TOKYO OLYMPICS 2020: যন্ত্রণার ‘চার অধ্যায়’
Tokyo Olympics: রিওতে সফল না হলেও, টোকিও অলিম্পিকে চতুর্থ হয়েও সফল অদিতি অশোক।
অলিম্পিকে (Olympics) প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় স্থানাধিকারীদের সকলেই মনে রাখেন। আর সেটাই স্বাভাবিক। দেশকে পদক এনে দেওয়ার মতো গর্বের ব্যাপার বলে কথা। কিন্তু চতুর্থ! তাঁদের মনে রাখা হয় কি? উত্তরটা হ্যাঁ। মনে থেকে যান চতুর্থরাও। অলিম্পিকে এই নিয়ে ভারতের ৫ জন অ্যাথলিট চতুর্থ স্থানে শেষ করলেন। মিলখা সিং, পিটি উষা, জয়দীপ কর্মকার, দীপা কর্মকার তো এই তালিকায় ছিলেন। আজ, তাতে যোগ দিলেন ২৩ বছর বয়সী অদিতি অশোক (Aditi Ashok)।
চতুর্থ হওয়া আর পদক না পাওয়ার ক্ষেত্রে ফারাক কতটা? দৌড়ের ক্ষেত্রে যিনি চতুর্থ হন, তাঁর সময় হয় সেকেন্ডের ভগ্নাংশেরও কম সময়। শুটিংয়ের ক্ষেত্রে আবার সেই ফারাক মিলিমিটারের ভগ্নাংশেরও কম। এই দিক থেকে ভাবতে গেলে, বাস্তবে তৃতীয় হওয়ার জায়গায় চতুর্থ হওয়ার ফারাক অনেকটাই। কিন্তু পারফরম্যান্সের দিক থেকে তাঁদের কোনওভাবেই পিছিয়ে রাখা যায় না। যার জন্যই কিন্তু আমরা মিলখা সিং (Milkha Singh), পিটি উষা (PT Usha), জয়দীপ কর্মকার (Joydeep Karmakar) ও দীপা কর্মকারকে (Dipa Karmakar) নিয়ে আলোচনা করি।
একইভাবে এ বার অদিতি অশোককে নিয়েও আলোচনা হবে। তবে এই চতুর্থ স্থানে শেষ করা ভারতীয় অ্যাথলিটদের মনে রাখা হয়েছে এই কারণেই, যে তাঁদের সাফল্য কিন্তু পরবর্তী প্রজন্মকে সেই খেলাধূলার দিকে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছিল। মিলখা সিং, পিটি উষা ও জয়দীপ কর্মকার এই তিনজনের ক্ষেত্রেই ব্যাপকভাবে পরবর্তী প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করতে দেখা গেছে। দীপা কর্মকারের জন্য আমাদের দেশে জিমন্যাস্টিক্স ভীষণভাবে সাড়া ফেলেছিল। আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রেও যে জিমন্যাস্টিক্সে সাফল্য পাওয়া যায় তা দেশবাসী দেখে দীপার হাত ধরেই। তিনি রিও অলিম্পিকে চতুর্থ হয়ে সকলকে এটা দেখিয়ে দিয়েছিলেন।
আমাদের দেশে কিন্তু গল্ফ (Golf) নিয়ে আলোচনা হলে এগিয়ে থাকেন ছেলেরা। মেয়েদের গল্ফ নিয়ে সেই অর্থে আলোচনা কিন্তু সচরাচর হয় না বললেই চলে। অদিতি অশোক কিন্তু দেশবাসীকে তাঁর পারফরম্যান্সের মাধ্যমে বাধ্য করল মেয়েদের গল্ফ নিয়ে আলোচনা করতে। পাশাপাশি তিনি এদেশের বহু মেয়েকে গল্ফের প্রতি আগ্রহীও করে তুলবেন। রিওতে সফল না হলেও, টোকিও অলিম্পিকে চতুর্থ হয়েও সফল অদিতি অশোক।
অলিম্পিকের আরও খবর পড়তে ক্লিক করুনঃ টোকিও অলিম্পিক ২০২০