচ্ছে, যে কোনও লিগে নামার আগে ৩ সপ্তাহের প্রস্তুতি দরকার। যা নেই ক্লাবের। তাই কলকাতা লিগ খেলার ভাবনা দূরেই সরিয়ে রাখছে লাল-হলুদ। তবে আইএসএল নিয়ে পরিকল্পনা শুরু করে দিয়েছে শ্রী সিমেন্ট। আইএসএলের প্রস্তুতির জন্য সেপ্টেম্বরের শেষে গোয়ায় চলে যাবে ইস্টবেঙ্গল। এক সপ্তাহের কোয়ারান্টিন সেরে ৬ সপ্তাহের ট্রেনিং করবেন লাল-হলুদ ফুটবলাররা। তারপর নেমে পড়বেন আইএসএল খেলতে।
আইএফএ সচিব জয়দীপ মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘আমরা সব সময় তিন প্রধানকে গুরুত্ব দিই। সঙ্গে বাকি টিমগুলোকেও। এসসি ইস্টবেঙ্গলের ম্যাচ আমরা আগেই পিছিয়ে ৩১ তারিখ করেছি। এ বার ওরা কী করবে, আমাদের জানাক। ওরা যদি সময় চায়, সেক্ষেত্রে বাকি ক্লাবগুলোর সঙ্গে আলোচনায় বসতে হবে। লিগ কমিটি শেষ কথা বলবে।’
চুক্তি জট একরকম জটিলতা ছিল। আইএসএলে খেলার কথা ঘোষণা করার পর থেকেই আরও বড় চ্যালেঞ্জের মুখে ইস্টবেঙ্গল।