BAJRANG PUNIA : ” মায়ের কাছে ব্রোঞ্জটাই সোনা “
সোনা-রুপোর বাউটে হেরে মরিয়া হয়ে ব্রোঞ্জ ম্যাচে নেমেছিলেন বজরং। চোটের কারণে তাঁর হাঁটুতে ব্যান্ডেজ জড়ানোর পরামর্শ দিয়েছিলেন টিমের ফিজিও। কিন্তু ব্রোঞ্জ ম্যাচে সেটা খুলেই ম্যাটে নেমেছিলেন তিনি।
দিল্লি: প্রত্যাশা ছিল সোনার। শেষ পর্যন্ত ব্রোঞ্জে থামতে হয়েছে তাঁকে। এ নিয়ে তাঁর নিজের কম আক্ষেপ নেই। প্যারিস অলিম্পিকে পদকের রং পাল্টানোর জন্য মরিয়া বজরং পুনিয়া। কিন্তু এই টোকিওর ব্রোঞ্জ পদক তাঁর পরিবারের কাছে সোনারই সমান। এমনই বলছেন হরিয়ানার কুস্তিগির।
সোমবার টোকিও থেকে ফিরেছেন দেশে। বিমানবন্দরে অলিম্পিক ফেরত তারকাদের জন্য রীতিমতো উষ্ণ অভ্যর্থনা ছিল। হুড খোলা জিপে করে বিমানবন্দর থেকে অশোকা হোটেলে গিয়েছিলেন বজরং। জমকালো অনুষ্ঠানে সংবর্ধিত হয়েছেন তাঁরা।
পরে অভিভূত বজরং বলেছেন, ‘সেমিফাইনালে আজারবাইজানের হাজির কাছে হারের পর আমি রুমে চলে গিয়েছিলাম। কারও সঙ্গে কথা বলচে ইচ্ছে করছিল না। রাতের দিকে মাকে ফোন করেছিলাম। মা বলেছিল, তোর হাঁটুর চোট নিয়ে আমি বেশি চিন্তিত। বাউটের ফল নিয়ে নই। জেতা-হারা তো থাকবেই। কিন্তু আগে চোটের খেয়াল করতে হবে। ওরা আমার পুরনো চোটের কথাটা জানত। রাশিয়াতে ট্রেনিংয়ের সময় থেকে ওটা ঝামেলায় রেখেছিল। তারপর যখন ব্রোঞ্জ পেলাম, মা বলেছিল, এটাই আমাদের কাছে সোনার পদক।’
সোনা-রুপোর বাউটে হেরে মরিয়া হয়ে ব্রোঞ্জ ম্যাচে নেমেছিলেন বজরং। চোটের কারণে তাঁর হাঁটুতে ব্যান্ডেজ জড়ানোর পরামর্শ দিয়েছিলেন টিমের ফিজিও। কিন্তু ব্রোঞ্জ ম্যাচে সেটা খুলেই ম্যাটে নেমেছিলেন তিনি। বজরং বলছেন, ‘ব্যান্ডেজটা পরে ম্যাটে নামতে অসুবিধা হচ্ছিল। খুব সমস্যায় পড়ছিলাম। সে কারণে কোচকে বলি, আগে ব্রোঞ্জটা জেতা উচিত। তারপর চোট নিয়ে ভাবব।’
প্যারিস অলিম্পিক নিয়ে এখনই ভাবতে চান না বজরং। তিন বছর পর কী জায়গায় থাকেন, সেটা সবচেয়ে বড় প্রশ্ন তাঁর কাছে। তাই নিজেকে আরও বেশি তৈরি করাটাই লক্ষ্য কুস্তিগিরের। বজরং বলছেন, ‘প্যারিস অনেক দূরের ব্যাপার। আগে নিজেকে তৈরি করতে হবে। যা যা ভুলত্রুটি আছে, সেগুলো থেকে বেরোতে হবে, তারপর প্যারিস অলিম্পিক নিয়ে ভাবব।’