Tokyo Olympics 2020: টোকিওর পদক সব আক্ষেপ মিটিয়ে দেবে: শ্রীজেশ
পুরো কেরিয়ার জুড়ে অনেক ত্যাগ করতে হয়েছে এমনটাই বলেছেন তিনি। তবে এই ত্যাগের কারণেই সর্বস্ব দিয়ে এ বার টোকিও থেকে পদক নিয়ে ফিরতে চান, শ্রীজেশ।
অলিম্পিকে (Olympics) হকিতে (Hockey) ভারতের (India) ইতিহাস কিন্তু চোখ ধাঁধানো। তবে তার সবটাই এখন ইতিহাস। প্রায় চার দশক হয়ে গিয়েছে অলিম্পিকে ভারতীয় হকির বড় সাফল্য নেই। ১৯৮০ সালে মস্কো অলিম্পিকে শেষ বার এসেছিল পদক। তার পর শুধুই অন্ধকার। অপেক্ষার বাঁধ ভাঙার সুযোগ রয়েছে আসন্ন টোকিও অলিম্পিকে (Tokyo Olympics)। এ বার সেই অপেক্ষাই শেষ করতে চান পুরুষ হকি দলের গোলকিপার পিআর শ্রীজেশ (PR Sreejesh)।
শ্রীজেশের কেরিয়ারের তৃতীয় এবং সম্ভবত শেষ অলিম্পিক হতে চলেছে টোকিওয়। তাই তিনি শেষটা স্মরণীয় করে রাখতে চান। ২০০৬ সালে সিনিয়র দলে শ্রীজেশের অভিষেক। তারপর থেকে তাঁর একটাই স্বপ্ন, অলিম্পিকে পদক জেতা। সেই স্বপ্ন এখনও পূরণ হয়নি। শ্রীজেশ হকির আন্তর্জাতিক মঞ্চে অন্যতম সেরা গোলকিপার। ভারতীয় দলকে তিনি এর আগে নেতৃত্বও দিয়েছেন। পুরো কেরিয়ার জুড়ে অনেক ত্যাগ করতে হয়েছে এমনটাই বলেছেন তিনি। তবে এই ত্যাগের কারণেই সর্বস্ব দিয়ে এ বার টোকিও থেকে পদক নিয়ে ফিরতে চান, শ্রীজেশ।
করোনার কারণে দীর্ঘদিন পরিবারকে ছেড়ে থাকতে হয়েছে। করোনা আবহেও টোকিও যেতে পেরে বেশ খুশি শ্রীজেশ। তিনি বলছেন, “জীবনে অনেক কিছু ত্যাগ করতে হয়েছে। নিজের মনেই প্রশ্ন আসে, কেন আমি পরিবার, বাচ্চাদের ছেড়ে দীর্ঘদিন আলাদা থাকছি? কিন্তু এই প্রশ্নের উত্তরটাও আমি জানি।” কেরিয়ারের জন্য অনেক ত্যাগ করেছেন তিনি। তবে তা পুষিয়ে নেবেন টোকিওয় পদক জিতে, এমনটাই মনে করছেন ভারতীয় হকি দলের গোলকিপার।
তিনি বলেন, “অলিম্পিক হকিতে আমাদের একটা বর্ণময় অতীত রয়েছে। নিজের কেরিয়ারে আন্তর্জাতিক হকির অনেক পদকই আমি জিতেছি। বলতে গেলে প্রায় সব পদকই আমার জেতা হয়ে গিয়েছে। কিন্তু বিশ্বকাপ কিংবা অলিম্পিক পদক এখনও মুঠোয় আসেনি। হতে পারে এটাই আমার শেষ অলিম্পিক। একজন অ্যাথলিট হিসেবে আর কোনও সাফল্য আমি পেতে পারি, এই অলিম্পিক থেকে আমার প্রাপ্তি কী হতে চলেছে, সব প্রশ্নের উত্তর কিন্তু একটাই, অলিম্পিক পদক। এই একটা সাফল্যের লক্ষ্যেই সব কিছু ত্যাগ করা যায়।”
অলিম্পিকে ভারতীয় হকির আটটি সোনার পদক রয়েছে। এ বার পদক জয়ের স্বপ্নে বুঁদ শ্রীজেশরা। মারণ ভাইরাসের কারণে অলিম্পিক এক বছর পিছিয়ে যায়। বেঙ্গালুরুর প্রশিক্ষণ কেন্দ্র সাইতেই ছিলেন শ্রীজেশরা। দীর্ঘদিন তাঁরা অনুশীলন করেছেন সাইয়ে। করোনার কারণে কড়া সুরক্ষাবিধির মধ্যে টোকিওতে দর্শকশূন্য অলিম্পিক হবে। পদকের স্বপ্ন দেখা কিন্তু বন্ধ করেননি শ্রীজেশ। তিনি বলছেন, “একটা স্বপ্ন নিয়েই রোজ ঘুমোতে যাই এবং ঘুম থেকে উঠি। গত ১৫ বছর ধরে এই একটা স্বপ্নই দেখছি, আগামী ১৫ দিন সেই স্বপ্ন পূরণের জন্যই খেলব।”
আরও পড়ুন: Tokyo Olympics 2020: সিন্ধু টোকিওয় সোনা জেতার দাবিদার, বলছেন গোপীচাঁদ