Ravi Shastri: অ্যান্ডারসনের পেশাদারিত্ব দেখে শিখুন ভারতীয় পেসাররা, কে বললেন এমন কথা?
চল্লিশেও সেরা হওয়া যায়! জেমস অ্যান্ডারসন যেন নতুন করে ইতিহাস লিখছেন। আইসিসির সদ্য প্রকাশিত তালিকায় এক নম্বর পেসার তিনিই। জিমিই উদাহরণ, কে বলছেন এমন কথা?
নয়াদিল্লি: ক্রীড়াবিদদের কাছে বয়স যে শুধুই একটি সংখ্যা , এ কথা বহুদিন ধরেই প্রমাণিত হয়ে আসছে। যুগে যুগে বহু প্রতিভাবান ক্রীড়াবিদ নিজেদের প্রদর্শনীর মাধ্যমে সে কথা প্রমাণ করেছেন। ভারতের লিয়েন্ডার পেজের উদাহরণ দেওয়া হত একসময়। বলা হয় ৩৭ বছরের ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর (Cristiano Ronaldo) কথা। এ বার সেই তালিকায় যুক্ত হল এক ব্রিটিশ ফাস্ট বোলারের নাম।৪০ বছর বয়সে এসেও যে রকম নজরকাড়া প্রদর্শনী তিনি দিয়ে যাচ্ছেন, তাতে ক্রিকেটমহলের সকলেই তাঁর অনুরাগী হয়ে পড়ছে। এমনকি ভারতের প্রাক্তন কোচ রবি শাস্ত্রীও (Ravi Shastri) তাঁর প্রশংসায় পঞ্চমুখ। আর কেউ নন, তিনি হলেন ইংল্যান্ডের সেরা পেসার জেমস অ্যান্ডারসন (James Anderson)।
৪০ বছরে বয়সেও তিনি অসম্ভব ধারাবাহিক। তাঁর থেকে কম বয়সী পেসারদের থেকেও ট্র্যাক রেকর্ড ভালো। প্রতিপক্ষ ব্যাটাররা আজও তাঁকে সামলাতে পারছেন না। অস্ট্রেলিয়ার প্যাট কামিন্সও তাঁর সামনে হার স্বীকার করে নিয়েছেন। আইসিসির টেস্ট বোলারদের সেরার তালিকায় রবিচন্দ্রন আশ্বিন ও প্যাট কামিন্সকে পেছনে ফেলে ১ নম্বরে এসেছেন জেমস অ্যান্ডারসন। তাঁর উদ্দেশে ভারতের প্রাক্তন কোচ রবি শাস্ত্রী বলেন, “ভারতীয় টিমের ইংল্যান্ড সফরে যখন কোচ হয়ে যেতাম, তখন অ্যান্ডারসনকে খুব কাছ থেকে দেখতাম। ওর পেশাদারী মনোভাব এবং খেলার প্রতি দায়বদ্ধতা দেখে আমি বারবার মুগ্ধ হয়েছি। আমার দেশের ফাস্ট বোলারদের বলব জেমসকে দেখে শিখতে।”
ভারতের প্রাক্তন কোচ এক সাক্ষাৎকারে খোলামেলা বলেছেন, “অনুশীলন করতে এসে ও মাত্র ২০ থেকে ২৫টা বল করে। কিন্তু প্রত্যেক বলেই নিজের সর্বস্বটুকু দিয়ে সেরা বল করার চেষ্টা করে। তখন ওকে দেখে মনে হয়, বুঝি সত্যিই আসল ম্যাচে বল করছে। এক ওভার বল করার পর যদি অন্য কেউ বল করতে চায় তাহলে একটু বিশ্রাম নেয় ও। নয়তো একটানা নিজের অনুশীলনে মত্ত থাকে অ্যান্ডারসন।”
চল্লিশ বছর বয়সে এসেও যে মাপের বোলিংয়ের নমুনা অ্যান্ডারসন দিচ্ছেন তা সত্যিই প্রশংসনীয়। এ বিষয়েও শাস্ত্রী বলেছেন, “সম্পূর্ণ ফিট থাকা ছাড়া এ বয়সে এমন বল করা অসম্ভব। আমি বলব, ও একজন আদর্শ পেসার। অনেককেই অনুপ্রেরণা দেয় জিমি। ৪০ বছর বয়সে যে সব ব্যাটাররা খেলেছে, তাদের কথা বাদ দিন। কিন্তু একজন ফাস্ট বোলারের ৪০ বছর বয়সেও খেলে যাওয়া সত্যিই স্যালুট করার মতো।”
১৭৮টি টেস্ট ম্যাচে ৬৮২ টি উইকেট নিয়েছেন জেমস অ্যান্ডারসন। যা ইতিহাসে অন্য কোনো ফাস্ট বোলারের নেই। কেবলমাত্র স্পিনার মুথাইয়া মুরলীধরন ও শেন ওয়ার্নের যথাক্রমে ৮০০ এবং ৭০৮ টি উইকেট রয়েছে টেস্টে। জিমি সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি হবেন কিনা, তা হয়তো সময় বলবে। তবে ইংল্যান্ডের এই বর্ষীয়ান পেসার ২০০টা টেস্ট খেলার রেকর্ডটা যে করতে চান এবং ফর্মে থেকেই সেই মাইলফলক ছুঁতে চান, সন্দেহ নেই।