Tokyo Olympics 2020: টোকিওয় ভেঙে পড়েছে বায়ো বাবল, অস্ট্রেলিয়া সরল ভিলেজ থেকে

গেমস উদ্বোধনের তিনদিন আগে করোনায় বিপর্যস্ত অলিম্পিক। প্রায় ৭০জন আক্রান্ত। যার মধ্যে রয়েছেন ৫ অ্যাথলিটও। এঁদের মধ্যে আবার ৩জন অ্যাথলিট আক্রান্ত হয়েছেন গেমস ভিলেজেই।

Tokyo Olympics 2020: টোকিওয় ভেঙে পড়েছে বায়ো বাবল, অস্ট্রেলিয়া সরল ভিলেজ থেকে
সৌজন্যে-টুইটার
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 20, 2021 | 2:28 PM

টোকিও: গেমস ভিলেজের (Games Village) জৈব সুরক্ষা কি ভেঙে পড়েছে? যদি বিশেষজ্ঞদের কথা ধরা হয়, তা হলে উত্তর ‘হ্যাঁ’। ১১ হাজার অ্যাথলিট অলিম্পিক (Olympics) ও প্যারালিম্পিকের (Paralympics) সময় থাকবেন গেমস ভিলেজে। এই বিপুল সংখ্যক অ্যাথলিটের জন্য বায়ো বাবল (Bio Bubble) তৈরি করেছিল আয়োজকরা। গেমস উদ্বোধনের তিনদিন আগে করোনায় বিপর্যস্ত অলিম্পিক। প্রায় ৭০জন আক্রান্ত। যার মধ্যে রয়েছেন ৫ অ্যাথলিটও। এঁদের মধ্যে আবার ৩জন অ্যাথলিট আক্রান্ত হয়েছেন গেমস ভিলেজেই।

আতঙ্ক এতটাই ছড়াতে শুরু করেছে যে, আয়োজকরা নতুন করে ভাবতে শুরু করেছে বায়ো বাবল নিয়ে। একই সঙ্গে টিমগুলোর কাছেও গেমস ভিলেজ আশঙ্কার জায়গা হয়ে উঠেছে। আর তাই অস্ট্রেলিয়ার অলিম্পিক গেমস ভিলেজের বাইরে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অ্যাশলি বার্টি সহ পুরো টিমের জন্যই এক হোটেলে বায়ো বাবল তৈরি করেছে তারা। টিমের শেফ দ্য মিশন ইয়ান চেস্টারম্যান স্পষ্ট জানিয়েছেন, পরিস্থিতির কথা বিচার করেই তাঁরা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

দুশ্চিন্তার খোরাক থাকছে অন্যত্রও। গেমস পরিচালনার দায়ভার থাকে যাঁদের উপর, সেই স্বেচ্ছাসেবীরাও করোনা সংক্রমিত। মঙ্গলবারের খবর ধরলে, এক ভলান্টিয়ারের কোভিট টেস্টের রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। একগুচ্ছ স্বেচ্ছাসেবীর আক্রান্তের আশঙ্কাও করা হচ্ছে।

উগান্ডার অলিম্পিক টিম জুনের শেষ দিকে টোকিওতে পা দেওয়ার পর থেকেই করোনা আতঙ্ক ছড়াতে শুরু করেছিল। গেমস ভিলেজে পা দেওয়া দক্ষিণ আফ্রিকার দুই ফুটবলার করোনা আক্রান্ত হয়। চেক প্রজাতন্ত্রের এক ভলিবলারও করোনা সংক্রমিত। সেই সঙ্গে জাপানের এক অ্যাথলিটও আক্রান্ত হয়ে পড়েছেন। গেমস ভিলেজে এখনও না ঢুকলেও আমেরিকার জিমন্যাস্ট টিমের এক অ্যাথলিট করোনার কবলে পড়েছেন।

করোনার প্রভাবের মধ্যে অলিম্পিক করা নিয়ে তীব্র প্রতিবাদ হয়েছে সারা বিশ্ব জুড়েই। কিন্তু অনড় ছিল আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি। টমাস বাখরা যে কোনও মূল্যে অলিম্পিক আয়োজন করতে চেয়েছিলেন। সেটা যে ঝুঁকির ছিল, অলিম্পিক শুরুর আগেই প্রমাণিত। বিশেষজ্ঞরা দাবি করছেন, সংক্রমণের হার ব্যাপক ভাবে বাড়বে।

লন্ডনের কিংস কলেজের জনস্বাস্থ্য ডিপার্টমেন্টের প্রাক্তন প্রধান কেঞ্জি শিবুয়া স্পষ্ট বলছেন, ‘সংক্রমণের হার দেখে মনে হচ্ছে করোনা বিরুদ্ধে যে বায়ো বাবল তৈরি করা হয়েছিল গেমস ভিলেজে, তা ভেঙে পড়েছে। যে বিপুল পরিমাণ অ্যাথলিট আগামী এক মাস ধরে গেমস ভিলেজে থাকবে, তাদের সংক্রমণের হার অতিমাত্রায় বেড়ে যাবে।’

প্রশ্ন উঠছে, তা হলে বাখের আইওসি যে ঝুঁকিহীন অলিম্পিকের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, তা কীসের ভিত্তিতে? একে জাপানের মাত্র এক তৃতীয়ংশ জনতা এখনও পর্যন্ত করোনার প্রতিষেধক পেয়েছেন। ফলে, দেশ জুড়ে তীব্র আশঙ্কা রয়েইছে। শুধু টোকিওর কথা ধরা হলে, সিকি ভাগও এখনও করোনার ভ্যাকসিন পাননি। যদিও টোকিও ও তার আশপাশের শহরগুলোতে এখন লকডাউন বহাল রাখা হয়েছে। গেমসও দর্শকহীন রাখা হয়েছে। কিন্তু তা কি যথেষ্ট করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য? সংক্রমণের হার যে ভাবে বাড়ছে, তাতে কিন্তু চাপ বাড়ছে।

একে অনেক তারকা করোনার ভয়ে নাম তুলে নিয়েছেন অলিম্পিক থেকে। যে সব তারকা অংশ নিচ্ছেন, তাঁদের কেউ যদি আক্রান্ত হন, তা হলে মিডিয়া ঝাঁপিয়ে পড়বে। তখন গেমসের ভারসাম্য আরও নষ্ট হবে।

আরও পড়ুন: TOKYO OLYMPICS 2020 : শ্রীজেশের দর্শন আর বিশেষ গাড়িতে মহিলা দল