গিনেস বুকে ধোনির ওয়ার্ল্ড কাপের ব্যাট

বিশ্বকাপের (World Cup) ফাইনালে সে দিন ভারত অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি (MS Dhoni) যে ব্যাট ব্যবহার করেছিলেন সেই ব্যাটটি নিলামে উঠেছিল। এই কথা হয়ত অনেকেরই অজানা।

গিনেস বুকে ধোনির ওয়ার্ল্ড কাপের ব্যাট
গিনেস বুকে ধোনির ওয়ার্ল্ড কাপের ব্যাট
Follow Us:
| Updated on: Apr 02, 2021 | 8:23 PM

২০১১ সালটা ছিল মহেন্দ্র সিং ধোনির (MS Dhoni) কাছে সবচেয়ে সফল। ভারতীয় দলকে নেতৃত্ব দেওয়া থেকে শুরু করে জয়সূচক ছক্কা মেরে বিশ্বকাপ জয় (World Cup)। সবটাই ছিল যেন স্বপ্নের মতো। ২০১১ সালের ২ এপ্রিল ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে শ্রীলঙ্কাকে ছয় উইকেটে হারিয়েছিল ভারত। বিশ্বকাপের ফাইনালে সে দিন ভারত অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি যে ব্যাট ব্যবহার করেছিলেন সেই ব্যাটটি নিলামে উঠেছিল। এই কথা হয়ত অনেকেরই অজানা। শুধু যে নিলামে উঠেছিল তাই নয়। ১০ লক্ষ পাউন্ডে বিক্রি হয়েছিল মাহির ব্যাটটি।

প্রায় এক কোটি টাকা দিয়ে নিলামে ধোনির ব্যাটটি কিনেছিল আর কে গ্লোবাল শেয়ার অ্যান্ড সিকিউরিটিস লিমিটেড। এত বেশি পরিমাণ অর্থে বিক্রি হওয়ার জন্য এই ব্যাটটি গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডেও (Guinness Book Of World Record) নথিভুক্ত হয়েছিল। গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের অফিশিয়াল ওয়েবসাইট অনুযায়ী, “সবচেয়ে ব্যয়বহুল ক্রিকেট ব্যাট ছিল মহেন্দ্র সিং ধোনির বিশ্বকাপ ফাইনালে খেলা ব্যাটটি। এটি নিলামে বিক্রি হয়েছিল ১০ হাজার পাউন্ডে (১৬ লক্ষ ১২৯৫ আমেরিকান ডলার)। ২০১১ সালের ১৮ জুলাই লন্ডনে মহেন্দ্র সিং ধোনির ‘ইস্ট মিটস ওয়েস্ট’ চ্যারিটির ডিনারে এটি নিলামে উঠেছিল। ভারতের আর কে গ্লোবাল শেয়ার অ্যান্ড সিকিউরিটিস লিমিটেড এটি কিনেছিল। এই ব্যাটটি ২০১১ বিশ্বকাপে ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে ২ এপ্রিল ব্যবহার করেছিলেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। এই ব্যাট থেকেই বিশ্বকাপের জয়ের শটটি এসেছিল।”

আরও পড়ুন: বিশ্বকাপের ১০ বছর পূর্তিতে কী বললেন গৌতম?

বিশ্বকাপের ফাইনালে সচিন-সেওয়াগ জুটিকে তাড়াতাড়ি ফিরিয়ে দিয়েছিলেন কুমার সাঙ্গাকারারা। তারপর গৌতম গম্ভীর এবং মহেন্দ্র সিং ধোনি ভারতকে এগিয়ে নিয়ে যান। অল্পের জন্য সেঞ্চুরি হাতছাড়া হয় গৌতমের। ৯৭ রানের ইনিংস খেলে ভারতকে জয়ের দিকে এগিয়ে দেন গৌতম। যুবরাজের সঙ্গে তারপর জুটি বাঁধেন মাহি। শেষমেশ ফিনিশার ধোনির ব্যাট থেকে আসে সেই জয়ের ছয়। আর সেই ছক্কা মারার দৃশ্যও ছিল অসাধারণ। পুরো ক্রিকেট বিশ্ব থেকে শুরু করে, ক্রিকেটপ্রেমীরা মাহির সেই ছয় মারার পর আকাশের দিকে তাকিয়ে ব্যাট হাতে তুলে থাকার দৃশ্য কখনও ভোলেনি। ভুলবেও না।

আরও পড়ুন: বিশ্বকাপ নায়কদের হাল-হকিকত