Roger Federer: ফেডেরারের ইচ্ছেপূরণের ঝাঁপিতে কী আছে, জানেন?

যাতে কেরিয়ারের শেষ দিকেও যেন একই রকম ঝলমলে থাকতে পারেন। যেন টেনিস জীবনের প্রান্তিক স্টেশনে এসেও সাফল্য খুঁজে পান। আর সেই স্বপ্ন কিছুটা হলেও টানছে ফেডেরারকে।

Roger Federer: ফেডেরারের ইচ্ছেপূরণের ঝাঁপিতে কী আছে, জানেন?
ফেডেরারের ইচ্ছেপূরণের ঝাঁপিতে কী আছে, জানেন? (সৌজন্যে-টুইটার)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 12, 2021 | 9:52 AM

জুরিখ: যদি জিজ্ঞেস করা হয়, টেনিসের বাইরে আপনি কী কী করতে চান? এমন প্রশ্ন বোধহয় খুব বেশি শোনেননি রজার ফেডেরার (Roger Federer)। টেনিস (Tennis) দুনিয়াতেই বরাবর আটকে থাকা রজারের যে একগুচ্ছ স্বপ্ন রয়ে গিয়েছে, তিনি উত্তর না দিলে জানাই হত না।

ফেডেরার উত্তর দিয়েছেন, ‘টেনিসে আমি অনেক কিছু দেখেছি। তার বাইরে? অনেক কিছু বাকি… অনেক কিছু!’ একগাল হেসে ফেডেরার তারপর খুলে বসেছেন তাঁর ইচ্ছপূরণের ঝাঁপি। বলেছেন, ‘জাপানের চেরি ব্লুজ়ম দেখতে চাই। এনবিএ, এনএইচএল, এনএফএলের গ্র্যান্ড ফাইনালের সাক্ষী থাকতে চাই। বাচ্চাদের সঙ্গে পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর পার্কগুলো দেখতে চাই। মির্কা আর আমার অনেক ইচ্ছে জমে রয়েছে, অনেক দিন ধরে। সেগুলো ধীরে ধীরে পূরণ করতে চাই। শুধু প্লেয়ার হিসেবে যে সব তাগিদ, ইচ্ছে, স্বপ্ন রয়েছে, সে সব সরিয়ে রেখে এগুলো করতে চাই। বলতে পারি, আমার ইচ্ছেগুলো পূরণ করার খুব কাছে দাঁড়িয়ে আছি।’

হাঁটুর চোটের জন্য পুরো মরসুমটাই কোর্টের বাইরে ফেডেরার। অস্ত্রোপচারও হয়েছে। চল্লিশে পা দেওয়া রজার কবে আবার কোর্টে ফিরবেন, তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। তিনি অবশ্য ট্রেনিং শুরু করে দিয়েছেন। যাতে কেরিয়ারের শেষ দিকেও যেন একই রকম ঝলমলে থাকতে পারেন। যেন টেনিস জীবনের প্রান্তিক স্টেশনে এসেও সাফল্য খুঁজে পান। আর সেই স্বপ্ন কিছুটা হলেও টানছে ফেডেরারকে।

জন ম্যাকেনরোর মতো কিংবদন্তি কিন্তু বলেই দিয়েছেন, ‘কোর্টে বাইরে ফেডেরারকে দেখতে চাই না। এইরকম পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে আমিও গিয়েছি। কতটা হতাশার, কতটা যন্ত্রণার, খুব ভালো করে জানি। এটা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই যে ফেডেরার আমার থেকে অনেক ভালো প্লেয়ার। ওর ৩০ না ৪০ বছর বয়স, আমি জানি না, জানতেও চাই না। শুধু চাই, ও আবার কোর্টে ফিরুক।’

সম্প্রতি উইলচেয়ার টেনিস তারকাদের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন ফেডেরার। শিনগো কুনিয়েদা, গর্ডন রিডের মতো সফল তারকারা ছিলেন সেখানে। যা নিয়ে ফেডেরারের মন্তব্য, ‘টেনিসে বিরাট কোনও বিপ্লব আসেনি। যেটা এসেছে, সেটা হল, ফিটনেস সচেতন হয়েছে প্লেয়াররা। এটা একটা বিরাট দিক। এর ফলে দীর্ঘদিন টেনিস প্লেয়াররা কোর্টে থাকতে পারছে।’