এমপিএলে অর্থ বিনিয়োগ, স্বার্থের সংঘাতে বিরাট কোহলি
গ্যালাকটাস ফানওয়ার টেকনোলজি প্রাইভেট লিমিটেড নামের সংস্থায় ২০১৯ সালে টাকা ঢেলেছিলেন বিরাট
নয়াদিল্লি: স্বার্থের সংঘাতে বিরাট কোহলি। টিম ইন্ডিয়ার কিট স্পনসর যে সংস্থা, সেই অনলাইন গেমিং প্ল্যাটফর্ম ‘মোবাইল প্রিমিয়ার লিগ’এ অর্থ বিনিয়োগ করে। প্রশ্ন উঠছে, ভারতীয় টিমের ক্যাপ্টেন হওয়া সত্ত্বেও কী করে তিনি স্বার্থের সংঘাতে জড়ালেন? যিনি আবার ওই সংস্থার ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডরও।
ঘটনা হল, গ্যালাকটাস ফানওয়ার টেকনোলজি প্রাইভেট লিমিটেড নামের সংস্থায় ২০১৯ সালে টাকা ঢেলেছিলেন বিরাট। কমপালসারি কনভার্টেবল ডেভেঞ্চার বা সিসিডি হিসেবে ৩৩ লক্ষ টাকা ঢেলেছিলেন। যার শেয়ার মূল্য বেড়ে গিয়েছে অনেকটাই। প্রশ্ন উঠছে স্বাভাবিক ভাবেই, টিম ইন্ডিয়ার কিট স্পনসর হওয়ার পিছনেও কি ভূমিকা বিরাটের?
আরও পড়ুন:গোয়ার বিরুদ্ধে আজ শুরু থেকেই ব্রাইট
সবচেয়ে বড় প্রশ্ন হল, বোর্ড কি জানে গ্যালাকটাসে বিনিয়োগ করেছেন বিরাট? বিসিসিআইয়ের এক কর্তা বলেছেন, ‘ক্রিকেটাররা কে কোথায় বিনিয়োগ করছে, বোর্ডের পক্ষে তার খোঁজ রাখা সম্ভব নয়।’ আর এক কর্তা আবার বলেছেন, ‘বিরাট ভারতীয় ক্রিকেটের অত্যন্ত প্রভাবশালী ক্রিকেটার। ওর মতো কারও এই রকম যোগাযোগ থাকা ঠিক নয়।’ বোর্ডের গঠনতন্ত্রে স্বার্থের সংঘাত নিয়ে পরিষ্কার ব্যাখ্যা দেওয়া আছে। যা লঙ্ঘন করেছেন বিরাট, এমনই কিন্তু মনে করছে বিসিসিআই। কিন্তু এ নিয়ে কি বিরাটকে প্রশ্নের মুখে দাঁড়াতে হবে, তা অবশ্য এখনই বলা যাচ্ছে না।
২০১৮ সালে গ্যালাকটাস নামের এই সংস্থার জন্ম। দুবাইয়ের এই কোম্পানির ভারতীয় শাখা বেঙ্গালুরুতে। বিরাটের সঙ্গে শুধু যে তাদের গভীর যোগাযোগ আছে তাই নয়, ভারতীয় টিমের ক্যাপ্টেনের বানিজ্যিক সত্ব যে সংস্থার হাতে, জড়িয়ে গিয়েছে তাদেরও নাম। ওই সংস্থা কর্নারস্টোনেরও শেয়ার রয়েছে গ্যালাকটাসে। যা নিয়ে সরাসরি নানান প্রশ্ন তুলছেন অনেকে।
আরও পড়ুন:টিমে ফিরলেন রোহিত, সিডনিতে অভিষেক নভদীপের
কর্নারস্টোনের মালিক অমিত অরুণ সাজদা বলেছেন, ‘এখন বলেছি, পরেও আবার বলব, বিরাট আর কর্নারস্টোন যে কোনও জায়গায় বিনিয়োগ করতে পারে। আমার তো মনে হয়, বিরাট যতক্ষণ না কর্নারস্টোনে বিনিয়োগ করছেন, ততক্ষণ কোনও স্বার্থের সংঘাত নেই।’