Mary Kom: পরিশ্রমের কোনও বিকল্প হয় না, ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে কে দেখাচ্ছেন স্বপ্ন?
Asian Games 2023: শুধু কঠিন পরিশ্রমকে সামনে রেখে এগনো নয়, আজও সেই শৃঙ্খলার বাঁধনেই রেখে দিয়েছেন নিজেকে। আজও দিনে তিনবার ট্রেনিং করেন। যাতে নিজেকে মোটিভেট রাখতে পারেন। সাত সকালে ঘুম থেকে ওঠা, জিমে যাওয়া, ট্রেনিংয়ে ফোকাস রাখা সব কিছুর উর্ধ্বে। টাইমস অফ ইন্ডিয়ার এক অনুষ্ঠানে মেরি বলেছেন, 'সকালে যদি ট্রেনিং না করতে পারি, কোনও কারণে মিস করি, সারাটা দিন খারাপ যায়। আজও দিনে তিনবার ট্রেনিং করি। এটা কখনও ভাঙি না। রোজকার ট্রেনিং আমাকে সতেজ রাখে। ট্রেনিংয়ের প্রতি নেশা আজও কাটেনি।'

নয়াদিল্লি: কঠিন পরিশ্রমই একমাত্রই রাস্তা সাফল্যের। সাধারণ থেকে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার রেসিপি খুঁজতে গিয়ে এই দুটো শব্দকেই সব কিছুর উপরে রেখেছেন মেরি কম (Mary Kom)। ৪০ বছরের বক্সারের কেরিয়ার ঘিরে থেকেছে সাফল্য়। ছ’বার বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন (World Champion Boxer) হয়েছেন। ২০১২ সালে লন্ডন অলিম্পিক (Olympics) থেকে এনেছেন ব্রোঞ্জ। মেরি কমকে কি শুধুই সোনা-রুপো দিয়ে ব্যাখ্যা করা যাবে? বলা যেতে পারে, উত্তর-পূর্ব ভারতে মেয়েদের দেখার চোখই পাল্টে দিয়েছিলেন মেরি। তিন বাচ্চার মা হওয়ার সত্ত্বেও স্বপ্নের পিছনে ছোটা যায়, সাফল্য পাওয়া যায়, এ সবই প্রমাণ করেছেন মেরি। শুধু কি তাই, সারা দেশে মেয়েদের মধ্যে জনপ্রিয় করেছেন বক্সিংকে। এশিয়ান গেমসের ঠিক আগে সেই মেরি কী বলছেন? TV9Bangla Sportsএ বিস্তারিত।
শুধু কঠিন পরিশ্রমকে সামনে রেখে এগনো নয়, আজও সেই শৃঙ্খলার বাঁধনেই রেখে দিয়েছেন নিজেকে। আজও দিনে তিনবার ট্রেনিং করেন। যাতে নিজেকে মোটিভেট রাখতে পারেন। সাত সকালে ঘুম থেকে ওঠা, জিমে যাওয়া, ট্রেনিংয়ে ফোকাস রাখা সব কিছুর উর্ধ্বে। টাইমস অফ ইন্ডিয়ার এক অনুষ্ঠানে মেরি বলেছেন, ‘সকালে যদি ট্রেনিং না করতে পারি, কোনও কারণে মিস করি, সারাটা দিন খারাপ যায়। আজও দিনে তিনবার ট্রেনিং করি। এটা কখনও ভাঙি না। রোজকার ট্রেনিং আমাকে সতেজ রাখে। ট্রেনিংয়ের প্রতি নেশা আজও কাটেনি।’
মেরি কেন সব কিছুর আগে রাখেন কঠিন পরিশ্রমকে? ‘আমি খুব ছোট্ট একটা গ্রাম থেকে উঠে এসেছি। বাবা-মা সব সময় জীবন সম্পর্কে পজিটিভ থাকতে শিখিয়েছেন। ভীষণ সংগ্রাম করতে হয়েছে জীবনভর কিন্তু কোনও দিন লড়াই করা ছাড়িনি। সেই কারণেই মনে হয়, কঠিন পরিশ্রমের কোনও বিকল্প হয় না।’
রিংয়ে যখন থাকেন, তখন একরকম। এই মেরিই আবার বাড়িতে যখন থাকেন, তখন আর এক রকম। মেরির কথায়, ‘আমি নানা লোভনীয় খাবার বানাতে ভালোবাসি। আমিষ, নিরামিষ সব রান্নাই করতে পারি। সব রকম প্রতিভা আছে বলতে পারেন। রিংয়ে যখন থাকি তখন আমি বাঘিনী, কিন্তু বাড়িতে যখন থাকি, তখন আমি শুধু মা আর স্ত্রী। আসলে বক্সিংয়ের জন্য আমি পরিবারকে সে ভাবে সময় দিতে পারিনি। যে কোনও প্লেয়ারের কাছে কিন্তু ফোকাসটা আসল। ট্রেনিং, প্র্যাক্টিস, টুর্নামেন্টের জন্য প্রস্তুতি দিনের পর দিন করে গিয়েছি। সেই কারণেই কিন্তু আমি এই জায়গায় পা রাখতে পেরেছি।’





