PARIS 2024: মন খারাপে বিদায় প্রেমের শহর প্যারিস, অপেক্ষা ‘বিনেশ’ ও LA-এর

Paris Olympics 2024: আন্তর্জাতিক ক্রীড়া আদালতে ভারতীয় অলিম্পিক সংস্থা এবং বিনেশ আবেদন করেছেন যাতে তাঁকে যুগ্মভাবে রুপোর পদক দেওয়া হয়। ভারতীয় ক্রিকেটের আইকন সুনীল গাভাসকর থেকে সচিন তেন্ডুলকর। তাঁর হয়ে সওয়াল করেছেন অনেকেই। সদ্য ভারতীয় ক্রিকেট টিমের প্রাক্তন অধিনায়ক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ও বলেছেন, অন্তত রুপোর পদক পাওয়া উচিত বিনেশের।

PARIS 2024: মন খারাপে বিদায় প্রেমের শহর প্যারিস, অপেক্ষা 'বিনেশ' ও LA-এর
Image Credit source: PTI, SAI
Follow Us:
| Updated on: Aug 12, 2024 | 3:36 AM

সব ভালো হতে পারতো। অনেকটা ভালো অন্তত। কিন্তু সেই সিদ্ধান্ত এখনও হয়নি। অপেক্ষায় ভারতীয় ক্রীড়া প্রেমীরা। প্রেমের শহর প্যারিসকে বিদায়। অলিম্পিক পাড়ি দিল এ বার লস অ্যাঞ্জেলসে। চার বছরের অপেক্ষা। ২০২৮ সালের সামার অলিম্পিক মার্কিন মুলুকের লস অ্যাঞ্জেলসে। প্যারিসে যাঁরা সাফল্য পেয়েছেন, তাঁদের স্বপ্ন দেখা এবং নতুন করে পরিশ্রম শুরু খুব তাড়াতাড়িই। যাঁরা সাফল্য পাননি…। আরও পরিশ্রম করে চার বছর পরের অপেক্ষায়। প্যারিসে শেষে যেমন লস অ্যাঞ্জেলসের শুরু হয়ে গেল। আলোক ঝলমলে ক্লোজিং সেরিমনিতে একটা অস্বস্তি থেকে গেল ভারতীয় শিবিরে। সোনার পদক।

প্যারিসে ভারতের ঝুলিতে আধডজন পদক। কিন্তু একটিও সোনার পদক নেই। সংখ্যাটাও বাড়তে পারত, এখনও হয়তো পারে। একটি সিদ্ধান্ত এখনও বাকি। বেশ কিছু ইভেন্টে ভারত চতুর্থ হয়েছে। তবে সবচেয়ে আক্ষেপের বিনেশ ফোগাটের বাতিল হওয়া। দেশের প্রথম মহিলা কুস্তিগির হিসেবে অলিম্পিকের ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছিলেন বিনেশ ফোগাট। ৫০ কেজি ফ্রি-স্টাইলে অংশ নেন বিনেশ। ফাইনালের আগে মাত্র ১০০ গ্রাম বাড়তি ওজনের জন্য তাঁকে বাতিল ঘোষণা করা হয়। ফাইনালে নামতে পারেননি। ওজন ঠিক রাখার জন্য কোনও চেষ্টাই বাদ রাখেননি। তাতেও ফাইনালে নামা হয়নি। শেষ অবধি কুস্তিকেই বিদায় জানিয়েছেন।

আন্তর্জাতিক ক্রীড়া আদালতে ভারতীয় অলিম্পিক সংস্থা এবং বিনেশ আবেদন করেছেন যাতে তাঁকে যুগ্মভাবে রুপোর পদক দেওয়া হয়। তাঁর হয়ে সওয়াল করেছেন অনেকেই। ভারতীয় ক্রিকেটের আইকন সুনীল গাভাসকর গর্জে ওঠার ডাক দিয়েছিলেন। সচিন তেন্ডুলকর বলেছিলেন, এ বার নিয়ম নিয়ে ভাবা উচিত অলিম্পিক সংস্থার। সদ্য ভারতীয় ক্রিকেট টিমের প্রাক্তন অধিনায়ক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ও বলেছেন, অন্তত রুপোর পদক পাওয়া উচিত বিনেশের।

প্যারিসে ভারতের পদকের খাতা খুলেছিলেন মনু ভাকের। ব্যক্তিগত ইভেন্টে ব্রোঞ্জ। দেশের প্রথম মহিলা শুটার হিসেবে অলিম্পিক পদক, দীর্ঘ ১২ বছর পর অলিম্পিক শুটিংয়ে পদকের খাতা খোলে মনুর সৌজন্যেই। মিক্সড টিম ইভেন্টেও ব্রোঞ্জ পদক মনুর। স্বাধীন ভারতে প্রথম অ্যাথলিট হিসেবে অলিম্পিকের এক সংস্করণে জোড়া পদক। শুটিংয়ে আরও একটি পদক এসেছে স্বপ্নিল কুশালের সৌজন্যে। অলিম্পিকে টানা দ্বিতীয় ব্রোঞ্জ পদক হকি দলের। রুপোর পদক গোল্ডেন বয় নীরজ চোপড়ার। কুস্তিতে ব্রোঞ্জ এনেছেন আমন শেরাওয়াত। ভারতের প্রত্যাশা এখন, সংখ্যাটা ছয় থেকে সাত হোক।

এ বারের অলিম্পিকের ক্লোজিং সেরিমনিতে ভারতের পতাকা বইলেন মনু ভাকের ও পিআর শ্রীজেশ। মনু ভাকের জোড়া পদক জিতেছেন। তেমনই টানা দুই অলিম্পিকে ব্রোঞ্জ পদক দিয়ে হকিকে বিদায় জানিয়েছেন শ্রীজেশ। লস অ্যাঞ্জেলসে হয়তো নতুন ভূমিকায় দেখা যেতে পারে শ্রীজেশকে। আর মনুর গলায় সোনার পদক! এই প্রত্যাশাতেই প্যারিসকে বিদায়। সঙ্গে মন খারাপ বিনেশ, মন খারাপের ওষুধের অপেক্ষা।