অলিম্পিক বাতিলের দাবি তুলল অফিসিয়াল পার্টনার আসাহি

শুধু আসাহি নয়, নিক্কেই, মাইনিচি, ইওমিউরির মতো জাপানের আরও কিছু প্রথম সারির খবরের কাগজ টোকিও গেমসের অফিসিয়াল পার্টনার (official partner)। এখনও বাকি কাগজগুলো তাদের মনোভাব স্পষ্ট করে না জানালেও আসাহির পথ নিতে পারে বলেই অনেকের ধারণা।

অলিম্পিক বাতিলের দাবি তুলল অফিসিয়াল পার্টনার আসাহি
(সৌজন্যে-টুইটার)
Follow Us:
| Updated on: May 26, 2021 | 11:31 AM

টোকিও: করোনা (COVID-19) আবহে অলিম্পিক (Olympics) বাতিলের দাবি এতদিন করছিলেন দেশের আমজনতা। এ বার টোকিও গেমসের (Tokyo Games) অন্যতম স্পনসর ‘আসাহি শিমবান’ও (Asahi Shimbun) সামিল তাতে। আসাহি শিমবান জাপানের অন্যতম পুরনো কাগজ। দেশ জুড়ে তাদের সার্কুলেশন। ওই কাগজের সম্পাদকীয় পাতায় লেখা হল, প্রধানমন্ত্রী ইওসিহিদে সুগারর কাছে আমাদের আবেদন, ঠান্ডা মাথায় পুরো ব্যাপারটা খতিয়ে দেখুন উনি। যে পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে চলছে জাপান (Japan) এবং সারা বিশ্ব, এই সময় অলিম্পিক গেমস আয়োজন করা ঠিক নয়। বাতিল ঘোষণা করা হোক।’

দু’মাসও আর বাকি নেই অলিম্পিকের। জাপানের ঐতিহ্যশালী কাগজ এই মনোভাব তুলে ধরার পর আবার নতুন করে চাপের মুখে পড়ে গিয়েছে টোকিও গেমসের আয়োজকরা। গত এক বছর ধরে টোকিও গেমস নিয়ে টানা বিরোধীতা করে আসছে দেশের যুক্তিবাদী ও বুদ্ধিজীবী মানুষরা। জনমত যে অলিম্পিক চায় না, তা উপলব্ধী করেই আসাহি এই সিদ্ধান্তে এসেছে। তারা লিখেছে, ‘এই পরিস্থিতিতে মানুষকে নিরাপদ ও সুরক্ষিত রাখা সম্ভব নয়। যদি গেমস হয়, ঝুঁকির মাত্রা বহুগুণ বেড়ে যাবে। মানতে কষ্ট হলেও এটাই বাস্তব। আর আমরা বাস্তবকে এড়িয়ে যেতে পারি না।’

শুধু আসাহি নয়, নিক্কেই, মাইনিচি, ইওমিউরির মতো জাপানের আরও কিছু প্রথম সারির খবরের কাগজ টোকিও গেমসের অফিসিয়াল পার্টনার (official partner)। এখনও বাকি কাগজগুলো তাদের মনোভাব স্পষ্ট করে না জানালেও আসাহির পথ নিতে পারে বলেই অনেকের ধারণা। সরাসরি টোকিও গেমস বাতিলের দাবি তুললেও আসাহি অবশ্য এখনও অফিসিয়াল পার্টনার হিসেবে তাদের নাম প্রত্যাহার করেনি। তাও হতে পারে বলে মনে করছেন অনেকে।

জাপানে করোনা নথিতে চোখ বোলালে দেখা যাবে, ৭ লক্ষেরও বেশি মানুষ এখনও পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন। ১২ হাজারেও বেশি মারা গিয়েছেন। এই তথ্য তুলে ধরেই নিউজিল্যান্ডের এক স্বাস্থ্যবিশারদ প্রফেসর অলিম্পিক আয়োজনকে একেবারেই মেনে নিতে পারছেন না। অন্যান্য দেশও সেই মনোভাবই পোষণ করছে। আমেরিকা তো এরই মধ্যে ঘোষণা করেছে, জাপান যাত্রা কোনও ভাবেই সুরক্ষিত নয়। এরই মধ্যে আবার ১ জুন অস্ট্রেলিয়ার সফটবল টিম টোকিও থেকে ১৫০ কিমি দূরের শহর গুনমাতে পৌঁছবে, অলিম্পিকের প্রস্তুতি সারতে। তা সম্ভব হবে কিনা, এখনও বলা যাচ্ছে না। কারণ ৩১ মে পর্যন্ত জাপানে জরুরি অবস্থা জারি রাখা হয়েছে। জনগণকে প্রতিষেধক দেওয়ার কাজ শুরু হলেও পরিস্থিতি তার মধ্যে নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে, এমন কেউই মনে করছেন না।

আরও পড়ুন: ‘নিজেকে বদলিও না, বলেছিলেন দ্রাবিড় স্যার’