Asian Games 2023, Athletics: একেবারে ঘেঁটে গিয়েছিলাম… বিতর্কে পড়েও রুপো, রেসের পর মুখ খুললেন জ্যোতি ইয়ারাজি

Jyothi Yarraji: এ বার প্যারিস অলিম্পিকে ফোকাস জ্যোতির। হাতে আর বছর খানেক সময় আছে। প্যারিসের মহামঞ্চে যদি নিজেকে প্রমাণ করতে পারেন, তা হলে সারা বিশ্ব শ্রেষ্ঠত্ব মেনে নেবে ভারতীয় স্প্রিন্টারের।

Asian Games 2023, Athletics: একেবারে ঘেঁটে গিয়েছিলাম... বিতর্কে পড়েও রুপো, রেসের পর মুখ খুললেন জ্যোতি ইয়ারাজি
একেবারে ঘেঁটে গিয়েছিলাম... বিতর্কে পড়েও রুপো, রেসের পর মুখ খুললেন জ্যোতি ইয়ারাজিImage Credit source: Twitter
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 02, 2023 | 10:04 AM

হানঝাউ: এশিয়ান গেমসে (Asian Games) ইতিহাস তৈরি করেছেন জ্যোতি ইয়ারাজি। এই প্রথম কোনও ভারতীয় মেয়ে ১০০ হার্ডলস থেকে এনেছেন পদক। কিন্তু যে পরিস্থিতিতে পড়েছিলেন, সেখানে সাফল্য পাওয়া এক আশ্চর্য ঘটনা। পদক কেন রেসেই নামার অনুমতি পাচ্ছিলেন না জ্যোতি। প্রতিবাদ করেন। ট্র্যাকে নামেন। রুপো ‘জেতেন’ ভারতীয় স্প্রিন্টার। এমন হার্ডলস বোধহয় পার করতে হয় না কাউকে। যা জ্যোতি করেছেন। ১০০ মিটার হার্ডলসে সাফল্যের পর কেরালার মেয়ে ঘরে-ঘরে পরিচিতি পেয়ে গিয়েছিলেন। ওই বিতর্কিত মুহূর্ত নিয়ে কী বলছেন জ্যোতি? TV9Bangla Sports এ বিস্তারিত।

১০০ হার্ডলসের শুরুতে ফলস স্টার্ট করেন চিনা অ্যাথলিট ইয়ানি উও। রিপ্লেতেও যা পরিষ্কার দেখে সারা স্টেডিয়াম। কিন্তু আশ্চর্যজনক ভাবে, যে অফিসিয়াল ১০০ মিটার হার্ডলসের পরিচালনায় ছিলেন তিনি ইয়ানি সঙ্গে জ্যোতিকেও ডিসকোয়ালিফাই করে দেন। এমন সাধারণত হয় না। যদি না দুই অ্যাথলিট একসঙ্গে ফলস স্টার্ট করেন। রিপ্লেতে দেখা গিয়েছে, ইয়ানি বেরনোর পর জ্যোতি বেরিয়েছেন। তা হলে কেন তাঁকে ডিসকোয়ালিফাই করা হল। জ্যোতি এই ঘটনার প্রতিবাদ করেন সঙ্গে। শেষ পর্যন্ত তাঁকে রেসে নামতে দেওয়া হয়। এতেই ব্যাপারটা শেষ নয়, দেখা যায় চিনা অফিসিয়াল ইয়ানিকেও রেসে নামতে দিচ্ছেন। এখান থেকেই শুরু হয় বিতর্ক। রেসে ব্রোঞ্জ পান জ্যোতি। পরে ইয়ানিকে ডিলকোয়ালিফাই করায় রুপো পান জ্যোতি। এ নিয়ে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন চিনে উপস্থিত সর্বভারতীয় অ্যাথলেটিক্সের কর্তারা।

রেসের পর জ্যোতি বলছেন, ‘ফেডারেশন, আমার কোচ, সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। ওদের জন্যই এই পর্যন্ত আসতে পেরেছি, পদক পেয়েছি। খুশি হয়েছি, তবে টাইমিং আরও ভালো হতে পারত। যদি না ওই রকম পরিস্থিতিতে পড়তে হত। রেসের ঠিক আগে জটিল পরিস্থিতির মধ্যে পড়েছিলাম। আমি রেসের জন্য ফোকাস করছিলাম। কিন্তু হঠাৎ বলা হয় আমি নাকি ডিসকোয়ালিফাই হয়ে গিয়েছি। জায়ান্ট স্ক্রিনে পরিষ্কার দেখা যাচ্ছিল, কে ফলস স্টার্ট করেছে। অফিসিয়ালরা যাই বলুক না কেন, আমি মেনে নিইনি।’

ওই পরিস্থিতিতে পড়েও যে ফোকাস হারাননি, জ্যোতি বলে দিচ্ছেন। তাঁর কথায়, ‘এতে আমার ছন্দ কিছুটা হলেও ঘেঁটে গিয়েছিল। খুব ভালো করে জানতাম, নিজের সেরা টাইমিং আনতে হবে কী করে। কিন্তু ওই ঘটনা আমাকে খানিকটা হলেও চাপে ফেলে দিয়েছিল। বুঝে উঠতে পারছিলাম না, কী করব। তার পরও যে রেসে নিজেকে তুলে ধরতে পেরেছি, সেটাই বড় কথা। এশিয়ান গেমসে সেরাটা দিতে চেয়েছিলাম। খারাপ লাগছে সোনা আনতে পারলাম না।’

এ বার প্যারিস অলিম্পিকে ফোকাস জ্যোতির। হাতে আর বছর খানেক সময় আছে। প্যারিসের মহামঞ্চে যদি নিজেকে প্রমাণ করতে পারেন, তা হলে সারা বিশ্ব শ্রেষ্ঠত্ব মেনে নেবে ভারতীয় স্প্রিন্টারের।