Padma Shri: ৯৩ বছরে ‘পদ্মশ্রী’ প্রাপ্তি মার্শাল আর্ট প্রশিক্ষক শঙ্করনারায়ণ মেননের

Sankaranarayana Menon: সাত বছর বয়স থেকেই মার্শাল আর্টের সঙ্গে যুক্ত শঙ্করনারায়ণ। তিনি এই কলাকে নিজের জীবনের অঙ্গ বলেই মনে করেন।

Padma Shri: ৯৩ বছরে 'পদ্মশ্রী' প্রাপ্তি মার্শাল আর্ট প্রশিক্ষক শঙ্করনারায়ণ মেননের
Padma Shri: ৯৩ বছরে 'পদ্মশ্রী' প্রাপ্তি মার্শাল আর্ট প্রশিক্ষক শঙ্করনারায়ণ মেননের (Pic Courtesy - Twitter)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 27, 2022 | 8:17 PM

কোচি: বয়স কোনও বাঁধাই নয়। তা যেন সকলের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিলেন, কেরলের মার্শাল আর্ট (Martial arts) প্রশিক্ষক শঙ্করনারায়ণ মেনন (Sankaranarayana Menon)। ৯৩ বছর বয়সে প্রাপ্তি পদ্মশ্রী (Padma Shri)। ৭৩তম প্রজাতন্ত্র দিবসের শুভলগ্নে কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে, পদ্ম পুরষ্কার প্রাপকদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। এই বয়সে এসে পদ্মশ্রী পাওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই খুশি হয়েছেন শঙ্করনারায়ণ। তবে তিনি এও বলছেন, এই প্রাপ্তি তাঁর জীবনের কিছুই বদলে দেবে না। তিনি যতদিন বাঁচবেন, মার্শাল আর্টকেই আঁকড়ে বাঁচতে চান। এবং সকলকে তা শিখিয়ে যেতে চান জীবনের শেষ অবধি।

কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে পদ্মশ্রীর জন্য তাঁর নাম ঘোষণা করার পর তিনি বলেন, “সরকারের পক্ষ থেকে আমাকে যে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে, তার জন্য ভালো লাগছে। তবে আমি কিন্তু এখনই থেমে যেতে নারাজ। আমি যতদিন বেঁচে আছি, ততদিন প্রশিক্ষণ চালিয়ে যাব। এটা আমার কর্তব্য।”

মার্শাল আর্টের প্রাচীনতম ধরণ হল কলারিপায়াত্তু (kalaripayattu)। মার্শাল আর্টের এই ধরণ শঙ্করনারায়ণ মেননের নখদর্পনে। তবে বয়সজনিত কারণে এখন তিনি আর কলারিপায়ত্তুর সকল মুভমেন্ট করতে পারেন না। বরং শিক্ষার্থীদের নির্দেশ দেন। এবং এই বয়সেও ওই কঠিন মার্শাল আর্টের সঙ্গে নিজেকে যুক্ত রাখার জন্য শৃঙ্খলার সঙ্গে জীবন যাপন করেন তিনি। ভোর ৫টায় প্রতিদিন ঘুম থেকে উঠে, নিজেদের পুকুরে স্নান সেরে মন্দিরে পুজো দিয়ে তিনি যান কলারিতে। সেখানে তিনি শিক্ষার্থীদের নির্দেশ দেওয়ার পাশাপাশি নিজেও অনুশীলন করেন তিন ঘণ্টা ধরে।

সাত বছর বয়স থেকেই মার্শাল আর্টের সঙ্গে যুক্ত শঙ্করনারায়ণ। তিনি এই কলাকে নিজের জীবনের অঙ্গ বলেই মনে করেন। কলারিপায়াত্তুতে অত্যন্ত পারদর্শী ছিলেন শঙ্করনারায়ণ, এমনটাই জানান তাঁর ছেলে কৃষ্ণদাস। তিনি বলেন, “আমরা কুস্তিগিরদের মতো পেশিবহুল চেহারা গড়ে তুলি না। বরং আমরা পেশিকে সবল ও নমনীয় করে তুলি। তার ফলে আমাদের প্রতিবর্ত ক্রিয়াতেও উন্নতি হয়। আমার বাবার চেহারা কলারিপায়াত্তুর পক্ষে আদর্শ। তিনি দুরন্ত মুভের জন্য বিশেষ পরিচিত।”