প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে নামবেন, বক্সিংকে বিদায় জানালেন পাকিয়াও
পাকিয়াও ফিলিপিনের সেনেটর। রাজনীতি আর বক্সিং নিয়েই এতদিন চলছিলেন। দুটোই মন প্রাণ ঢেলে করতেন। কিন্তু বক্সিং যে আর সম্ভব হবে না, ভালোই বুঝতে পারছেন তিনি। তাই অবসরের এই সিদ্ধান্ত।
ম্যানিলা: রাজনীতির ময়দানে এ বার নিজেকে পরখ করতে চান। তাই রিং থেকে অবসর নিয়ে নিলেন কিংবদন্তি বক্সার ম্যানি পাকিয়াও (Mani Pacquiao) । ২০২২ সালে ফিলিপিন্সের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে নামবেন। শুরু করে দিয়েছেন তার তোড়জোড়। নিজের ইউটিউব চ্যানেলে একটি চোদ্দো মিনিটের ভিডিও পোস্ট করে নিজের নতুন স্বপ্নের কথা ঘোষণা করেছেন বক্সার।
পাকিয়াও ফিলিপিনের সেনেটর। রাজনীতি আর বক্সিং নিয়েই এতদিন চলছিলেন। দুটোই মন প্রাণ ঢেলে করতেন। কিন্তু বক্সিং যে আর সম্ভব হবে না, ভালোই বুঝতে পারছেন তিনি। তাই অবসরের এই সিদ্ধান্ত। পাকিয়াও বলেছেন, ‘আমি শেষ অ্যালার্মটা শুনতে পেয়েছি। বক্সিং শেষ করতেই হত। তাই করলাম। তবে, বক্সিং যে একদিন থেমে যাবে, গ্লাভস তুলে রাখতে হবে, সেটা বুঝতে পারিনি।’
দুরন্ত ফুটওয়ার্ক, পাঞ্চের গতির জন্য রিংয়ে আগ্রাসী করে তুলেছিল পাকিয়াওকে। দীর্ঘদিন ধরে নিজেকে সাফল্যের শিখরে ধরে রাখতে পেরেছিলেন এই দুটো কারণেই। এমনকি বব আরুমের মতো বক্সিং প্রমোটার পর্যন্ত পাকিয়াওকে আগ্রাসনের কারণে মহম্মদ আলির থেকেও বেশি ভয়ঙ্কর বলে ব্যাখ্যা করেছিলেন। বলেছিলেন, ‘ওর দুটো হাতেই একই রকম পাঞ্চ রয়েছে। যে কারণে কোনও প্রতিপক্ষই ওর বিরুদ্ধে দাঁড়াতে পারে না। যদিও গত আগস্টে ৪২ বছরের পাকিয়াও ডব্লিউবিএ ওয়েল্টারওয়েট বিশ্ব খেতাবের ম্যাচে হেরে গিয়েছিলেন কিউবার ইওর্ডেনিস উগাসের কাছে।
দক্ষিণ ফিলিপিন্সে অত্যন্ত গরীব পরিবারে জন্ম পাকিয়াওয়ের। জীবন ধারণের জন্য নানা কাজ করতে হত তাঁকে। দারিদ্রতা সহ্য করতে না পেরে ছেলেবেলাতেই পালিয়ে গিয়েছিলেন রাজধানী ম্যালিনাতে। সেখানে বাঁচার জন্য বক্সিংকেই বেছে নিয়েছিলেন পাকিয়াও। সেই বক্সিংই তাঁকে অর্থ, যশ, খ্যাতি সব দিয়েছে।
পাকিয়াও ২০০৭ সাল থেকেই সক্রিয় রাজনীতিতে চলে আসেন। ধীরে ধীরে রাজনীতির জগতেও মাথা তুলে দাঁড়াতে শুরু করেন। সেই পাকিয়াও এখন লড়বেন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন।
আরও পড়ুন: Pakistan Cricket: সময় শেষের আগেই দায়িত্ব ছাড়লেন পাক বোর্ডের সিইও