Paralympics 2024: প্যারালিম্পিকে আর্চারিতে ভারতের ইতিহাস, হরবিন্দর সিংয়ের তিরে বিঁধল সোনা

Harvinder Singh: কৃষক পরিবারের ছেলে হরবিন্দর সিং। ছেলেবেলায়, মাত্র দেড় বছর বয়সে ডেঙ্গু হয় হরবিন্দরের। সেই সময় ইঞ্জেকশনের সাইড এফেক্টের জন্য দুই পায়ের হাঁটা চলার শক্তি হারান তিনি। লন্ডন প্যারালিম্পিক দেখে আর্চারির প্রতি ভালোবাসা বাড়ে তাঁর।

Paralympics 2024: প্যারালিম্পিকে আর্চারিতে ভারতের ইতিহাস, হরবিন্দর সিংয়ের তিরে বিঁধল সোনা
প্যারালিম্পিকে আর্চারিতে ভারতের ইতিহাস, হরবিন্দর সিংয়ের তিরে বিঁধল সোনাImage Credit source: X
Follow Us:
| Updated on: Sep 05, 2024 | 1:06 PM

কলকাতা: প্যারিস প্যারালিম্পিকে ভারতীয় প্যারা অ্যাথলিটরা একের পর এক ইতিহাস গড়ছেন। সপ্তম দিন প্যারালিম্পিকে সোনা জিতে ইতিহাস গড়েছেন হরবিন্দর সিং (Harvinder Singh)। তিরন্দাজিতে প্যারালিম্পিকে ভারতের এটিই প্রথম সোনা জয়। শুধু তাই নয়, অলিম্পিকেও এখনও অবধি কোনও আর্চার সোনার পদক পাননি। সেখানে হরবিন্দর প্যারালিম্পিকে (Paralympics 2024) দেশের সোনার স্বপ্নপূরণ করলেন।

পুরুষদের ব্যক্তিগত রিকার্ভ ডব্লিউ২ বিভাগে নেমেছিলেন হরবিন্দর সিং। প্যারালিম্পিকে আর্চারির এই ইভেন্টের ফাইনালে পোল্যান্ডের লুকাজ় সিজ়েককে হারিয়ে স্বর্ণপদক জমিতেছেন হরিয়ানার ছেলে। ম্যাচের শুরু থেকে শেষ অবধি দাপট ধরে রেখেছিলেন হরবিন্দর। ফলও পেয়েছেন।

এই খবরটিও পড়ুন

টোকিও প্যারালিম্পিকে এর আগে হরবিন্দর ব্রোঞ্জ পেয়েছিলেন। ফলে এই নিয়ে এটি প্যারালিম্পিকে তাঁর দ্বিতীয় পদক। এবং প্যারিস প্যারালিম্পিকে আর্চারি থেকে এটি ভারতের তৃতীয় পদক। কারণ রাকেশ কুমার ও শীতল দেবী মিক্সড টিম কমপাউন্ড ইভেন্টে এ বার ব্রোঞ্জ পেয়েছেন।

কৃষক পরিবারের ছেলে হরবিন্দর সিং। ছেলেবেলায়, মাত্র দেড় বছর বয়সে ডেঙ্গি হয় হরবিন্দরের। সেই সময় ইঞ্জেকশনের সাইড এফেক্টের জন্য দুই পায়ের হাঁটা চলার শক্তি হারান তিনি। লন্ডন প্যারালিম্পিক দেখে আর্চারির প্রতি ভালোবাসা বাড়ে তাঁর। করোনা কালে লকডাউনের সময় হরবিন্দরের বাবা তাঁদের এক ক্ষেতকে আর্চারির রেঞ্জে পরিণত করেন। সেখানে অনুশীলন করতেন হরবিন্দর। অনেক পরিশ্রম করে বিশ্বমঞ্চে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন হরিয়ানার সোনার ছেলে।

প্যারালিম্পিকে আর্চারিতে সোনা জিতে আপ্লুত হরবিন্দর বলেন, ‘দারুণ অনুভূতি হচ্ছে। বছর ১২ আগে আমি আর্চারি শুরু করেছিলাম। তখন থেকেই এই স্বপ্ন দেখতাম। আমি নিজের আবেগ, মুভমেন্ট ও শুটিংয়ে নিয়ন্ত্রণ করেছি। আর তার ফল সোনার পদক। গত কয়েক মাস ধরে অনেক অনুশীলন করেছি। বিশ্ব রেকর্ডের থেকে বেশি স্কোরও করেছি। কোয়ালিফিকেশন রাউন্ডে তাও দুর্ভাগ্যবশত নয়ে স্লিপ করে গিয়েছিলাম। কিন্তু নিজের আবেগ ধরে রেখে পরের ম্যাচের জন্য নিজেকে তৈরি করেছিলাম। এক একটা ম্যাচ ধরে এগিয়েছি। সোনাও এসেছে।’