সিরিয়াল সার্ফার্স থেকে ফ্যান্সি ফ্লিপার্স: ভারতের হরেক কিসিমের স্মার্টফোন ব্যবহারকারীদের না চিনলেই নয়

Different Kinds Of Smartphone Users: স্মার্টফোনের কভারে খুচরো টাকা রেখে দেন? নাকি সাধের ফোনটা নিয়ে অতি যত্নশীলতার মনোভাব আপনার? নাকি ফোনটার কেয়ারই করেন না? ফোন নিয়ে আপনার মনোভাব তুলে ধরে আপনি আসলে কেমন মানুষ। জেনে নিন, আপনি কেমন মানুষ।

সিরিয়াল সার্ফার্স থেকে ফ্যান্সি ফ্লিপার্স: ভারতের হরেক কিসিমের স্মার্টফোন ব্যবহারকারীদের না চিনলেই নয়
প্রতীকী ছবি।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 23, 2022 | 4:40 PM

একটা ফোন মানে তা দিয়ে শুধু কথা বলা যাবে, সে দিন আর নেই। মানুষের জীবনের এখন সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হয়ে উঠেছে একটা মোবাইল ফোন। আর মানুষ যে ভাবে ফোন ব্যবহারল করে, তা তার ব্যক্তিত্বেরও একাধিক দিক তুলে ধরে। সব মিলিয়ে এখন একথা বলাই যায়, ফোনগুলি এখন ব্যক্তির ডিজিটাল সংস্করণে পরিণত হয়েছে।

যদিও বেশিরভাগ মানুষই ফোন ব্যবহার করার সময় সতর্কতা অবলম্বন করেন, কেউ কেউ ঠিক তার বিপরীতটা কর থাকে। এমন মানুষও এ দুনিয়ায় রয়েছেন, যাঁদের ফোন দেখে আমাদের ভাগ্যবান মনে হয়। কীভাবে তাঁদের ফোন এত দিন বেঁচে রয়েছে, তা আমাদের যথেষ্ট ভাবায়। ফোন এবং তাদের ব্যবহারকারীরা যতই বৈচিত্র্যময় হোক না কেন, আমাদের প্রত্যেকেরই এই ডিভাইসগুলির সঙ্গে একটি বিশেষ সংযোগ রয়েছে যা সত্যিই মনোযোগ দেওয়ার মতো।

বিভিন্ন মানুষের ফোন ব্যবহারের নানাবিধ প্রবণতা কীভাবে তাঁদের ব্যক্তিত্বে প্রতিফলিত হয়, তাই একবার দেখে নেওয়া যাক:

পকেট-বন্ধুত্বহীন ব্যবহারকারী

এই শ্রেণীতে রয়েছে এমনই মানুষজন, যাঁরা নিজেদের ফোনের কভারটাকেই একটা অতিরিক্ত পকেট হিসেবে মনে করেন। খুচরো টাকা থেকে শুরু করে রসিদ, আধার কার্ডের মতো পরিচয় নথি – সবকিছু রেখে দেন ফোনের কভারে। নম্র ও ভদ্র ফোন কভারটিও যথাস্থানে ব্যবহারকারীর জরুরি জিনিসপত্র গচ্ছিত রাখে সযত্নেই। আর এই বিষয়টাই আপনাকে ভাবাতে পারে যে, এমন ফোন কভার কেন এখনও পর্যন্ত মার্কেটে এল না, যার মধ্যে আলাদা-আলাদা জিনিসপত্র রাখার বিভিন্ন কেস থাকে।

অতিরিক্ত সতর্কতা

কিছু এমন মানুষও আবার রয়েছেন, যাঁদের মধ্যে ভারী এবং বিশাল কভার দিয়ে ফোনটিকে সুসজ্জিত করার প্রবণতা দেখা যায়। তাঁরা আপনাকে এতটাই আত্মবিশ্বাস এবং আনন্দ দিতে পারেন যে, আপনি আটখানা হয়ে নিজের পকেট থেকেই ফোনটা ফেলে দিতে পারেন। ফোন সম্পর্কে তাঁরা এতটাই সুরক্ষামূলক হন যে, সেটিকে শিশুর মতোই আচরণ করেন। রাতে এক চোখ খুলে ফোন খুটখুট করার থেকে তাঁদের পছন্দ কর্নিং গোরিলা গ্লাস বিল্ট-ইনের জটিলতা। এমন ফোন বেছে নেওয়ার মধ্যে দিয়ে তাঁরা একদিকে নিজের সুরক্ষা যেমন নিশ্চিত করেন, তেমনই আবার ফোনের সুরক্ষার বিষয়টিও নিশ্চিত করেন।

মুহূর্মুহ ফোন চেক

এরকম লোক আমরা আখছারই দেখতে পাই, যাঁরা বাথরুমেও সঙ্গে করে ফোনটা নিয়ে যান। মানে ফোন থেকে সামান্য কিছুক্ষণও দূরে থাকা যেন তাঁদের কাজে বিরাট দুষ্কর কাজ। এই ধরনের লোকজনকে বলা হয়, সিরিয়াব সার্ফার্স। ঘনঘন ফোন খুলবেন, আর কিছু না কিছু চেক করেই যাবেন। এখন আপনি ভাবতেই পারেন যে, স্নানের সময় তাঁরা কীভাবে ম্যানেজ করেন। সেটা কিন্তু একটা বিরাট স্কিল এবং যথেষ্ট বাস্তবসম্মতও!

ফোন নিয়ে গাছাড়া মনোভাব

এই ধরনের ফোন ব্যবহারকারীরা স্বভাবে নির্ভীক। এমন মানুষজনের চোখ খোলা রেখেই তাঁদের হাঁচির স্টান্ট পর্যন্ত বন্ধ করে দেওয়া যেতে পারে। তাঁদের ফোনে কোনও কভার নেই, নেই কোনও স্ক্রিন গার্ড। বক্স থেকে ফোন বের করার সময় যেমন ছিল, ঠিক সেই ভাবেই ফোন ব্যবহার করতে ভালবাসেন তাঁরা। তবে এটা আশা করাই যায়, তাঁরা এক সময় এতটাই নির্ভীক হয়ে উঠবেন যে, চোখ বন্ধ করে একটা কর্নিং গোরিলা গ্লাস ডিজ়াইনের ফোন বেছে নেবেন।

ফ্যান্সি ফ্লিপার্স

অভিনব ফ্লিপারগুলি যখনই তাঁরা ফোনে ব্যবহার করে তখনই তাঁদের ঠোঁটের কোণে হাল্কা হাসি ভেসে ওঠে, যার উৎস হল তাঁদের ডিভাইসে লাগানো চটকদার ফ্লিপ-কভার। যখন দিনের শেষে তাঁদের ফোন ব্যবহার শেষ হয়, তখন কভারটি আবার স্টাইলে ফ্লিপ করে সেটিকে একটি খাঁজ পর্যন্ত নিয়ে যান।

এই এত ভিন্ন ধরনের মোবাইল ব্যবহারকারীদের সন্ধান আমরা পেয়েছি। আপনার সন্ধানে যদি আরও কেউ থাকেন, তাদলে জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার সাৎশ্যার থারেইনের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন। একমাত্র তিনিই বিভিন্ন ধরনের স্মার্টফোন ব্যবহারকারীদের সনাক্ত করার কাজটি সহজ করে দিয়েছেন।