Tata Nano: টাটা ন্যানো নিয়ে এসেছিলেন কেন? ১৪ বছর পর আসল কারণ জানালেন রতন টাটা

Ratan Tata News: কেন টাটা ন্যানো নিয়ে এসেছিলেন রতন টাটা? বিক্রিবাট্টায় ভাঁটা দেখা দেওয়ার কারণে ৪ বছর আগে গাড়িটি মার্কেট থেকে তুলে নেওয়া হয়েছে। আর ১৪ বছর পর রতন টাটা জানালেন, কেন এই গাড়িটি তিনি ভারতের বাজারে

Tata Nano: টাটা ন্যানো নিয়ে এসেছিলেন কেন? ১৪ বছর পর আসল কারণ জানালেন রতন টাটা
একটা পরিবার যাতে সস্তার একটা গাড়িতে ধরে যায়, টাটা ন্যানো তৈরি করার পিছনে ছিল মূল উদ্দেশ্য।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 13, 2022 | 3:41 PM

দেশের অটো ইন্ডাস্ট্রিতে সর্বকালের সস্তার গাড়িগুলির মধ্যে একটি হল টাটা ন্যানো (Tata Nano)। আর সেই টাটা ন্যানো গাড়িটিই ছিল ইমেরিটাস অফ টাটা সনস-এর চেয়ারম্যান রতন টাটার (Ratan Tata) স্পেশ্যাল প্রজেক্ট। টাটা ন্যানো গাড়িটি এক সময় দেশে খুব জনপ্রিয় হয়েছিল। তার অন্যতম কারণ, গাড়িটির কম দাম। আকাশছোঁয়া জনপ্রিয়তার নিরিখে গাড়িটিকে বলা হত ‘একলাখি ন্যানো’। এহেন টাটা ন্যানো গাড়িটি এখন না পাওয়া গেলেও কিছু দিন আগে জানা গিয়েছিল, এই গাড়ির একটি ইলেকট্রিক ভার্সন লঞ্চ হবে। সেই টাটা ন্যানো ইলেকট্রিক মডেলটি নিয়ে রতন টাটার একটি ছবিও ব্যাপক ভাইরাল হয়েছিল। তা যাইহোক, সে দিনের সেই ন্যানো গাড়িটি নিয়ে আসার পিছনে কী কারণ ছিল, তা জানার ইচ্ছে হয় না আপনাদের? কম দামের একটা গাড়ি ভারতীয়দের হাতে তুলে দিতে মরিয়া হয়ে উঠেছিলেন কেন রতন টাটা? এত দিন পরে সেই কারণটা জানা গেল। রতন টাটা তাঁর সাম্প্রতিক ইনস্টাগ্রাম পোস্টে টাটা ন্যানো গাড়িটি লঞ্চ করার পিছনে আসল কারণটি জানিয়েছেন। সেই ইনস্টা পোস্টে তিনি দাবি করেছেন, টাটা ন্যানো নিয়ে আসা হয়েছিল সবার জন্য।

রতন টাটা বলেছেন, ভারতীয় পরিবারদের আমি একটা স্কুটারেই যাতায়াত করতে দেখতাম, পিচ্ছিল রাস্তায় স্কুটারে মা-বারা মধ্যে স্যান্ডউইচড হতে দেখতাম বাচ্চাদের। এখান থেকেই টাটা ন্যানো তৈরি করার আইডিয়া আসে বলে রতন টাটা জানিয়েছেন। প্রথমে তিনি এবং তাঁর দল চিন্তাভাবনা করছিলেন যে, কীভাবে একটা নিরাপদ স্কুটার বানাতে হয়। সেখান থেকেই পরবর্তীতে এমন একটা গাড়ি তৈরির কথা ভাবেন, যার দাম স্কুটারের থেকে সামান্য বেশি হবে এবং তাতে চড়ে একটা পরিবার অনায়াসে বড়, ছোট সব দূরত্বই অতিক্রম করতে পারবে।

একটা ডুডল তৈরি করেছিলেন রতন টাটা ও তাঁর টিম। ডুডলটিতে একটি চারচাকা গাড়িই আঁকা হয়েছিল, যাতে কোনও দরজা বা জানলা ছিল না। কেবল সামান্য কিছু বহন করার মতো কেবিন ছিল সেই গাড়িটিতে। রতন টাটা পোস্টটিতে লিখেছেন, “শেষ পর্যন্ত আমি সিদ্ধান্ত নিই যে, এটা একটা ফোর হুইলার হবে। দ্য ন্যানো এই দেশের প্রতিটা মানুষের জন্যই তৈরি করা হয়েছিল।”

২০০৮ সালে লঞ্চ হওয়ার পর টাটা ন্যানো দেশের প্রচুর গ্যারাজের স্থায়ী সদস্য হিসেবে জায়গা করে নিয়েছিল। কিন্তু দিন যত ঘনাতে থাকে, ততই টাটা ন্যানোর বিক্রিবাট্টায় ভাঁটা পড়তে থাকে। সেলস কমার ফলেই শেষমেশ ২০১৮ সালে বাজার থেকে টাটা ন্যানো গাড়িটি বন্ধ করে দেওয়া হয়। লঞ্চের সময় টাটা মোটরস প্রতি বছর ২৫০,০০০ ইউনিট ন্যানো গাড়ি বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দিয়েছিল। কিন্তু এই টার্গেটে কোনও দিনই পৌঁছতে পারেনি সংস্থাটি। ২০১১-১২ আর্থিক বর্ষে সর্বাধিক বিক্রি হয়েছিল টাটা ন্যানো। সে বার মোট ৭৪,৫২৭ ইউনিট বিক্রি হয়েছিল গাড়িটি। তারপর থেকে প্রতি বছরেই এই গাড়ির বিক্রিবাট্টা উল্লেখযোগ্য হারে কমতে থাকে।

চলতি বছরের শুরুতেই রতন টাটা কাস্টম-মেড টাটা ন্যানো ইলেকট্রিক ভেহিকলের ডেলিভারি নেন। সেই গাড়িতে যে ইলেকট্রিক পাওয়ারট্রেন ব্যবহৃত হয়েছে তা সাপ্লাই করেছে ইলেকট্রোড্রাইভ পাওয়ারট্রেন সলিউশনস প্রাইভেট লিমিটেড (ইলেক্ট্রা ইভি)। কোম্পানিটি সীমিত কিছু সংখ্যার কনভার্টেড ন্যানো ইলেকট্রিক ভেহিকলস সাপ্লাইও করেছে, যার নাম নিও ইভি।