১০০ মিলিয়নের বেশি ক্রেডিট-ডেবিট কার্ড হোল্ডারদের তথ্য ফাঁস ডার্ক ওয়েবে
২০১৭ সালের মার্চ মাস থেকে ২০২০ সালের অগস্ট মাস পর্যন্ত যত অনলাইন ট্রানজাকশন হয়েছে সেই সময়ের মধ্যেই কার্ড হোল্ডারদের ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস হয়েছে ডার্ক ওয়েবে।
১০০ মিলিয়নের বেশি ক্রেডিট ও ডেবিট কার্ডের সেনসিটিভ ডেটা ফাঁস হয়ে গিয়েছে ডার্ক ওয়েবে। একটি সিকিউরিটি রিসার্চারের তরফে প্রকাশ করা হয়েছে এই তথ্য। কার্ড হোল্ডারদের পুরো নাম, ফোন নম্বর, ইমেল আইডি এবং কার্ডের প্রথম ও শেষ চারটি নম্বর ফাঁস হয়েছে ডার্ক ওয়েবে। এই ঘটনা প্রথমে নজরে আসে অনলাইন পেমেন্ট প্ল্যাটফর্ম Juspay-র। ভারতের পাশাপাশি বিশ্বের বিভিন্ন ব্যবসায়ীরা এই প্ল্যাটফর্মকে বেছে নিয়েছেন তাঁদের পেমেন্টের মাধ্যম হিসেবে। অ্যামাজন, মেক মাই ট্রিপ, সুইগি ও আরও অনেক ক্ষেত্রেই এই পেমেন্টের অপশন ব্যবহার করা হয়। বেঙ্গালুরুর এই স্টার্ট-আপ সংস্থা গত বছর অগস্ট মাসে প্রথম অনুমান করেছিল যে তাদের ইউজারদের ডেটা আর সুরক্ষিত নেই, ফাঁস হচ্ছে।
২০১৭ সালের মার্চ মাস থেকে ২০২০ সালের অগস্ট মাস পর্যন্ত যত অনলাইন ট্রানজাকশন হয়েছে সেই সময়ের মধ্যেই কার্ড হোল্ডারদের ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস হয়েছে ডার্ক ওয়েবে। কার্ডের এক্সপায়ারি ডেট, কাস্টমার আইডি, মাস্কড কার্ড নম্বর (প্রথম ও শেষ চারটে ডিজিট)এই সব তথ্য পাওয়া যাচ্ছে বিশদে। তবে স্বস্তির খবর একটাই যে নির্দিষ্ট কোনও ট্রানজাকশনের বিবরণ এখনও ফাঁস হয়নি ডার্ক ওয়েবে। সাইবার সিকিউরিটি রিসার্চার রাজশেখর রাজারিয়া জানিয়েছেন কোনও হ্যাকারই ডার্ক ওয়েবে এই তথ্য বিক্রি করেছে। টেলিগ্রামের মাধ্যমে বিটকয়েনের সাহায্যে পেমেন্ট করতে বলে তথ্য হ্যাক করেছে ওই হ্যাকার।
Juspay-র প্রতিষ্ঠাতা বিমল কুমার জানিয়েছেন, গত ১৮ অগস্ট প্রথম আন-অথরাইজড একটি অ্যাটেম্পট লক্ষ্য করা যায়। তবে তিনি এও জানিয়েছেন, গ্রাহকদের কার্ড নম্বর, ফিনান্সিয়াল ডেটা এবং ট্রানজাকশন ডেটার ব্যাপারে রিস্ক নেওয়া হবে না।