State Bank of India: সুপ্রিম কোর্টে বড় ধাক্কা SBI-র, দিতে হবে মোটা টাকার ক্ষতিপূরণ
State Bank of India: সমস্যা বুঝতে পেরে ওই ব্যক্তি এসবিআই-এর হেল্পলাইনে যোগাযোগ করেন। অভিযোগও জানান। দ্রুত তাঁর কার্ড ও অ্যাকাউন্ট ব্লক করা হয়। এরপর তিনি জালুকবাড়ি থানায় এফআইআর করেন। অসম পুলিশের সাইবার ক্রাইম সেলে তিনটি অভিযোগও দায়ের করেন।
কলকাতা: এবার দেশের শীর্ষ আদালতে বড় ধাক্কা দেশের বৃহত্তম রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক এসবিআই। শুনতে হল কড়া ভৎর্সনা। সুপ্রিম নির্দেশেই দিতে হবে মোটা টাকার ক্ষতিপূরণ। সূত্রের খবর, সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টে একটি পিটিশন দাখিল হয়েছিল। তারপরই এ ঘটনা। কিন্তু কেন? গল্পটা ঠিক কী? সূত্রের খবর, অসমের এক ব্যক্তি ২০২১ সালে লুই ফিলিপের একটি ব্লেজার কিনেছিলেন। কিন্তু পছন্দ না হওয়ায় ফেরত দিতে চেয়েছিলেন। এদিকে এরই মধ্যে লুই ফিলিপের ওয়েবসাইট হ্যাক হয়ে যায়। কিছু সময়ের মধ্যে এক প্রতারক ওই ব্যক্তির সঙ্গে যোগাযোগ করেন। নিজেকে লুই ফিলিপের কাস্টমার কেয়ার প্রতিনিধি হিসাবেও পরিচয় দেন। ফোনেই জানান, ফোনে অ্যাপ ইনস্টল করা থাকলেই ব্লেজার ফেরত দেওয়া যাবে। অ্যাপটি ইনস্টল করার সঙ্গে সঙ্গেই ওই ব্যক্তির অ্য়াকাউন্ট ফাঁকা হয়ে যায়।
সমস্যা বুঝতে পেরে ওই ব্যক্তি এসবিআই-এর হেল্পলাইনে যোগাযোগ করেন। অভিযোগও জানান। দ্রুত তাঁর কার্ড ও অ্যাকাউন্ট ব্লক করা হয়। এরপর তিনি জালুকবাড়ি থানায় এফআইআর করেন। অসম পুলিশের সাইবার ক্রাইম সেলে তিনটি অভিযোগও দায়ের করেন। কিন্তু, তদন্তে বিশেষ অগ্রগতি হচ্ছে না দেখে আরবিআই, গুয়াহাটি হাইকোর্ট ও শেষে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন।
ব্লেজারের দাম ছিল প্রায় ৯৪ হাজার টাকা। এদিকে ঘটনার পরেও SBI সাইবার অপরাধের অভিযোগ দায়ের করেনি। উল্টে গ্রাহককে অসতর্কতার জন্য দায়ী করা হয়। শুধু তাই নয়, এসবিআই জানিয়েছে যেহেতু প্রতারণা করা হয়েছে গুগল পে-এর মাধ্যমে। তাই ব্যাঙ্ক দায়ী নয়। ব্যাঙ্ক বলছে, Google Pay থার্ড অ্যাপ। আর ব্যাঙ্ক কখনও থার্ড-পার্টি অ্যাপ ব্যবহার করার পরামর্শ দেয় না।
এই খবরটিও পড়ুন
যদিও এতকিছুর পরেও হার মানেননি অসমের ওই ব্যক্তি। তীব্র ক্ষোভে এসবিআইয়ের বিরুদ্ধেই মামলা দায়ের করেন। জল সুপ্রিম কোর্টে গড়াতেই শেষ পর্যন্ত জিতে গেলেন তিনি। এসবিআই-কে ৯৪ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দেয় দেশের শীর্ষ আদালত। সুপ্রিম কোর্ট বলছে, এসবিআই-এর হাতে সেরা প্রযুক্তি রয়েছে। তারপরেও সাইবার জালিয়াতি বন্ধ করতে তারা ব্যর্থ। ২৪ ঘণ্টার মধ্য়ে ওই ব্যক্তি সমস্যার কথা ব্যাঙ্ককে জানান। ব্যাঙ্কের উচিত ছিল অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়া।